সেলস ক্যারিয়ারে নিজেকে কিভাবে তৈরি করবেন
প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন সেলস ক্যারিয়ারে নিজেকে কিভাবে তৈরি করা যায়। এ সম্পর্কে আমি আপনাদেরকে আমার এই আর্টিকেলটিতে একেবারে সঠিক তথ্যটি দেবার চেষ্টা করেছি।
আপনারা যদি আমার এই আর্টিকেলটা মজুরি সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন। সেলস ক্যারিয়ারে নিজেকে কিভাবে তৈরি করবেন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভূমিকা
সেলস ক্যারিয়ারে নিজেকে কিভাবে তৈরি করবেন এ সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে সবার আগে জানতে হবে। সেলস কি? কিভাবে সেলস করা যায় ?সেলস করার জন্য কি কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও নিজেকে কিভাবে তৈরি করতে হবে, কিভাবে সফল হবেন এছাড়া বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আপনার জানতে হবে।
তবে আপনি নিজেকে ভালো হবে তৈরি করতে পারবেন। আসুন আমরা জেনে নেই, সেলস ক্যারিয়ারে নিজেকে কিভাবে তৈরি করবেন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
সেলস ক্যারিয়ারে নিজেকে কিভাবে তৈরি করবেন
সেলস ক্যারিয়ারে নিজেকে তৈরি করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার মনকে স্থির করতে হবে। আপনি কি সেলস এ কাজ করতে চান? যদি আপনি সেলসে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে এই চ্যালেঞ্জিং পেশাটা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করতে হবে।
সেলস ক্যারিয়ারে নিজেকে তৈরি করার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১। নিজের দক্ষতা বিকাশ করুন
- যোগাযোগ দক্ষতা: সেলসে নিজের দক্ষতা বিকাশ করার জন্য অবশ্যই যোগাযোগ দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কারণ আপনি আপনার যোগাযোগ দক্ষতা যত ভালো রাখবেন আপনার সেলসে দক্ষতা তত বৃদ্ধি পাবে।
- সম্পর্ক গড়ার দক্ষতা: সেলস ক্যারিয়ার করার জন্য অবশ্যই গ্রাহকদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। আপনি যদি গ্রাহকদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখেন তাহলে অবশ্যই আপনি সেলসে ভালো করতে পারবেন।
- পণ্য সম্পর্কে জ্ঞান: আপনি যে পণ্য বা সেবা বিক্রি করছেন, সে সম্পর্কে আপনার পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা জরুরি।
- প্রেজেন্টেশন দক্ষতা: আপনার পণ্য বা সেবা কেন ক্রেতাদের জন্য উপকারী হবে, তা কার্যকরভাবে উপস্থাপন করার ক্ষমতা।
- সমস্যা সমাধানের দক্ষতা: গ্রাহকদের সমস্যার সমাধান করার এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার ক্ষমতা।
২। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
- সেলস এবং মার্কেটিং কোর্স: বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেলস এবং মার্কেটিং সম্পর্কিত কোর্স করতে পারেন।
- ওয়ার্কশপ এবং সেমিনার: এই ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আপনি আপনার জ্ঞান এবং দক্ষতা আরও বাড়াতে পারবেন।
- মেন্টরশিপ: একজন অভিজ্ঞ সেলস প্রতিনিধির কাছ থেকে পরামর্শ নিন।
৩। ব্যক্তিত্ব বিকাশ
- আত্মবিশ্বাস বাড়ান: নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং সবসময় ইতিবাচক থাকুন।
- ধৈর্য ধরুন: সেলসে সাফল্য অর্জনের জন্য ধৈর্য ধরা জরুরি। প্রত্যাখ্যানকে স্বাভাবিকভাবে নিন এবং এ থেকে শিখুন।
- উৎসাহী হোন: আপনার কাজের প্রতি উৎসাহী থাকুন এবং এটি একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করুন।
৪। নেটওয়ার্কিং
- ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের সাথে যোগাযোগ করুন: সেলস সম্পর্কিত অনুষ্ঠানে যোগ দিন এবং অনলাইন ফোরামে অংশগ্রহণ করুন।
- লিঙ্কডইন: আপনার লিঙ্কডইন প্রোফাইলকে আপডেট রাখুন এবং অন্যান্য সেলস প্রফেশনালদের সাথে সংযোগ স্থাপন করুন।
৫। অভিজ্ঞতা অর্জন করুন
- ইন্টার্নশিপ: কোনো সেলস সংস্থায় ইন্টার্নশিপ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন।
- ভলান্টিয়ারিং: কোনো সামাজিক সংগঠনে ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করুন।
- পার্ট-টাইম জব: ছোটখাটো সেলস জব করে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন।
৬। নিজেকে আপডেট রাখুন
- সেলসের ট্রেন্ড: সেলসের নতুন ট্রেন্ড এবং কৌশল সম্পর্কে সর্বদা আপডেট থাকুন।
- প্রযুক্তি: সেলসে ব্যবহৃত নতুন প্রযুক্তিগুলো শিখুন।
সেলস ক্যারিয়ার গড়ার জন্য নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে হবে এবং ধৈর্য ধরে কাজ করুন। তাহলে অবশ্যই আপনি সেলস ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।
সেলস ক্যারিয়ার গড়ার জন্য সেলস বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই
সেলস ক্যারিয়ার করার জন্য সেলস বৃদ্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তবে সেই সাথে শুধুমাত্র সেলস বৃদ্ধি করলেই সেলস ক্যারিয়ার সাফল্য হবে না এর জন্য আরও বেশ কিছু বিষয় রয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে আপনার ভালোভাবে জানতে হবে। তবে আপনি সাফল্য লাভ করতে পারবেন। আসুন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
গ্রাহক সম্পর্ক গড়ে তোলা: বিক্রয়ের পরেও গ্রাহকদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা, তাদের প্রয়োজনীয়তা বুঝে সেবা দেওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তোলা।
পণ্য বা সেবার বিস্তারিত জ্ঞান: আপনি যে পণ্য বা সেবা বিক্রি করছেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা জরুরি। এটি আপনাকে গ্রাহকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং তাদের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে।
যোগাযোগ দক্ষতা: কার্যকরভাবে কথা বলার এবং লেখার ক্ষমতা একজন সফল সেলস প্রতিনিধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সমস্যা সমাধানের দক্ষতা: গ্রাহকদের সমস্যার সমাধান করার এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার ক্ষমতা।
নেতৃত্বের গুণাবলী: যদি আপনি সেলস টিমকে নেতৃত্ব দিতে চান, তাহলে আপনার মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী থাকা জরুরি।
অবিরত শিক্ষা: সেলসের নতুন কৌশল এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে সর্বদা আপডেট থাকুন।
সেলস বৃদ্ধির জন্য কিছু কৌশল
- লক্ষ্য নির্ধারণ: স্পষ্ট এবং পরিমাপযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
- গ্রাহক বিশ্লেষণ: আপনার লক্ষ্যবস্তু গ্রাহকদের চাহিদা এবং আচরণ বুঝুন।
- মার্কেটিং কৌশল: বিভিন্ন মার্কেটিং চ্যানেল ব্যবহার করে আপনার পণ্য বা সেবা প্রচার করুন।
- সোশ্যাল মিডিয়া: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করুন।
- নেটওয়ার্কিং: অন্যান্য সেলস প্রফেশনালদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাদের কাছ থেকে শিখুন।
সেলস ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আপনাকে সেলস বৃদ্ধির সাথে সাথে বেশ কিছু বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। যেমন, গ্রাহকের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, সেলস সম্পর্কে আরো অভিজ্ঞ হতে হবে। এজন্য বিভিন্ন সেলসের বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে এছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনাকে ভালো দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
এছাড়া সেলসে ক্যারিয়ার করার জন্য সবচেয়ে যে বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে।
সেলস ক্যারিয়ার গড়ার জন্য সেলসের কোন বিষয়গুলো জানা জরুরী
আপনি যদি সেলসে ক্যারিয়ার গড়তে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে সেলস সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সেই সাথে আপনার নিজেকেও অনেক আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। আসুন আমরা জেনে নিই, সেলস ক্যারিয়ার করার জন্য সেলসের কোন বিষয়গুলো জানা জরুরী সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১। পণ্য বা সেবার বিস্তারিত জ্ঞান
পণ্যের বৈশিষ্ট্য: আপনি যে পণ্য বা সেবা বিক্রি করছেন, তার সব ধরনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানা জরুরি।
পণ্যের উপকারিতা: গ্রাহকদের কাছে পণ্যের উপকারিতা কীভাবে উপস্থাপন করবেন, তা জানা জরুরি।
পণ্যের দাম: পণ্যের দাম কেন অন্যদের তুলনায় ভালো, তা গ্রাহককে বোঝানো জরুরি।
পণ্যের প্রতিযোগিতা: অন্য কোম্পানির একই ধরনের পণ্যের সাথে আপনার পণ্যের পার্থক্য কী, তা বোঝানো জরুরি।
২। গ্রাহকের চাহিদা বোঝা
গ্রাহকের প্রয়োজন: গ্রাহক কী চায়, তা বুঝতে হবে।
গ্রাহকের সমস্যা: গ্রাহকের সমস্যা কী, তা বুঝতে হবে এবং সেই সমস্যার সমাধান আপনার পণ্য কীভাবে করতে পারে, তা বোঝাতে হবে।
গ্রাহকের মনোবিজ্ঞান: গ্রাহক কেন কিনবে, তার মনোবিজ্ঞান বুঝতে হবে।
৩। যোগাযোগ দক্ষতা
কথা বলার দক্ষতা: গ্রাহকের সাথে কার্যকরীভাবে কথা বলতে হবে।
শোনার দক্ষতা: গ্রাহকের কথা মনযোগ দিয়ে শুনতে হবে।
লিখিত যোগাযোগ: ইমেইল বা অন্যান্য মাধ্যমে গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করতে হলে স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্তভাবে লিখতে হবে।
৪। বিক্রয় কৌশল
প্রশ্ন করার কৌশল: গ্রাহকের চাহিদা বুঝতে প্রশ্ন করতে হবে।
উপস্থাপনের কৌশল: পণ্য কীভাবে উপস্থাপন করবেন, তা জানতে হবে।
বস্তাবস্তু উপস্থাপন: পণ্যের সুবিধাগুলো বাস্তব উদাহরণ দিয়ে উপস্থাপন করতে হবে।
বাধা কাটিয়ে ওঠা: গ্রাহক যদি কোনো বাধা তোলে, তাহলে তা কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়, তা জানতে হবে।
বন্ধ করার কৌশল: কীভাবে গ্রাহককে কেনার সিদ্ধান্ত নিতে অনুপ্রাণিত করবেন, তা জানতে হবে।
৫। সম্পর্ক গড়ার দক্ষতা
বিশ্বাস অর্জন: গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক: গ্রাহকের সাথে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
গ্রাহক সেবা: গ্রাহকের যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করতে হবে।
৬। আত্মবিশ্বাস
নিজের উপর বিশ্বাস: নিজের ক্ষমতায় বিশ্বাস রাখতে হবে।
পণ্যের উপর বিশ্বাস: আপনি যে পণ্য বিক্রি করছেন, তার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।
৭। ধৈর্য
প্রত্যাখ্যান সামলাতে হবে: প্রত্যেক গ্রাহকই কিনবে না, তাই প্রত্যাখ্যান সামলাতে হবে।
চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে: হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
৮। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
সেলস কোর্স: সেলস সম্পর্কিত বিভিন্ন কোর্স করতে পারেন।
বই পড়া: সেলস সম্পর্কিত বই পড়তে পারেন।
অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছ থেকে শেখা: অভিজ্ঞ সেলস প্রতিনিধির কাছ থেকে শিখতে পারেন।
৯। প্রযুক্তি
সেলস সফটওয়্যার: বিভিন্ন সেলস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে শিখুন।
সোশ্যাল মিডিয়া: সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করতে শিখুন।
১০। নেটওয়ার্কিং
অন্যান্য সেলস প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ: অন্যান্য সেলস প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখুন।
উপরের বিষয়গুলো যদি সঠিকভাবে, আপনি অনুসরণ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি ক্যারিয়ার অর্জন করতে পারবেন।
সেলস ক্যারিয়ারে সফল হবার উপায়
সেলস ক্যারিয়ারে সফল করতে হলে আপনাকে সেলসের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। সে সাথে নিজেকে তৈরি করতে হবে আর এর জন্য সবচেয়ে বেশি যেটি দরকার সেটি হচ্ছে আপনার ধৈর্য ও পরিশ্রম। এ দুইয়ের সমন্বয়ে আপনি সেলস ক্যারিয়ার করতে পারবেন। আসুন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১। নিজেকে প্রস্তুত করা
পূর্ণ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন: আপনি যে পণ্য বা সেবা বিক্রি করবেন, তার বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করুন। পণ্যের সুবিধা, ব্যবহার, এবং প্রতিযোগীদের তুলনায় কী বিশেষ, তা জানা জরুরি।
দক্ষতা বিকাশ: যোগাযোগ, উপস্থাপনা, সমস্যা সমাধান, এবং গ্রাহক সম্পর্ক গড়ার মতো দক্ষতাগুলোকে আরও বিকশিত করুন।
আত্মবিশ্বাস বাড়ান: নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং সবসময় ইতিবাচক থাকুন।
২। গ্রাহকদের বোঝা
গ্রাহকের চাহিদা: গ্রাহক কী চায়, তা বুঝার চেষ্টা করুন।
গ্রাহকের সমস্যা: গ্রাহকের কোন সমস্যা রয়েছে, তা খুঁজে বের করুন এবং আপনার পণ্য কীভাবে সেই সমস্যার সমাধান করতে পারে, তা দেখান।
গ্রাহকের মনোবিজ্ঞান: গ্রাহকের কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে কী কারণ কাজ করে, তা বুঝুন।
৩। বিক্রয় কৌশল
প্রশ্ন করার কৌশল: গ্রাহকের চাহিদা বুঝতে সঠিক প্রশ্ন করুন।
উপস্থাপনের কৌশল: আপনার পণ্য বা সেবা কীভাবে গ্রাহকের জীবনকে সহজ করবে, তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন।
বস্তাবস্তু উপস্থাপন: পণ্যের সুবিধাগুলো বাস্তব উদাহরণ দিয়ে উপস্থাপন করুন।
বাধা কাটিয়ে ওঠা: গ্রাহক যদি কোনো বাধা তোলে, তাহলে তা কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়, তা জানুন।
বন্ধ করার কৌশল: কীভাবে গ্রাহককে কেনার সিদ্ধান্ত নিতে অনুপ্রাণিত করবেন, তা শিখুন।
৪। সম্পর্ক গড়া
বিশ্বাস অর্জন: গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জন করুন।
দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক: গ্রাহকের সাথে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
গ্রাহক সেবা: গ্রাহকের যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করুন।
৫। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
সেলস কোর্স: সেলস সম্পর্কিত বিভিন্ন কোর্স করুন।
বই পড়া: সেলস সম্পর্কিত বই পড়ুন।
অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছ থেকে শেখা: অভিজ্ঞ সেলস প্রতিনিধির কাছ থেকে শিখুন।
৬। প্রযুক্তি
সেলস সফটওয়্যার: বিভিন্ন সেলস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে শিখুন।
সোশ্যাল মিডিয়া: সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করতে শিখুন।
৭। নেটওয়ার্কিং
অন্যান্য সেলস প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ: অন্যান্য সেলস প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখুন।
৮। ধৈর্য ও অধ্যবসায়
একটি কথা মনে রাখবেন,সফলতা একদিনে আসে না। ধৈর্য ধরে কাজ করুন এবং নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। তাহলে অবশ্যই আপনি সেলস ক্যারিয়ারে সফল হতে পারবেন।
সেলস ক্যারিয়ার গড়ার জন্য প্ল্যানিংটা কতটা জরুরী
সেলস ক্যারিয়ার গড়ার জন্য প্ল্যানিংটা খুবই জরুরী। কারণ আপনার যদি কোন প্ল্যান না থাকে তাহলে আপনি সেলস এ ক্যারিয়ার অর্জন করতে পারবেন না। আসুন আমরা জেনে নেই, সেলস ক্যারিয়ার গড়ার জন্য প্ল্যানিংটা কতটা জরুরী সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কেন সেলস ক্যারিয়ারে প্ল্যানিং জরুরী?
- দিক নির্দেশনা: প্ল্যানিং আপনাকে সঠিক দিকে এগোতে সাহায্য করে। আপনি কোথায় পৌঁছাতে চান, সেটা নির্ধারণ করে আপনি সেই লক্ষ্যে কাজ করতে পারবেন।
- সময়ের সদ্ব্যবহার: প্ল্যানিং আপনাকে সময়ের সদ্ব্যবহার করতে সাহায্য করে। আপনি কোন কাজটি কখন করবেন, সেটা নির্ধারণ করে আপনি সময় নষ্ট করবেন না।
- সমস্যা সমাধান: প্ল্যানিং আপনাকে সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। আপনি আগে থেকেই সম্ভাব্য সমস্যাগুলো চিন্তা করে তার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারবেন।
- প্রেরণা: প্ল্যানিং আপনাকে প্রেরণিত রাখে। আপনি যখন দেখবেন আপনি আপনার লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছেন, তখন আপনি আরো বেশি করে কাজ করতে উৎসাহিত হবেন।
- সফলতা মাপা: প্ল্যানিং আপনাকে আপনার সফলতা মাপতে সাহায্য করে। আপনি নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণ করতে পারছেন কিনা, সেটা পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন।
সেলস ক্যারিয়ারের জন্য প্ল্যানিং করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে
- লক্ষ্য নির্ধারণ: আপনি কতদিনের মধ্যে কোন পদে পৌঁছাতে চান, সেটা নির্ধারণ করুন।
- দক্ষতা বিকাশ: কোন কোন দক্ষতা আপনার আরো বিকশিত করতে হবে, সেটা চিন্তা করুন।
- অভিজ্ঞতা অর্জন: কোন কোন ধরনের অভিজ্ঞতা আপনার প্রয়োজন, সেটা খুঁজে বের করুন।
- নেটওয়ার্কিং: অন্য সেলস প্রফেশনালদের সাথে যোগাযোগ করুন।
- অবিরত শিক্ষা: নতুন জিনিস শিখতে থাকুন।
একটি সফল সেলস ক্যারিয়ার গড়ার জন্য প্ল্যানিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শুধুমাত্র সেলস নয় সেলস ছাড়াও আপনি যে কোন ক্ষেত্রে আপনার প্ল্যানিং থাকতে হবে। প্ল্যানিং না থাকলে আপনি কোন কাজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। তাই সফলতা অর্জনের জন্য প্ল্যানিংটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক এর মন্তব্য
অবশেষে বলতে পারি, আপনারা আমার এই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং পড়ার পরে জানতে পেরেছেন। সেলস ক্যারিয়ারে নিজেকে কিভাবে তৈরি করবেন এ সম্পর্কে। এছাড়াও সেলসের আরো বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন।
তাই আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারা উপকৃত হবে।
ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url