শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না
জাম্বুরার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী ও জাম্বুরার পুষ্টিগুণ
প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না এ সম্পর্কে। তবে আমি আপনাদেরকে আমার এই আর্টিকেলটিতে এ সম্পর্কে একেবারে সঠিক তথ্যটি দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
আপনারা যদি মনযোগ সহকারে আমার আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভূমিকা
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না এ সম্পর্কে জানতে হলে আমার এই আর্টিকেলটা আপনাকে অবশ্যই খুব ভালোভাবে পড়তে হবে। তবে আমি বলতে পারি শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধের বিকল্প কিছু নেই।
কারণ মায়ের বুকের দুধ শিশুর জন্য অনেক পুষ্টিকর এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণেই শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না এবং যা যা খাবেন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মায়ের খাদ্যাভ্যাস: জেনে নিন কী খাবেন এবং কী খাবেন না
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো প্রত্যেকটি মা জাতির জন্য অত্যন্ত গর্বের। বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য অবশ্যই মায়ের খাদ্যাভ্যাসের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ মায়ের খাবারের উপরে নির্ভর করে শিশুর পুষ্টি।
তাই মায়ের কোন খাবার খাওয়া উচিত এবং কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিত সে বিষয়টি অবশ্যই খুব ভালো ভাবে আমাদের জানতে হবে। আসুন আমরা জেনে নিই, শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন ও খাবেন না সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
মা কী খাবেন?
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের জন্য দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খুবই জরুরি।
মাছ, মাংস, ডিম: প্রোটিন, আয়রন এবং বিভিন্ন ভিটামিনের উৎস হচ্ছে মাছ, মাংস, ডিম।
ডাল: প্রোটিন এবং ভিটামিনের ভালো উৎস আছে ডাল।
সবুজ শাকসবজি: ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের ভালো উৎস হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি।
ফল: বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস হচ্ছে ফল।
পানি: শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
আয়োডিনযুক্ত লবণ: শিশুর বৃদ্ধির জন্য আয়োডিন খুবই জরুরি।
মা কী খাবেন না?
অতিরিক্ত কফি ও চা: কফি ও চায়ে থাকা ক্যাফেইন শিশুর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
অ্যালকোহল: অ্যালকোহল শিশুর শরীরে প্রবেশ করতে পারে এবং তার বৃদ্ধি ও বিকাশকে বাধা দিতে পারে।
ধূমপান: ধূমপান মায়ের দুধের গুণগত মান কমিয়ে দেয়।
অতিরিক্ত মশলাদার খাবার: অতিরিক্ত মশলাদার খাবার শিশুর পেটে গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই অতিরিক্ত মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
অপরিশোধিত খাবার: অপরিশোধিত খাবারে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে যা শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
কোনো ধরনের ওষুধ: কোনো ধরনের ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কেন কিছু খাবার এড়াতে হয়?
অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন: এগুলো শিশুর শরীরে গিয়ে তার বৃদ্ধি ও বিকাশকে বাধা দিতে পারে।
মশলা ও তেল: অতিরিক্ত মশলা ও তেল শিশুর পেটে গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
কিছু খাবার এলার্জি: কিছু খাবার শিশুর শরীরে এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে। তাই, নতুন কোনো খাবার খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
মনে রাখবেন:
প্রতিটি মা ও শিশু আলাদা। তাই, আপনার জন্য কোন খাবার উপযুক্ত, সেটা জানতে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুন।
সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
শিশুকে কিভাবে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে
শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ সবচেয়ে উপযুক্ত একটি খাবার। কারণ এতে রয়েছে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান যা শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও মায়ের বুকের দুধ শিশুর জন্য নানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
আসুন আমরা জেনে নিই, শিশুকে কিভাবে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে সে পদ্ধতি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
বুকের দুধ খাওয়ানোর সঠিক পদ্ধতি:
- জন্মের পরপর: শিশুকে জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত।
- সঠিক অবস্থান: শিশুকে আরামদায়কভাবে বসিয়ে বা শুইয়ে বুকের দুধ খাওয়ানো যেতে পারে।
- ঠিকভাবে আঁকড়ানো: শিশু যাতে আরেওলা (দুধের গোলাকার অংশ) পুরোটাই মুখে নেয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- দুধের প্রবাহ: শিশু যাতে ভালো করে দুধ চুষতে পারে সেজন্য দুধের প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে।
- দুধ খাওয়ানোর সময়: শিশু যখনই ক্ষুধার্ত হয়, তখনই তাকে দুধ খাওয়ানো উচিত। কোনো নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে চলার প্রয়োজন নেই।
- দুধ খাওয়ানোর পর: শিশুকে কাঁধে তুলে হালকাভাবে চাপ দিয়ে বা পেটে হালকা চাপ দিয়ে বায়ু তাড়াতে হবে।
মায়ের খাবারে প্রতি যত্নশীল
- দুধ কম আসা: পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া এবং স্ট্রেস কমাতে হবে।
- দুধ খাওয়ানোর সময় ব্যথা: সঠিক অবস্থানে শিশুকে আঁকড়ানো, ল্যাক্টেশন কনসালট্যান্টের পরামর্শ নেয়া।
- শিশুর দুধ না খাওয়া: শিশুর মুখে কোনো সমস্যা আছে কি না তা দেখা উচিত। কারণ শিশুর মুখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে তার কারণেও সে দুধ খাওয়ার প্রতি অনিয়া আসতে পারে। তাই শিশুর মুখে কোন সমস্যা আছে কিনা সেটা ভালো হবে দেখতে হবে।
বুকের দুধ খাওয়ানোর উপকারিতা:
- শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ স্বাভাবিক হয়।
- মা ও শিশুর মধ্যে আধ্যাত্মিক বন্ধন সৃষ্টি হয়।
- মায়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
উপরের পদ্ধতিগুলো সঠিকভাবে পালন করলে অবশ্যই আপনি বুঝতে পারবেন শিশুকে কিভাবে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
বুকের দুধ খাওয়ানো মা কি সব খেতে পারবে
শিশুকেও বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য মায়ের খাবারের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। কারণ মা যেসব খাবার গ্রহণ করবে সেগুলো সরাসরি মায়ের বুকের দুধের মাধ্যমে শিশুর দেহে প্রবেশ করে। তাই মাকে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, মা যদি পুষ্টিকর খাবার খায় শিশু অবশ্যই সুস্থ থাকবে।
আসুন আমরা জেনে নেই, বুকের দুধ খাওয়ানো মা কি সব খেতে পারবে এ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
মায়ের খাদ্যতালিকায় যা যা থাকা উচিত
- প্রচুর পরিমাণে পানি: দুধ উৎপাদনের জন্য পানি অত্যন্ত জরুরী।
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের জন্য।
- মাছ, মাংস, ডিম: প্রোটিনের উৎস হিসেবে।
- সবজি ও ফল: ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের জন্য।
- পুরো শস্য: শক্তি এবং ফাইবারের জন্য।
কিছু খাবার যা সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত
- ক্যাফেইন: কফি, চা, কোলা ইত্যাদি শিশুর ঘুমের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
- অতিরিক্ত চিনি: শিশুর ওজন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- মশলাদার খাবার: শিশুর পেটে ব্যথা হতে পারে।
- কাঁচা বা অপরিষ্কার খাবার: খাদ্যবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
- আলকোহল: শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?
যদি আপনার শিশু দুধ খাওয়ার পর অস্বস্তি বোধ করে।
যদি আপনার শিশুর ওজন বাড়ছে না।
যদি আপনার কোনো খাবার খাওয়ার পর শিশুর শরীরে কোনো অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
মনে রাখবেন: প্রতিটি মায়ের শরীর আলাদা। তাই, আপনার জন্য কোন খাবার উপযুক্ত, তা জানতে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
এছাড়াও, আপনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করতে পারেন
- সুষম খাদ্যতালিকা: বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে আপনার শরীরে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান যোগাতে পারেন।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম: শিশুকে দুধ খাওয়ানোর পর যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমাতে হবে।
- স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: মানসিক চাপ কমাতে মনোযোগ দিন।
- সুস্থ থাকুন এবং আপনার শিশুকে সুস্থ রাখুন।
বুকের দুধ শুকিয়ে যায় কেন
মায়ের বুকের দুধ শুকিয়ে যায় বিভিন্ন কারনে। তবে বিশেষ করে এটি অনেক নতুন মায়েদের জন্য হয় যা অনেক চিন্তার বিষয়। আসুন আমরা জেনে নেই, বুকের দুধ শুকিয়ে যায় কেন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
বুকের দুধ শুকিয়ে যাওয়ার সাধারণ কারণ
- দুধ না খাওয়ানো: শিশু যত বেশি দুধ খাবে, তত বেশি দুধ তৈরি হবে। যদি শিশু নিয়মিত এবং ভালোভাবে দুধ না খায়, তাহলে দুধ তৈরির পরিমাণ কমে যেতে পারে।
- দুধ পাম্প না করা: যদি শিশু দুধ খাওয়ার পরও বুকে দুধ থেকে যায়, তাহলে তা পাম্প করে নিলে দুধ তৈরির পরিমাণ বাড়তে সাহায্য করে।
- ঔষধ সেবন: কিছু ধরনের ঔষধ বুকের দুধের উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে।
- শারীরিক অসুস্থতা: জ্বর, ডায়রিয়া, অন্যান্য সংক্রমণ ইত্যাদি শারীরিক অসুস্থতা দুধের উৎপাদনকে প্রভাবিত করতে পারে।
- মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ দুধ তৈরির প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
- অপর্যাপ্ত পুষ্টি: মায়ের যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার না পায়, তাহলে দুধের পরিমাণ কমে যেতে পারে।
- শিশুর জন্মের সময় জটিলতা: কখনো কখনো শিশুর জন্মের সময় জটিলতা থাকলে বা শিশু অসুস্থ থাকলে, সে দুধ খেতে অসুবিধা বোধ করতে পারে এবং ফলে দুধের উৎপাদন কমে যেতে পারে।
বুকের দুধ শুকিয়ে যাওয়া রোধ করার উপায়
- নিয়মিত এবং ভালোভাবে শিশুকে দুধ খাওয়ান: শিশুকে যতবার সে চায়, ততবার দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।
- দুধ পাম্প করুন: যদি বুকে দুধ থেকে যায়, তাহলে তা পাম্প করে নিলে দুধ তৈরির পরিমাণ বাড়তে সাহায্য করে।
- সুষম খাবার খান: প্রচুর পরিমাণে পানি, ফল, শাকসবজি এবং পুষ্টিকর খাবার খান।
- বিশ্রাম নিন: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং বিশ্রাম নিন।
- মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন: যোগাযোগ, ধ্যান ইত্যাদির মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।
ডাক্তারের পরামর্শ নিন: যদি আপনি বুকের দুধ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে একজন দক্ষ স্তন্যপান পরামর্শদাতা বা ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
মনে রাখবেন:
প্রতিটি মায়ের শরীর আলাদা। কারো কাছে দুধ তৈরি হওয়া সহজ হতে পারে, আবার কারো কাছে কঠিন।
ধৈর্য ধরে চেষ্টা করুন। কোনো সমস্যায় পড়লে একজন দক্ষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করনীয়
বাচ্চারা অনেক সময় মায়ের বুকের দুধ খেতে চায় না এজন্য বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তবে বাচ্চাদের জন্য মায়ের বুকের দুধ সবচেয়ে বেশি উপকারি। একজন মা হিসেবে আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করে আপনার বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
আসুন আমরা জেনে নেই, বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করণীয় কি সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কেন শিশু বুকের দুধ খেতে না চাইতে পারে?
- দাঁত গজানো: দাঁত গজানোর সময় শিশুর মুখে ব্যথা হতে পারে এবং সে বুক চুষতে অস্বস্তি বোধ করতে পারে।
- নাশ পাচের সমস্যা: কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস ইত্যাদি সমস্যা থাকলে শিশু বুকের দুধ খেতে অনীহা দেখাতে পারে।
- দুধের পরিমাণ বা গুণগত মান: যদি দুধের পরিমাণ কম হয় অথবা দুধে কোনো সমস্যা থাকে তাহলে শিশু খেতে না চাইতে পারে।
- নতুন পরিবেশ: নতুন পরিবেশে অভ্যস্ত হতে সময় লাগতে পারে এবং এর ফলে শিশু বুকের দুধ খাওয়াতে অনীহা দেখাতে পারে।
- চুষনি ব্যবহার: চুষনি ব্যবহারের ফলে শিশু বুক চুষতে অভ্যস্ত না হয়ে পড়তে পারে।
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে উৎসাহিত করার উপায়
- শান্ত পরিবেশ: শিশুকে শান্ত এবং আরামদায়ক পরিবেশে বসিয়ে দুধ খাওয়ান।
- ঠিকভাবে ধরে বসান: শিশুকে ঠিকভাবে ধরে বসিয়ে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।
- বিভিন্ন অবস্থান: বিভিন্ন অবস্থানে শিশুকে বসিয়ে দুধ খাওয়ান।
- দুধের স্বাদ পরিবর্তন: আপনার খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনুন। বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে দেখুন, হয়তো দুধের স্বাদে পরিবর্তন হবে এবং শিশু খেতে আগ্রহী হবে।
- মায়ের স্বাস্থ্য: নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখুন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং পুষ্টিকর খাবার খান।
- ধৈর্য ধরুন: শিশুকে জোর করে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না। ধৈর্য ধরে চেষ্টা করুন।
- ডাক্তারের পরামর্শ: যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে একজন দক্ষ স্তন্যপান পরামর্শদাতা বা ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
মনে রাখবেন:
- বুকের দুধ শিশুর জন্য সবচেয়ে ভালো খাবার।
- শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যান।
- ধৈর্য ধরে চেষ্টা করলে আপনি সফল হবেন।
লেখকের মন্তব্য
অবশেষে বলতে পারি আপনারা আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং পড়ার পরে জানতে পেরেছেন। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না এ সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন।
তাই আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারা উপকৃত হবে। আর যদি কোন পরামর্শ দিতে চান অবশ্যই দেবেন।
ধন্যবাদ
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url