কিভাবে ঘরে বসে মাশরুম চাষ করা যায় ও মাশরুম চাষের পদ্ধতি
প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন কিভাবে ঘরে বসে মাশরুম চাষ করা যায় ও মাশরুম চাষের পদ্ধতি। আমি আপনাদেরকে আমার এই আর্টিকেলটিতে এ সম্পর্কে একেবারে সঠিক তথ্যটি দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
আপনারা যদি আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন। কিভাবে ঘরে বসে মাশরুম চাষ করা যায় ও মাশরুম চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভূমিকা
আপনি কি মাশরুম চাষ করতে চান? আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে মাশরুম চাষ করতে পারবেন। আর এই মাশরুম চাষ করে আপনি প্রতি মাসে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে মাশরুম চাষের প্রসারতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বাজারেও এর চাহিদা প্রচুর।
মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ ভরপুর উপাদান যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। আসুন আমরা জেনে নেই, কিভাবে ঘরে বসে মাশরুম চাষ করা যায় ও মাশরুম চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কিভাবে ঘরে বসে মাশরুম চাষ করা যায় ও মাশরুম চাষের পদ্ধতি
আপনি যদি ঘরে বসে মাশরুম চাষ করতে চান সেটা হবে আপনার জন্য অনেক জনপ্রিয় একটি ব্যাপার। কারণ অনেকে বর্তমানে ঘরে বসে মাশরুম চাষ করে ভালো মানের টাকা আয় করছে। মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
আসুন আমরা জেনে নেই, কিভাবে ঘরে বসে মাশরুম চাষ করা যায় ও মাশরুম চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর: মাশরুমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও প্রোটিন এবং খনিজ উপাদান যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত মাশরুম খাওয়া উচিত।
সহজ চাষ পদ্ধতি: আপনি ইচ্ছা করলেই খুব অল্প জায়গার মধ্যেই মাশরুম চাষ করতে পারেন। কারণ মাসুম চাষ করতে খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না এবং এর জন্য বিশেষ কোনো দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। আপনি ঘরে বসেই অল্প জায়গার মধ্যেই খুব সহজেই মাশরুম চাষ করতে পারবেন।
।
মাশরুম একটি লাভজনক ব্যবসা: মাশরুম চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা। আপনি মাশরুম চাষ করে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন। তাই মাশরুম চাষ হলো একটি লাভজনক ব্যবসা।
পরিবেশবান্ধব: মাশরুম চাষ করার জন্য খুব বেশি জায়গা প্রয়োজন হয় না এবং মাশরুম চাষ করার জন্য পানির পরিমাণ অনেক কম লাগে। তাই মাশরুম চাষ একটি পরিবেশবান্ধব চাষ পদ্ধতি যা করে আপনি ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন।
ঘরে মাশরুম চাষ করার জন্য যা যা জিনিস প্রয়োজন
মাশরুমের বীজ বা স্পন: মাশরুম চাষ করার জন্য আপনাকে মাশরুমের বীজ বা স্পন্স সংগ্রহ করতে হবে। মাশরুমের বীজ বা স্পন্স আপনি স্থানীয় কৃষি অফিস বা অনলাইন থেকেও সংগ্রহ করতে পারবেন।
ধানের খড়: আপনি যখন মাশরুম চাষ করবেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ধানের খড় সংগ্রহ করতে হবে। কারণ মাশরুম চাষ করার জন্য ধানের খড় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পলিব্যাগ: মাশরুম চাষ করার জন্য মাশরুমের বীজ ও খড় রাখার জন্য পলিথিন ব্যাগ অবশ্যই দরকার।
স্প্রে বোতল সংগ্রহ: মাশরুম চাষ করার জন্য এবং মাশরুমকে আদ্র রাখার জন্য প্রতিদিন আপনাকে মাশরুমের মধ্যে স্প্রে করতে হবে।এজন্য আপনার একটি স্প্রে বোতল খুবই প্রয়োজন।
মাশরুম চাষের পদ্ধতি
মাশরুম চাষ করার জন্য আপনাকে ভালোভাবে খড় সংগ্রহ করতে হবে এবং সেই খড় গরম পানিতে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিতে হবে। এতে করে খড় জীবন মুক্ত হবে।এরপর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া সেই খড়ের সাথে আপনি মাশরুম স্পন্স ভালো হবে মিশিয়ে দিবেন।
স্পন মেশানো হওয়ার পরে সেগুলো আপনি পলিথিন ব্যাগের মধ্যে ভরে নিবেন।তারপর সে ব্যাগগুলো ছোট ছোট ছিদ্র করে দিবেন যাতে সহজে আলো ও বাতাস চলাচল করতে পারে।এরপর আপনি সে ব্যাগগুলোকে অন্ধকার ও আদ্র জায়গায় রেখে দিবেন এবং আপনি নিয়মিত সেই বীজগুলোর ওপরে পানি স্প্রে করে দেবেন যাতে আদ্রতা বজায় থাকে।
এভাবে আপনি কয়েক সপ্তাহ পরে দেখবেন মাশরুম গজাতে শুরু করবে।আপনি যদি সঠিকভাবে মাশরুম চাষ করতে পারেন। তাহলে আপনি এই মাশরুম চাষের মাধ্যমে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন।
এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
মাশরুম চাষ করার জন্য অবশ্যই উপযুক্ত তাপমাত্রা থাকতে হবে এবং সে তাপমাত্রা পরিমাণ হতে হবে ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া মাশরুম চাষ করার জন্য আদ্র পরিবেশ খুবই প্রয়োজন এবং মাশরুম চাষের জন্য বিশুদ্ধ আলো বাতাসেরও খুব দরকার। এভাবে যদি আপনি মাশরুম চাষ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি মাশরুম চাষ করে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন।
কোন ধরনের মাশরুম চাষ করলে বেশি লাভবান হওয়া যায়
ওয়েস্টার মাশরুম: ওয়েস্টার মাশরুম বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাশরুম। এটা খুব সহজেই চাষ করা যায় এবং দ্রুত ফলন দেয়।
মিল্কি মাশরুম:মিল্কি মাশরুম এর সাদ মিষ্টি এবং খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।
পেডি স্ট্রো মাশরুম: প্যাডি স্ট্রো মাশরুম চাষ করার জন্য ধানের খড় প্রয়োজন পড়ে।
তবে একটি কথা মনে রাখবেন, সব ধরনের মাশরুম খাওয়া যায় না তাই নিশ্চিত হয়ে যান যে আপনি যে মাশরুম চাষ করবেন সে মাশরুম খাওয়া যায় কিনা।
আপনি যদি উপরে বিষয়গুলো সঠিকভাবে মেনে চলতে পারেন। তাহলে অবশ্যই আপনি ঘরে বসে মাশরুম চাষ করে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন।
কোন মাশরুমের চাহিদা সবচেয়ে বেশি
বর্তমানে মাশরুম চাষ করে অনেকে ভালো মানের টাকা আয় করছে। তবে মাশরুম চাষের ক্ষেত্রে আমাদেরকে যে বিষয়টি জানতে হবে। সেটি হল কোন মাশরুমের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন মাশরুমের প্রজাতি হল ওয়েস্টার মাশরুম। এর বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
চাষ পদ্ধতি সহজ: ওয়েস্টার মাশরুম চাষ করা অন্যান্য মাশরুম প্রজাতির চাইতে অনেকটাই সহজ। ওয়েস্টার মাশরুম দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং কম পরিচর্যা করতে হয় এবং উচ্চ ফলনশীল।
স্বাদ: অয়েস্টার মাশরুম এর সাদ মিষ্টি এবং খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।
বাজারে চাহিদা: ওয়েস্টার মাশরুম সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায় এবং এর চাহিদাও সারা বছর প্রায় সমানই থাকে।
এছাড়া অন্যান্য জনপ্রিয় মাসুমের মধ্যে রয়েছে
মিল্কি মাশরুম: মিল্কি মাশরুমের স্বাদ মিষ্টি এবং পুষ্টিকর যে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
সেটাকে মাশরুম: সেটাকে মাশরুম জাপানে খাবার হিসেবে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
প্রোটো বলো মাশরুম:এ মাশরুমটি আকারে অনেক বড় এবং মাংসের বিকল্প হিসেবে এ মাশরুমটি ব্যবহার করা যায়।
আপনি কোন মাশরুমটি চাষ করবেন তা নির্ধারণ করার সময় বিবেচনা করার কিছু বিষয় রয়েছে,
আপনার এলাকার জলবায়ু: কিছু মাশরুম নির্দিষ্ট তাপমাত্রা এবং আদ্রতায় ভালো জন্মায়।
আপনার কাছে যতটুকু জায়গা আছে: আপনার কাছে কতটুকু জায়গা আছে তার ওপর নির্ভর করে আপনি মাশরুমের জাত নির্বাচন করতে পারেন।
।
আপনার কি কোন অভিজ্ঞতা আছে: মাসুম চাষ করার জন্য আপনার যদি কোন অভিজ্ঞতা না হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি ওয়েস্টার মাশরুম চাষ করতে পারেন যা আপনার জন্য অনেক ভালো হবে।
একটি কথা অবশ্যই ভালোভাবে মনে রাখবেন, আমাদের এই বাংলাদেশের জন্য ওয়েস্টার মাশরুম খুবই জনপ্রিয়। আপনি যদি এই মাশরুম সঠিকভাবে চাষ করতে পারেন তাহলে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন।
মাশরুম চাষে কত দিন সময় লাগে
মাশরুম চাষ করতে কতদিন সময় লাগে তা নির্ভর করে সম্পূর্ণ আপনি কোন ধরনের মাশরুম চাষ করবেন তার ওপর। এছাড়া আপনি যেখানে চাষ করবেন সেখানকার পরিবেশ কেমন তার ওপর নির্ভর করে। তবে মাশরুম চাষ করতে কতদিন সময় লাগবে আসুন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
বিশেষ করে
- ওয়েস্টার মাশরুম: এই ওয়েস্টার মাশরুম চাষে স্পন্স বসানোর পরে প্রায় ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়।
- মিল্কি মাশরুম: মিলকি মাশরুমটি খুব দ্রুতভাবে ফলন দেয় সাধারণত ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যেই এর ফলন পাওয়া যায়।
- শেটাকে মাশরুম: এই মাশরুমটি ফলন হতে বেশ কিছুটা সময় বেশি নেয় এটি ফলন হতে প্রায় চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগে।
ভালো ফলন পাওয়ার জন্য কিছু বিষয়ের উপর নির্ভরশীল করতে হয়।
- তাপমাত্রা: উচ্চ তাপমাত্রায় মাশরুম দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
- আদ্রতা: পর্যাপ্ত আদ্রতা থাকলে মাসুম ভালো চাষ হয়।
- পর্যাপ্ত বাতাস: পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করলে মাশরুমের চাষ ভালো হয়।
- পর্যাপ্ত আলো: কিছু মাসুম আছে যেগুলো আলোতে ভালো জন্ম নেয় এবং আরও কিছু মাসুম আছে যেগুলো অন্ধকারে ভালো জন্ম নেয়।
- স্পন এবং সাবস্ট্রেটের গুণমান: ভালো মানের স্পণ এবং সাবস্টেট ব্যবহার করলে মাশরুম দ্রুত এবং ভালো ভবে জন্মায়।
মাশরুম চাষ করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ রয়েছে
- স্পন কেনার সময়: নিশ্চিত হোন যে স্পন তাজা এবং ভালো মানের।
- সাবস্ট্রেট তৈরি সময় : সাবস্ট্রেটকে ভালো করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
- উপযুক্ত পরিবেশ: মাশরুম চাষ করার জন্য একটি পরিষ্কার এবং উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
- নিয়মিত পর্যবেক্ষণ: মাশরুমের ভালো ফলন পাওয়ার জন্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পরিচর্চা করতে হবে।
আপনি যদি ভালো মানের মাশরুম বীজ সংগ্রহ করতে পারেন। তাহলে অল্প সময়ে আপনি মাশরুমের ফলন পাবেন।
সবচেয়ে লাভজনক মাশরুম কোনটি
সবচেয়ে লাভজনক মাশরুম কোনটি বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক মাশরুমটি হচ্ছে ওয়েস্টার মাশরুম। আসুন তারপরেও আমরা জেনে নিই, সবচেয়ে লাভজনক মাশরুম কোনটি সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। এর জন্য বেশ কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে।
বাজারে চাহিদা: আপনার এলাকার কোন ধরনের মাসুমের চাহিদা বেশি সে ধরনের মাশরুম চাষ করা আপনার জন্য খুবই জরুরী।
চাষের খরচ: বিভিন্ন ধরনের মাশরুম যখন আপনি চাষ করবে্ন সে ক্ষেত্রে খরচ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।
ফলন: যে মাশরুমের ফলন বেশি সে মাসরুম চাষ করা লাগবে।
বাজার চাহিদা: বাজারে যে মাশরুমের দাম বেশি সে মাসুম চাষ করা লাভজনক।
বিশেষ করে, বাংলাদেশে ওয়েস্টার্ন মাসুম চাষ করা সবচেয়ে বেশি লাভজনক বলে মনে করা হয় এর কারণ:
- চাহিদা বেশি: ওয়েস্টার মাশরুমের চাহিদা বেশি হয় এবং বাজারেও খুব সহজে পাওয়া যায়।
- চাষ করা সহজ: চাষ করা অন্যান্য মাশরুমের চাইতে অনেক সহজ।
- দ্রুত ফলন: ওয়েস্টার মাশরুম দ্রুত ফলন দেয় ফলে কম সময়ে বেশি ফলন পাওয়া যায় ও লাভবান হওয়া যায়।
- বিশেষ করে অন্যান্য,মাশরুম যেমন মিল্কি মাশরুম সেটাকে মাশরুম পোর্টেবল মাশরুম ইত্যাদি লাভজনক হতে পারে।
কোন মাশরুমটি আপনার জন্য সবচেয়ে লাভজনক হবে তা নির্ধারণ করতে আপনাকে নিজেই কিছু গবেষণা করতে হবে।
- স্থানীয় বাজার গবেষণা: আপনি আপনার স্থানীয় বাজারে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাশরুমের দাম এবং চাহিদা সম্পর্কে জেনে নিন।
- চাষ করার জন্য অন্যান্য চাষীদের সাথে কথা বলতে হবে: যারা মাসরুম চাষ করে এবং তাদের কাছ থেকে আপনার জানা উচিত যে মাসরুম চাষ করে কেমন লাভবান হওয়া যায়।
- এছাড়াও মাশরুম চাষ করার জন্য অনলাইনে আপনাকে রিসার্চ করতে হবে: ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি অনলাইনে সার্চ করে মাশরুম চাষ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে পারবেন।
মাশরুম চাষ করার জন্য আপনাকে একটি উত্তম ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করতে হ এই পরিকল্পনায় আপনার চাষের খরচ আয় ও লাভের হিসাব থাকতে হবে।
মাসরুম চাষ করার জন্য বেশ কিছু বিষয় আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে। এখন মাসরুম চাষ একটি কৃষি বিষয়ক চাষ পদ্ধতি এর সাথে অনেক ধরনের বিষয় জড়িত থাকে।তাই এ ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই অনেক চিন্তাভাবনা করে এ ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে হবে।
মাশরুম চাষে আয় ব্যয় কেমন
মাশরুম চাষে আয় ব্যয় কেমন তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার ব্যবসার প্রসারতার উপর। আপনি যদি ছোট আকারে করেন তাহলে আয় কম হবে আবার যদি বড় পরিসরে করেন সে ক্ষেত্রে আয় বেশি হবে। এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার উপর।
আসুন আমরা জেনে নেই,মাশরুম চাষে আয় ব্যয় কেমন হবে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
আয়
- বাজার দর: ওয়েস্টার মাশরুমের দাম সাধারণত প্রতি কেজিতে দেড়শ থেকে ২০০ টাকা হয়ে থাকে অন্যান্য মাসুমের দামের চেয়েও বেশি হতে পারে।
- ফলন: আপনি যদি ভালোভাবে পরিচয় করেন তাহলে প্রতি বর্গফুটে প্রায় ৫ থেকে ৬ কেজি মাশরুম পাওয়া যায়।
- ফলনের সংখ্যা: এক বছরে বেশ কয়েকবার ফলন পাওয়া যায়।
- অতিরিক্ত আয়: আপনি মাশরুমের বীজ বিক্রি করেও অতিরিক্ত আয় করতে পারবেন।
খরচ
- স্পন ক্রয়: মাশরুমের বীজ কেনার জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে।
- সাবস্টেট: ঘর পাতা ইত্যাদি সাবস্টেটের খরচ আপনাকে করতে হবে।
- পলিব্যাগ: পলিথিনের ব্যাক ক্রয় করার জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে।
- জায়গা নির্বাচন: মাশরুম চাষ করার জন্য মাশরুম চাষে উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করতে হবে এবং এর জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে।
- পানির ব্যবস্থা: সেচ দেয়ার জন্য উপযুক্ত পানির ব্যবস্থা করতে হবে যার পেছনে আপনার খরচ করতে হবে।
- শ্রমিক: চার্জ যেহেতু শ্রমিক বিয়ে করবেন শেষযুক্ত শ্রমিকের মজুরি জন্য আপনাকে খরচ বহন করতে হবে।
- অন্যান্য খরচ: এছাড়াও মাশরুম চাষ করার জন্য কীটনাশক ও পরিবহন খরচ করতে হবে।
আপনারা যদি মাশরুম চাষ শুরু করতে চান, তাহলে স্থানীয় কৃষি অফিস বা অন্যান্য মাশরুম চাষীদের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত তথ্য নিতে পারেন। এছাড়া মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনি মাশরুম চাষ করতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য
অবশেষে বলতে পারি আপনারা আমার এই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং পড়ার পরে জানতে পেরেছেন। কিভাবে ঘরে বসে মাশরুম চাষ করা যায় ও মাশরুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে। এছাড়াও মাশরুম চাষ সম্পর্কে আরো বেশ কিছু বিষয় আপনারা অবগত হয়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন।
তাই আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারা উপকৃত হবে।
ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url