বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতি সাধারণ মানুষের জন্য কতটা বিপদের সংকেত
প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতি সাধারণ মানুষের জন্য কতটা বিপদের সংকেত।এ সম্পর্কে আমি আপনাদেরকে একেবারে সঠিক তথ্যটি দেওয়ার চেষ্টা করেছি আমার এই আর্টিকেলটিতে।
আপনার যদি মনোযোগ সহকারে আমার এই আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন।বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতি সাধারণ মানুষের জন্য কতটা বিপদের সংকেত সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি আমাদের বাংলাদেশের মানুষের জন্য অনেকটাই বিপদের সংকেত। কারণ আমাদের দেশে বেকারত্বের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। যার ফলে আয়ের তুলনায় যখন ব্যায় বেশি হয়ে যায় স্বাভাবিকভাবে সেই দেশের সাধারণ মানুষ অনেকটা সমস্যার সম্মুখীন হয়।
বিভিন্ন কারণে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি হয়ে থাকে। আসুন আমরা জেনে নেই, বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতি সাধারণ মানুষের জন্য কতটা বিপদের সংকেত সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতি সাধারণ মানুষের জন্য কতটা বিপদের সংকেত
বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্য উদ্ধগতি সাধারণ মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ যেভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সে তুলনায় মানুষের আয় বাড়েনি। যার জন্য বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এ দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার কারণে অনেক বিপদের মধ্যে রয়েছে।
আসুন আমরা জেনে নেই, বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূলের উদ্ধগতি সাধারণ মানুষের জন্য কতটা বিপদের সংকেত সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
মুদ্রাস্ফীতি: মুদ্রাস্ফীতি হল একটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যেখানে মুদ্রার মূল্য কমে যায় এবং দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকে। যার ফলে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়।
সরবরাহের ঘাটতি: কোনো পণ্যের সরবরাহ যদি চাহিদার তুলনায় কম হয়, তাহলে তার দাম বাড়তে পারে।
বিশ্ব বাজারের পরিস্থিতি: বিশ্ববাজারে কোন পণ্যের দাম বাড়লে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশেও পণ্যের দাম বেড়ে যায়। যা আমাদের সাধারণ মানুষের জন্য অনেকটাই বিপদের সংকেত।
সিন্ডিকেট সমস্যা:বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেট সম্পূর্ণরূপে দায়ী থাকে কারণ তারা বাজারে পণ্যের স্বল্পতা সৃষ্টি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয় এর জন্য সিন্ডিকেট অনেকাংশে দায়ী পণ্যের দাম বাড়ার জন্য।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবনে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে
জীবনযাত্রার মান কমে যাওয়া: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যায় এবং তারা কম পণ্য কিনতে বাধ্য হয়।
পুষ্টিহীনতা: নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে পুষ্টিকর খাবার কেনা কঠিন হয়ে পড়ে, যার ফলে পুষ্টিহীনতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ঋণের বোঝা: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষকে ঋণ নিতে বাধ্য হতে পারে।
সামাজিক অস্থিরতা: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সামাজিক অস্থিরতা বাড়াতে পারে।
অর্থনৈতিক সমস্যা: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে অর্থনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি হয়।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু পদক্ষেপ
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ: সরকারকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে।
সরবরাহ বাড়ানো: সরকারকে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহিত করতে হবে।
আন্তর্জাতিক বাজার নজরদারি: সরকারকে আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি নজরদারি করে দাম বাড়ার কারণগুলি চিহ্নিত করতে হবে।
সিন্ডিকেট দমন: সরকারকে সিন্ডিকেট দমন করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা: সরকারকে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
তাই সরকার যদি সঠিকভাবে পদক্ষেপ নিতে পারে তাহলে এ সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।
বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ গুলো কি কি
বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। তবে এর মূলে যাকে দায়ী করা যায় তা হচ্ছে সরকারকে। কারণ সরকার দেশের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। আসুন আমরা জেনে নেই, বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ গুলো কি কি সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি: বিশেষ করে তেল, খাদ্যশস্য এবং অন্যান্য কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্যকে প্রভাবিত করে।
মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকা: খাদ্যশস্যের মতো পণ্যের মধ্যস্থতাকারীরা অনেক সময় অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের জন্য দাম বাড়িয়ে দেয়।
দুর্নীতি: দুর্নীতির কারণে সরকারি ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হতে পারে এবং দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ: বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ফসলের উৎপাদন কমিয়ে দেয় এবং দাম বাড়িয়ে দেয়।
কর ও শুল্ক: সরকারি কর ও শুল্ক বৃদ্ধিও দাম বাড়ানোর একটি কারণ হতে পারে।
এছাড়াও, বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কারণও কাজ করে,
যেমন
চাল: চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে ফসলের ক্ষতি, মজুদদারি, এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি প্রধান কারণ।
পণ্য পরিবহন খরচ: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পণ্য পরিবহন খরচ বাড়ে এবং এটি দ্রব্যমূল্যে সরাসরি প্রভাব ফেলে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রভাব
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান কমে যায়, গরিব আরও গরিব হয়ে পড়ে এবং দেশের অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
নিরূপণের উপায়
- দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে,যেমন:
- মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ: মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিভিন্ন নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে।
- মধ্যস্থতাকারীদের নিয়ন্ত্রণ: মধ্যস্থতাকারীদের অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন রোধ করার জন্য কঠোর নিয়ম কানুন প্রয়োগ করতে হবে।
- দুর্নীতি দমন: দুর্নীতি দমনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আমাদের দেশের সরকার যদি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। তাহলে অবশ্যই দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরতে পারবে এবং সিন্ডিকেট নির্মূল করতে পারবে শুধু সরকারের সদ ইচ্ছা দরকার।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি কি?
দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি বলতে আমরা বুঝি নির্দিষ্ট কোন পণ্যের ধীরে ধীরে অথবা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়াকে বোঝায়। এক কথায় বলা যায়, কোন একটি পণ্যের যদি আগের তুলনায় দাম বৃদ্ধি পায় তাই হলো দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ।
কেন দ্রব্যমূল্য বাড়ে?
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ যেটি সেটি হচ্ছে রাজনৈতিক কারণ। যাইহোক আসুন আমরা জেনে নেই, কেন দ্রব্যমূল্য বাড়ে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কেন দ্রব্যমূল্য বাড়ে?
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ যেটি সেটি হচ্ছে রাজনৈতিক কারণ। যাইহোক আসুন আমরা জেনে নেই, কেন দ্রব্যমূল্য বাড়ে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
- রাজনৈতিক কারণঃ বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে রাজনৈতিক বিভিন্ন অস্থিরতা কারণে দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পায়। তাই এর পেছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে।
- সরবরাহের ঘাটতি: কোনো পণ্যের চাহিদা বেড়ে গেলে এবং সরবরাহ যথেষ্ট না থাকলে দাম বাড়তে পারে।
- আন্তর্জাতিক বাজার: আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে আমদানি করা পণ্যের দামও বাড়তে পারে।
- মধ্যস্থতাকারীরা: খাদ্যশস্যের মতো পণ্যের মধ্যস্থতাকারীরা অনেক সময় অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের জন্য দাম বাড়িয়ে দেয়।
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ: বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ফসলের উৎপাদন কমিয়ে দেয় এবং দাম বাড়িয়ে দেয়।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের অনেক সমস্যা হয়। আর এ সমস্যার কারণে দেশের বিভিন্ন ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি হয়। কারণ মানুষের আয়ের তুলনায় ব্যয়ের পরিমাণটা বেড়ে যায় যার ফলে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটই দায়ী হয়ে থাকে। এর কারণ হলো কিছু অসাধু ব্যবসায়িক তারা তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য দ্রব্যমূল্যের মজুদ করে বাজারে দ্রব্যের সংকট তৈরি করে। যার ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেট কতটা দায়ী
এছাড়াও রাজনীতির কারণও দায়ী রয়েছে এর জন্য। আসুন আমরা জেনে নেই, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেট কতটা দায়ী সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
দাম বাড়ানোর ষড়যন্ত্র: সিন্ডিকেটগুলো প্রায়ই একত্রিত হয়ে কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। তারা উৎপাদনকারী, বিক্রেতা এবং পরিবহনকারীদের মধ্যে সমন্বয় করে একটি জোট গঠন করে এবং দাম নিয়ন্ত্রণ করে।
সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া: সিন্ডিকেটগুলো কৃত্রিমভাবে কোনো পণ্যের সরবরাহ কমিয়ে দেয়, যার ফলে চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং দাম বাড়তে বাধ্য হয়।
প্রতিযোগিতা কমিয়ে দেওয়া: সিন্ডিকেটগুলো বাজারে প্রতিযোগিতা কমিয়ে দেয়, যার ফলে ভোক্তাদের কাছে বিকল্প থাকে না এবং তারা যে কোনো দামে পণ্য কিনতে বাধ্য হয়।
সিন্ডিকেটের বাইরেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আরো বিভিন্ন কারণ থাকে
বৈশ্বিক কারণ: বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি কারণে দেশীয় বাজারেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।
দেশীয় কারণ: দেশের মধ্যে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, পরিবহন খরচ বৃদ্ধি, মজুদদারি, কার্টেল, বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতা ইত্যাদি কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।
বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে:
বৈশ্বিক কারণ
মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি: যখন বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায়, তখনআমদানি করা পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়, যা দেশের বাজারে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পায়, যার কারণে সকল পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন খরচ বেড়ে যায় যার ফলে দ্রব্যমূলের দাম বৃদ্ধি পায়।
দেশীয় কারণ
উৎপাদনের খরচ বৃদ্ধি: বর্তমান সময়ে শ্রমীকদের মজুরি বেশি দেয়া লাগে যার ফলে দ্রব্যমূল্যের দাম বেশি বেড়ে যায়। এছাড়া সার, বীজ কীটনাশকের দাম বৃদ্ধির ফলেও দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পায় যার ফলে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়।
পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি : পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি পেলে সেই সাথে সবগুলো দ্রব্য পুণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায় তাই সেদিকে আমাদের সঠিকভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
মজুদদারি: কিছু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্য মজুদ করে রাখে এবং দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে।
বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতা: সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা যদি দুর্বল হয়, তাহলে ব্যবসায়ীরা স্বেচ্ছাচারীভাবে দাম বাড়াতে পারে।
সরকারি নীতি
অর্থনৈতিক নীতি: সরকারের অর্থনৈতিক নীতি যদি স্থিতিশীল না হয়, তাহলে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে।
বাজার মনিটরিং: সরকার যদি সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং না করে সে ক্ষেত্রে দ্রব্যমূলের দাম ইচ্ছামত বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং করাটা খুবই জরুরী।
তাই আমি বলতে পারি দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির জন্য একক ভাবে কাউকে দায়ী করা সম্ভব নয়। এর জন্য অনেকগুলো বিষয় যুক্ত থাকে।
দাম বাড়ানোর ষড়যন্ত্র: সিন্ডিকেটগুলো প্রায়ই একত্রিত হয়ে কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। তারা উৎপাদনকারী, বিক্রেতা এবং পরিবহনকারীদের মধ্যে সমন্বয় করে একটি জোট গঠন করে এবং দাম নিয়ন্ত্রণ করে।
সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া: সিন্ডিকেটগুলো কৃত্রিমভাবে কোনো পণ্যের সরবরাহ কমিয়ে দেয়, যার ফলে চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং দাম বাড়তে বাধ্য হয়।
প্রতিযোগিতা কমিয়ে দেওয়া: সিন্ডিকেটগুলো বাজারে প্রতিযোগিতা কমিয়ে দেয়, যার ফলে ভোক্তাদের কাছে বিকল্প থাকে না এবং তারা যে কোনো দামে পণ্য কিনতে বাধ্য হয়।
সিন্ডিকেটের বাইরেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আরো বিভিন্ন কারণ থাকে
- আন্তর্জাতিক বাজার: আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে আমদানি করা পণ্যের দামও বাড়তে পারে।
- মুদ্রাস্ফীতি: দেশের মুদ্রার মূল্য কমে গেলে বা অতিরিক্ত মুদ্রা ছাপা হলে দ্রব্যমূল্য বাড়ে।
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ: বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ফসলের উৎপাদন কমিয়ে দেয় এবং দাম বাড়িয়ে দেয়।
বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির একমাত্র কারণ হয়ে থাকে সিন্ডিকেটের কারণে। কারণ এই সিন্ডিকেট একমাত্র সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছত্রছায়ায় কাজ করে থাকে।
তাই এই সিন্ডিকেট নির্মূলের জন্য সরকারের ভূমিকায় হচ্ছে সর্বোত্তম কিন্তু সরকার যদি সিন্ডিকেট কে কন্ট্রোল করতে না পারে। তাহলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা অনেক হুমকি স্বরূপ হয়ে ওঠে। তাই আমাদের বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ সিন্ডিকেটের কারণেই হয়ে থাকে।
দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির জন্য আপনি কাকে দায়ী করবেন
দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির জন্য এককভাবে কাউকে দায়ী করা সম্ভব নয়। এর পেছনে অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে এবং দ্রব্যমূল্য উর্দ্ধগতির জন্য অনেকগুলো সংস্থা দায়ী থাকে। আসুন আমরা জেনে নেই,দ্রব্যমূলের উর্দ্ধগতির জন্য আপনারা কাকে দোষারোপ করবেন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।বৈশ্বিক কারণ: বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি কারণে দেশীয় বাজারেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।
দেশীয় কারণ: দেশের মধ্যে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, পরিবহন খরচ বৃদ্ধি, মজুদদারি, কার্টেল, বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতা ইত্যাদি কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।
বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে:
বৈশ্বিক কারণ
মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি: যখন বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায়, তখনআমদানি করা পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়, যা দেশের বাজারে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পায়, যার কারণে সকল পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন খরচ বেড়ে যায় যার ফলে দ্রব্যমূলের দাম বৃদ্ধি পায়।
দেশীয় কারণ
উৎপাদনের খরচ বৃদ্ধি: বর্তমান সময়ে শ্রমীকদের মজুরি বেশি দেয়া লাগে যার ফলে দ্রব্যমূল্যের দাম বেশি বেড়ে যায়। এছাড়া সার, বীজ কীটনাশকের দাম বৃদ্ধির ফলেও দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পায় যার ফলে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়।
পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি : পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি পেলে সেই সাথে সবগুলো দ্রব্য পুণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায় তাই সেদিকে আমাদের সঠিকভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
মজুদদারি: কিছু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্য মজুদ করে রাখে এবং দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে।
বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতা: সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা যদি দুর্বল হয়, তাহলে ব্যবসায়ীরা স্বেচ্ছাচারীভাবে দাম বাড়াতে পারে।
সরকারি নীতি
অর্থনৈতিক নীতি: সরকারের অর্থনৈতিক নীতি যদি স্থিতিশীল না হয়, তাহলে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে।
বাজার মনিটরিং: সরকার যদি সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং না করে সে ক্ষেত্রে দ্রব্যমূলের দাম ইচ্ছামত বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং করাটা খুবই জরুরী।
তাই আমি বলতে পারি দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির জন্য একক ভাবে কাউকে দায়ী করা সম্ভব নয়। এর জন্য অনেকগুলো বিষয় যুক্ত থাকে।
সরকার যদি সঠিকভাবে সেগুলোকে নির্ণয় করে সঠিক দিক নির্দেশনা নিয়ে এগিয়ে যায়। তবে হয়তো দ্রব্যমূলের উদ্যগতি কমানো সম্ভব হবে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা মান উন্নত হবে।
লেখক এর মন্তব্য
অবশেষে বলতে পারি, আপনারা আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং পড়ার পরে জানতে পেরেছেন। বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতি সাধারণ মানুষের জন্য কতটা বিপদের সংকেত এ সম্পর্কে ।এছাড়াও দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতি সম্পর্কে আরও বিভিন্ন বিষয় আপনারা ইতিমধ্যেই অবগত হয়েছেন। তাই আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারা উপকৃত হবে।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url