বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি কোন কোন খাবার খেলে বৃদ্ধি পায়

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না
প্রিয় বন্ধুরা,আপনারা অনেকেই বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি কোন কোন খাবার খেলে বৃদ্ধি পায়। এ সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজি করে বেড়ান বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়তে। আমি আপনাদেরকে আমার এই আর্টিকেলটিতে একেবারে সঠিক তথ্যটি দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি কোন কোন খাবার খেলে বৃদ্ধি পায়

আপনার যদি মনোযোগ সহকারে আমার আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন।বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি কোন কোন খাবার খেলে বৃদ্ধি পায় সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ভূমিকা

বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি কোন কোন খাবার খেলে বৃদ্ধি পায় যা আমরা অনেকেই জানিনা ।তবে মা বাবা হিসেবে আপনাকে অবশ্যই আপনার বাচ্চা প্রতি যত্নশীল হতে হবে। কোন কোন খাবারগুলো খেলে বাচ্চা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে এর জন্য দরকার হলে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

আপনি যদি সঠিকভাবে আপনার বাচ্চার যত্ন নিতে পারেন এবং সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে পারেন তাহলে অবশ্যই বাচ্চাদের শক্তি ও মেধা শক্তি বৃদ্ধি পাবে। আসুন আমরা জেনে নেই, বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি কোন কোন খাবার খেলে বৃদ্ধি পায় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি কোন কোন খাবার খেলে বৃদ্ধি পায়

বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য অবশ্যই তাদেরকে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। কারণ পুষ্টিকর খাবার না দিলে বাচ্চা কখনোই স্মৃতিশক্তি দিক দিয়ে ভালো হতে পারবেনা। তাই নিচে এমন কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো যা বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। আসুন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

মস্তিষ্কের খাদ্য হিসেবে পরিচিত খাবার গুলি হল

মাছ ও ডিম: মাছ ও ডিম এই দুইটি খাবারে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। তাই প্রতিনিয়ত বাচ্চাদেরকে মাছ ও ডিম খেতে দেওয়া উচিত।

বাদাম ও বীজ: বাদামে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পাশাপাশি ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং বাচ্চার দেহের পুষ্টির চাহিদা পরিপূর্ণভাবে পূরণ করে।

সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজিতে ভিটামিন কে, ফোলেট ও বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বেরি জাতীয় ফল: বেরি জাতীয় ফলে ভিটামিন সি, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি থাকে, যা মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে।

ওটস: ওটসে ফাইবার, ভিটামিন ই, জিঙ্ক ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

আভাকাডো: আভাকাডোতে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে, যা মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।

কেন এই খাবারগুলি স্মৃতিশক্তি বাড়ায়?

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে, স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: মস্তিষ্কের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি কমায়।

ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ: মস্তিষ্কের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে এবং স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।

বাচ্চাদের খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলি কীভাবে যোগ করবেন?

দৈনিক খাবারে: বাচ্চাদের প্রতিদিনের খাবারে বিভিন্ন ধরনের ফল, সবজি, বাদাম, বীজ এবং মাছ বা ডিম যোগ করুন।

সুস্বাদু রেসিপি: বাচ্চাদের পছন্দমতো সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করে এই খাবারগুলি খাওয়ান।

সুষম খাদ্যতালিকা: বাচ্চাদের জন্য একটি সুষম খাদ্যতালিকা তৈরি করুন যাতে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে।

তবে একটি কথা মনে রাখা অবশ্যই জরুরি যে,খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক চাপ কমানোও বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।আপনার সন্তানের জন্য সেরা খাদ্য পরিকল্পনা করার জন্য একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।

কোন ফল খেলে বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ে

শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ফলের ভূমিকা অপরিসীম। বিভিন্ন ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সুস্থ রাখতে এবং মেধা শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। 

আসুন আমরা জেনে নেই, কোন ফলগুলি স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

বেরি জাতীয় ফল: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি ইত্যাদি বেরি জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা মস্তিষ্কের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

আভাকাডো: আভাকাডোতে ভিটামিন কে, ফোলেট এবং বিটা-ক্যারোটিন থাকে যা মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া আভাকাডোতে থাকা হোলি ফ্যাট মস্তিষ্কের কোষকে পুষ্টি জোগায়।

কলা: কলায় পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি৬ থাকে যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

আপেল: আপেলে কুইনসিন থাকে যা মস্তিষ্কের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

ডালিম: ডালিমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

এছাড়াও, নিচের ফলগুলোও বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে:

আঙ্গুর, আমড়, কমল, লেবু ।

বাচ্চাদেরকে কীভাবে এই ফলগুলি খাওয়াবেন:
  • ফ্রেশ জুস: বিভিন্ন ফল মিশিয়ে তাজা জুস বানিয়ে দিতে পারেন।
  • সালাত: সালাতে বিভিন্ন ধরনের ফল কেটে মিশিয়ে দিতে পারেন।
  • স্মুথি: দুধ বা দইয়ের সাথে ফল মিশিয়ে স্মুথি বানিয়ে দিতে পারেন।
  • ফলের টুকরো: ফলের টুকরো করে বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন।
মনে রাখবেন:

বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন রঙের ফল খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।

ফলকে কেটে বা ব্লেন্ড করে খাওয়ালে বাচ্চাদের জন্য খাওয়া সহজ হবে।

বাচ্চাদেরকে ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে তাদের সাথে মিলে ফল কিনতে যান এবং ফল কাটার কাজে সাহায্য করুন।

এছাড়াও, বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ:
  • পর্যাপ্ত ঘুম: বাচ্চাদেরকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম দিন।
  • ব্যায়াম: বাচ্চাদেরকে নিয়মিত ব্যায়াম করান।
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য: বাচ্চাদেরকে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান।
  • মানসিক চাপ কমানো: বাচ্চাদের মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।
এই সবগুলো বিষয় মিলে বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করবে।

বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম

বাচ্চাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যেমন শারীরিক ব্যায়াম দরকার । তেমন তাদের মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য মস্তিষ্কেরও ব্যায়াম অত্যন্ত জরুরী। তবে বাচ্চাদের মস্তিষ্কের ব্যায়াম খুবই মজাদার, আসুন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো ।

কিছু কার্যকর ব্যায়াম:

  • গল্প শোনানো এবং প্রশ্ন করা: বাচ্চাদেরকে ছোট ছোট গল্প শোনান এবং গল্পের ঘটনা, চরিত্র, এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করুন। এতে তাদের মনে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
  • ছবি দেখানো এবং বর্ণনা করানো: বিভিন্ন ছবি দেখিয়ে বাচ্চাদেরকে সেগুলোর বর্ণনা করতে বলুন। এতে তাদের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং ভাষা দক্ষতাও বাড়বে।
  • পাজল: পাজল সমাধান করতে বাচ্চাদেরকে উৎসাহিত করুন। পাজল সমাধান করার সময় মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ কাজ করে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • মেমোরি গেম: মেমোরি গেম খেলতে বাচ্চাদেরকে উৎসাহিত করুন। এই গেমগুলো মস্তিষ্কের মেমোরি কেন্দ্রকে উদ্দীপিত করে।
  • গান এবং ছড়া শেখানো: বাচ্চাদেরকে নতুন গান এবং ছড়া শেখান। এতে তাদের ভাষা দক্ষতা এবং স্মৃতিশক্তি উভয়ই বাড়বে।
  • চিত্র আঁকার মাধ্যমে বর্ণনা: কোনো ছবি দেখিয়ে বাচ্চাদেরকে সেই ছবির বর্ণনা চিত্র আঁকার মাধ্যমে করতে বলুন। এতে তাদের সৃজনশীলতা এবং স্মৃতিশক্তি উভয়ই বাড়বে।
  • বস্তু সনাক্তকরণ: বিভিন্ন বস্তু লুকিয়ে রেখে বাচ্চাদেরকে সেগুলো খুঁজে বের করতে বলুন। এতে তাদের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং স্মৃতিশক্তি উভয়ই বাড়বে।
  • কাহিনী গঠন: বাচ্চাদেরকে ছোট ছোট কাহিনী গঠন করতে বলুন। এতে তাদের কল্পনাশক্তি এবং স্মৃতিশক্তি উভয়ই বাড়বে।
  • নতুন শব্দ শেখানো: প্রতিদিন বাচ্চাদেরকে নতুন শব্দ শেখান। এতে তাদের শব্দভাণ্ডার এবং স্মৃতিশক্তি উভয়ই বাড়বে।
  • প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ: বাচ্চাদেরকে প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করতে উৎসাহিত করুন। তারা যা দেখবে, তা মনে রাখার চেষ্টা করুন।
অন্যান্য উপায়:

পড়াশোনা: বাচ্চাদেরকে নিয়মিত পড়াশোনা করতে উৎসাহিত করুন।

খেলাধুলা: বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করুন।

সুষম খাদ্য: বাচ্চাদেরকে সুষম খাদ্য খাওয়ান।

পর্যাপ্ত ঘুম: বাচ্চাদেরকে পর্যাপ্ত ঘুম দিন।


কোন বাদাম খেলে বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ে


বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য বাদাম সুষম খাবারের বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাদাম খেলে বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে। আসুন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

কেন বাদাম?

বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। এই পুষ্টিগুণ মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সক্রিয় রাখতে এবং নতুন সংযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কোন বাদামগুলো খাওয়া ভালো?
  • আখরোট: আখরোটে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড প্রচুর পরিমাণে থাকে। এটি মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সুরক্ষা দেয় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • বাদাম: বাদামে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা মস্তিষ্কের ক্ষতি রোধ করে।
  • কাজু বাদাম: কাজু বাদামেও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। এছাড়া এতে ভিটামিন বি এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • পিস্তা: পিস্তায় ফাইবার এবং প্রোটিন থাকে যা শরীরকে শক্তিশালী করে এবং মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে।
কিভাবে খাওয়াবেন?
  • বাচ্চাদেরকে প্রতিদিন এক মুঠো করে বিভিন্ন ধরনের বাদাম খাওয়ানো যেতে পারে।
  • বাদামকে দুধ, দই বা সলাদের সাথে মিশিয়েও খাওয়ানো যেতে পারে।
  • বাদামকে ব্লেন্ড করে বাচ্চাদের পছন্দের স্মুথি তৈরি করে দিতে পারেন।
কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন:
  • বয়স: ছোট বাচ্চাদেরকে সম্পূর্ণ বাদাম খাওয়ানো উচিত নয় কারণ তারা গিলে ফেলতে পারে। তাদের জন্য বাদামকে ভালো করে পিষে বা ব্লেন্ড করে খাওয়ানো উচিত।
  • পরিমাণ: অতিরিক্ত বাদাম খাওয়াও ভালো নয়। সঠিক পরিমাণে বাদাম খাওয়ানো উচিত।
  • অ্যালার্জি: কিছু বাচ্চার বাদামের অ্যালার্জি থাকতে পারে। তাই বাচ্চাকে প্রথমবার বাদাম খাওয়ানোর আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • মনে রাখবেন: বাদাম স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের জন্য অন্যান্য অনেক উপকারও করে। তবে সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমেই বাচ্চার সামগ্রিক বিকাশ নিশ্চিত করা যায়।

কোন শাক খেলে বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ে

বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য শাক খাওয়া খুবই উপকারী।বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে যা বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । আসুন আমরা জেনে নেই ,কোন শাক খেলে বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

কেন শাকসবজি?

শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সুরক্ষা দেয় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, ভিটামিন কে, ফোলেট এবং বিটা ক্যারোটিন মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

কোন শাকগুলো খাওয়া ভালো?
  • পালং শাক: পালং শাকে ভিটামিন কে, আয়রন এবং ফোলেট প্রচুর পরিমাণে থাকে। এই পুষ্টিগুণ মস্তিষ্কের বিকাশ এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ব্রোকলি: ব্রোকলির মধ্যে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি এবং ফোলেট থাকে। এটি মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সুরক্ষা দেয় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • কলা: কলাতে ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন থাকে। এটি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার পাশাপাশি মস্তিষ্কের বিকাশের জন্যও ভালো।
  • বাঁধাকপি: বাঁধাকপিতে ভিটামিন কে এবং ফোলেট থাকে। এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
কিভাবে খাওয়াবেন?

শাকসবজিগুলোকে ভাপে রান্না করে বা স্যুপে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।
শাকসবজিগুলোকে স্মুথিতে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।
শাকসবজিগুলোকে পাস্তা বা চিকেনের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।

কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন:
  • বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।
  • শাকসবজিগুলোকে সুস্বাদু করে তৈরি করুন যাতে বাচ্চারা খেতে আগ্রহী হয়।
  • বাচ্চাদেরকে শাকসবজির গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
  • মনে রাখবেন: শাকসবজি স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের জন্য অন্যান্য অনেক উপকারও করে। 
তবে সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমেই বাচ্চার সামগ্রিক বিকাশ নিশ্চিত করা যায়।আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য সর্বদা একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

লেখক এর মন্তব্য

অবশেষে আমি বলতে পারি, আপনারা আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং পরে জানতে পেরেছেন। বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি কোন কোন খাবার খেলে বৃদ্ধি পায় এ সম্পর্কে আশা করি উপকৃত হয়েছেন।

তাই আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে যদি আপনারা একটু উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারা উপকৃত হবে।

ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url