মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে বাংলাদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি
প্রিয় বন্ধুরা, আপনার অনেকে জানতে চেয়েছেন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে বাংলাদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি। এ সম্পর্কে আপনারা গুগলেও সার্চ দিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। তবে আমি আমার এই আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে এ সম্পর্কে একেবারে সঠিক তথ্যটি দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
আপনারা যদি মনযোগ সহকারে আমার আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন। মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে বাংলাদেশে কোন কাজে চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভূমিকা
মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে বাংলাদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যা অনেক স্বাধীন। আপনি আপনার নিজের মত করতে পারবেন এজন্য আপনার ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে পর্যাপ্ত পরিমাণে দক্ষতা থাকতে হবে।
আপনি যে বিষয় নিয়ে দক্ষ থাকবেন সে বিষয় নিয়ে আপনি মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন। আসুন আমরা জেনে নিই, মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে বাংলাদেশে কোন কাজে চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে বাংলাদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি
মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে বাংলাদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে জানতে হলে আমাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে হবে। যাই হোক, বর্তমান সময়ে মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে অনেক মানুষ আমাদের বাংলাদেশেও এর বাইরে নয়।
আসুন আমরা জেনে নেই, মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে বাংলাদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট: ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স, ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি ইত্যাদি কাজের চাহিদা সবসময়ই থাকে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন: লোগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি কাজের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদা থাকে।
কনটেন্ট রাইটিং: ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল, প্রোডাক্ট ডিস্ক্রিপশন ইত্যাদি লেখার জন্য কনটেন্ট রাইটারদের চাহিদা থাকে।
ডাটা এন্ট্রি: বিভিন্ন ধরনের ডাটা ইনপুট করার কাজের জন্য ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের চাহিদা থাকে।
ডিজিটাল মার্কেটিং: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) ইত্যাদি কাজের জন্য ডিজিটাল মার্কেটারদের চাহিদা থাকে।
ভিডিও এডিটিং: বিভিন্ন ধরনের ভিডিও সম্পাদনা করার জন্য ভিডিও এডিটরদের চাহিদা থাকে।
অ্যানিমেশন: বিভিন্ন ধরনের অ্যানিমেশন তৈরি করার জন্য অ্যানিমেটরদের চাহিদা থাকে।
অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট: মোবাইল অ্যাপ এবং অন্যান্য ধরনের অ্যাপ ডেভেলপ করার জন্য অ্যাপ ডেভেলপারদের চাহিদা থাকে।
আপনার দক্ষতার উপর: আপনি কোন কাজে ভালো, সেই কাজটিতেই আপনার চাহিদা বেশি থাকবে।
বাজারের চাহিদার উপর: কোন কাজের চাহিদা বেশি, সেটা বাজারের চাহিদার উপর নির্ভর করবে।
আপনার প্রোফাইলের উপর: আপনার প্রোফাইল কতটা ভালো, সেটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস:
- Upwork
- Fiverr
- Freelancer
- PeoplePerHour
- Guru
এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি আপনার পরিষেবা বিক্রি করতে পারবেন এবং কাজ পেতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে
- দক্ষতা অর্জন: আপনার কোন ক্ষেত্রে দক্ষতা আছে, সেই ক্ষেত্রে আরো দক্ষ হওয়ার চেষ্টা করুন।
- প্রোফাইল তৈরি: একটি আকর্ষণীয় এবং পেশাদারি প্রোফাইল তৈরি করুন।
- পরিষেবা নির্ধারণ: আপনি কোন পরিষেবা দিতে চান, সেটা নির্ধারণ করুন।
- দাম নির্ধারণ: আপনার পরিষেবার জন্য একটি যুক্তিসঙ্গত দাম নির্ধারণ করুন।
- পরিচয় গড়া: ক্লায়েন্টদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
উপরের বিষয়গুলো সঠিকভাবে যদি মেনে চলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনার দক্ষতার ওপর ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন।
মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে কোন কাজে বেশি টাকা আয় করা যায়
মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে কোন কাজে বেশি টাকা আয় করা যায়। তার সম্পূর্ণটা নির্ভর করবে আপনার দক্ষতার উপর অর্থাৎ আপনি কোন কাজের উপর বেশি দক্ষতা অর্জন করেছেন তার ওপরে নির্ভর করবে। তারপরও বেশ কিছু বিষয় রয়েছে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
আপনার দক্ষতা: আপনি কোন কাজে ভালো, সেই কাজটিতে আপনি বেশি দাম দিতে পারবেন এবং তাতে বেশি টাকাও আয় করতে পারবেন।
বাজারের চাহিদা: কোন কাজের চাহিদা বেশি, সেই কাজে আপনি সহজে কাজ পাবেন এবং ভালো দামও নিতে পারবেন।
আপনার অভিজ্ঞতা: আপনার কাজের অভিজ্ঞতা যত বেশি হবে, আপনি তত বেশি দাম দিতে পারবেন।
আপনার প্রোফাইল: আপনার প্রোফাইল কতটা ভালো, সেটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সাধারণত, যেসব কাজে বেশি টাকা আয় করা যায়, সেগুলো হল
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট: বিশেষ করে মোবাইল অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের চাহিদা অনেক বেশি।
ডিজিটাল মার্কেটিং: SEO, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি কাজের জন্য ভালো দাম পাওয়া যায়।
গ্রাফিক্স ডিজাইন: লোগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, ইলাস্ট্রেশন ইত্যাদি কাজের জন্যও ভালো দাম পাওয়া যায়।
কনটেন্ট রাইটিং: হাই-কোয়ালিটি কনটেন্ট লেখার জন্য ভালো দাম পাওয়া যায়, বিশেষ করে টেকনিক্যাল রাইটিং, কপি রাইটিং ইত্যাদি।
ডাটা এনালিটিক্স: ডাটা বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট তৈরি করার জন্য ভালো দাম পাওয়া যায়।
কিছু উচ্চমূল্যের ফ্রিল্যান্সিং কাজ
মেশিন লার্নিং: এটি একটি উদীয়মান ক্ষেত্র এবং এই ক্ষেত্রে দক্ষ ব্যক্তিদের জন্য চাহিদা এবং দাম উভয়ই অনেক বেশি।
ব্লকচেইন ডেভেলপমেন্ট: ব্লকচেইন প্রযুক্তি এখন অনেক জনপ্রিয় এবং এই ক্ষেত্রে দক্ষ ব্যক্তিদের চাহিদাও অনেক।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: এটি আরেকটি উদীয়মান ক্ষেত্র এবং এই ক্ষেত্রে দক্ষ ব্যক্তিদের জন্যও চাহিদা এবং দাম উভয়ই অনেক বেশি।
তবে মনে রাখবেন:
- দক্ষতা অর্জন: যে কাজে আপনি ভালো, সেই কাজে আরো দক্ষ হওয়ার চেষ্টা করুন।
- পরিচয় গড়া: ক্লায়েন্টদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
- পোর্টফোলিও তৈরি: আপনার কাজের একটি ভালো পোর্টফোলিও তৈরি করুন।
- মার্কেটিং: আপনার পরিষেবাগুলো মার্কেট করুন।
আপনি মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে কোন কাজে বেশি টাকা আয় করা যায়, তা নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং বাজারের চাহিদার উপর। আপনি যদি কোন একটি ক্ষেত্রে দক্ষ হন এবং সেই ক্ষেত্রে কাজ করেন, তাহলে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি, সেটা নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার দক্ষতার উপর। আপনি যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি দক্ষ সে বিষয় নিয়ে আপনি মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন।
আসুন আমরা জেনে নেই, নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা কিছু মার্কেটপ্লেস
Fiverr: Fiverr এ আপনি ছোট ছোট কাজের জন্য খুব কম দামে কাজ পেতে পারেন। এটি নতুনদের জন্য একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম যেখানে তারা তাদের প্রোফাইল তৈরি করে এবং কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।
Upwork: Upwork একটি বড় এবং প্রতিযোগিতামূলক মার্কেটপ্লেস। এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ পেতে পারেন। তবে, প্রতিযোগিতা বেশি হওয়ায় নতুনদের জন্য এখানে কাজ পাওয়া কঠিন হতে পারে।
Freelancer: Freelancer একটি অন্য জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। এখানেও আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ পেতে পারেন।
PeoplePerHour: PeoplePerHour একটি ব্রিটিশ মার্কেটপ্লেস যা উচ্চ মানের কাজের জন্য পরিচিত।
কোন মার্কেটপ্লেসটি আপনার জন্য ভালো হবে তা নির্ধারণ করার জন্য নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করুন
আপনার দক্ষতা: আপনি কোন কাজে ভালো, সেই কাজের জন্য উপযোগী মার্কেটপ্লেস খুঁজুন।
আপনার বাজেট: আপনি কত টাকা আয় করতে চান, সেই অনুযায়ী মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করুন।
আপনার সময়: আপনি কত সময় কাজে দিতে পারবেন, সেই অনুযায়ী মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করুন।
আপনার লক্ষ্য: আপনার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য কী, সেই অনুযায়ী মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করুন।
নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার জন্য কিছু টিপস
একটি ভালো প্রোফাইল তৈরি করুন: আপনার প্রোফাইলে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কাজের নমুনাগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন।
আপনার দাম নির্ধারণ করুন: আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে একটি যুক্তিসঙ্গত দাম নির্ধারণ করুন।
কাজের জন্য আবেদন করার সময় সাবধান থাকুন: প্রত্যেক কাজের জন্য আবেদন করবেন না, শুধুমাত্র সেই কাজের জন্য আবেদন করুন যেগুলো আপনার জন্য উপযোগী।
ক্লায়েন্টদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন: ক্লায়েন্টদের সাথে সবসময় সুন্দর ব্যবহার করুন এবং তাদের প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করুন।
পরিচয় গড়া: আপনার কাজের মান ভালো হলে ক্লায়েন্টরা আপনাকে অন্যদের কাছে সুপারিশ করবে।
মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিং একটি প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্র। সফল হতে হলে আপনাকে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে এবং নিজেকে সবসময় উন্নত করতে হবে।
মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি
মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে পরিচালনা করছে যার জন্য মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আসুন আমরা জেনে নিই, মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং এর যেসব কাজের চাহিদা বেশি, সেগুলো হল
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO): ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে উপরের দিকে আনার জন্য SEO একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যবসার প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় কাজ।
পে-পার-ক্লিক (PPC) অ্যাডভার্টাইজিং: গুগল অ্যাডস, ফেসবুক অ্যাডস ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন চালানোর জন্য PPC অ্যাডভার্টাইজিং একটি কার্যকর কৌশল।
ইমেইল মার্কেটিং: ইমেইলের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করে পণ্য বা সেবা বিক্রয় করার জন্য ইমেইল মার্কেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
কনটেন্ট মার্কেটিং: ব্লগ পোস্ট, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক্স ইত্যাদি কনটেন্ট তৈরি করে লক্ষ্যমাত্রা গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করার জন্য কনটেন্ট মার্কেটিং একটি কার্যকর কৌশল।
অ্যানালিটিক্স: ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ডাটা বিশ্লেষণ করে ব্যবসার পারফরম্যান্স বোঝার জন্য অ্যানালিটিক্স একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
এছাড়াও, নিচের কাজগুলোর চাহিদাও বেশি
ভিডিও মার্কেটিং: ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে পণ্য বা সেবা বিক্রয় করা।
চ্যাটবট ডেভেলপমেন্ট: চ্যাটবট তৈরি করে গ্রাহকদের সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগাযোগ করা।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM): সার্চ ইঞ্জিনে ব্যবসার দৃশ্যমানতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করা।
মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ পেতে আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে
দক্ষতা অর্জন: আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করুন।
পরিচয় গড়া: ক্লায়েন্টদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
পোর্টফোলিও তৈরি: আপনার কাজের একটি ভালো পোর্টফোলিও তৈরি করুন।
মার্কেটিং: আপনার পরিষেবাগুলো মার্কেট করুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি যদি এই বিষয়ে দক্ষ হন, তাহলে আপনি সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন।
মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি হবে, সেটা নির্ভর করবে অনেকটা প্রযুক্তির উন্নয়নের ওপর এবং বাজারের চাহিদার উপর। এক্ষেত্রে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা মার্কেটপ্লেসে সবসময় থাকবে এর মাঝেই কিছু নতুন ক্ষেত্রও উঠে আসবে।
যাই হোক আসুন আমরা জেনে নেই, মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি হবে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভবিষ্যতে চাহিদা বেশি থাকতে পারে এমন কিছু বিষয়
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ও মেশিন লার্নিং: এই ক্ষেত্রে দক্ষ ব্যক্তিদের চাহিদা অনেক বেশি থাকবে। AI এবং মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অটোমেশন, ডাটা বিশ্লেষণ এবং ভবিষ্যৎবাণী করা যায়।
ডাটা সায়েন্স: বিগ ডাটা বিশ্লেষণ করে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করার জন্য ডাটা সায়েন্টিস্টদের চাহিদা থাকবে।
ব্লকচেইন ডেভেলপমেন্ট: ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদ এবং স্বচ্ছ সিস্টেম তৈরি করা যায়। এই ক্ষেত্রে দক্ষ ব্যক্তিদের চাহিদা থাকবে।
সাইবার সিকিউরিটি: অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের চাহিদা থাকবে।
ভার্চুয়াল ও অগমেন্টেড রিয়েলিটি: এই প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করে নতুন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন এবং গেম তৈরি করা যায়।
ক্লাউড কম্পিউটিং: ক্লাউড-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন এবং সার্ভিস ডেভেলপ করার জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং বিশেষজ্ঞদের চাহিদা থাকবে।
ই-কমার্স: ই-কমার্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সারের চাহিদা থাকবে, যেমন ওয়েব ডেভেলপার, ডিজিটাল মার্কেটার, কনটেন্ট রাইটার ইত্যাদি।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যবসার প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারদের চাহিদা থাকবে।
এছাড়াও, কিছু ঐতিহ্যবাহী ক্ষেত্রেও চাহিদা থাকবে
- গ্রাফিক্স ডিজাইন: বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদা থাকবে।
- কনটেন্ট রাইটিং: বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট লেখার জন্য কনটেন্ট রাইটারদের চাহিদা থাকবে।
- ভিডিও এডিটিং: বিভিন্ন ধরনের ভিডিও সম্পাদনা করার জন্য ভিডিও এডিটরদের চাহিদা থাকবে।
ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ
ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং এর সুযোগ আরো বাড়বে। বিশ্বব্যাপী মহামারীর পর থেকে ফ্রিল্যান্সিং আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
নিজেকে আপডেট রাখতে হবে: প্রযুক্তির উন্নয়ন অনুযায়ী নিজেকে আপডেট রাখতে হবে।
নতুন দক্ষতা অর্জন করতে হবে: নতুন দক্ষতা অর্জন করে আপনি নিজেকে আরো বেশি বহুমুখী করতে পারবেন।
নেটওয়ার্কিং করতে হবে: অন্যান্য ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টদের সাথে নেটওয়ার্কিং করতে হবে।
পরিচয় গড়তে হবে: ভালো মানের কাজ করে আপনি ভালো একটি পরিচয় গড়তে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। আপনি যদি নিজেকে আপডেট রাখেন এবং নতুন দক্ষতা অর্জন করেন, তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে সফল হতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য
অবশেষে বলতে পারি আপনারা আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং পড়ার পরে জানতে পেরেছেন। মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে বাংলাদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে, আশা করি উপকৃত হয়েছেন।
এছাড়া আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়েও আপনার ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন। যাইহোক,আমার আর্টিকেলটি পড়ার পরে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারা উপকৃত হবে।
ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url