সেলস খারাপ হওয়ার পেছনে শুধু কি বিক্রয় কর্মী দায়ী নাকি প্রতিষ্ঠান

প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন সেলস খারাপ হওয়ার পেছনে শুধু কি বিক্রয় কর্মী দায়ী নাকি প্রতিষ্ঠান। এ সম্পর্কে আমি আপনাদেরকে আমার এই আর্টিকেলটিতে একবারে সঠিক তথ্যটি তুলে ধরেছি।

সেলস খারাপ হওয়ার পেছনে শুধু কি বিক্রয় কর্মী দায়ী নাকি প্রতিষ্ঠান

আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন সেলস খারাপ হওয়ার পেছনে শুধু কি বিক্রয় কর্মী দায়ী নাকি প্রতিষ্ঠান। আসুন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ভূমিকা

সেলস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা জীবনে কিছু করতে গেলে অবশ্যই আমাদেরকে সেলস সম্পর্কে জানতে হবে। সেলস কি শুধু একজন বিক্রয় কর্মী করে। এ পৃথিবীতে প্রত্যেকেই সেলস করে কোন না কোন ভাবে। তবে কেউ কেউ সেল খারাপ করে আবার কেউ কেউ ভালো করে।

যার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে যা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। একজন বিক্রয় কর্মীর সেলস খারাপ হওয়ার পেছনে শুধুমাত্র বিক্রয় কর্মী দায়ী নয়। ফেস খারাপ হওয়ার পেছনে প্রতিষ্ঠান দায়ী হয়ে থাকে। সেলস খারাপ হওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠান দায়ী এর কারণ হলো সবকিছুরিই একটা ম্যানেজমেন্ট থাকে যার ম্যানেজমেন্ট যত ভালো তার সেলস এর অবস্থা তত ভালো।

আসুন আমরা জেনে নেই ,সেলস খারাপ হওয়ার পেছনে শুধু কি বিক্রি নাকি প্রতিষ্ঠান সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

সেলস খারাপ হওয়ার পেছনে শুধু কি বিক্রয় কর্মী দায়ী নাকি প্রতিষ্ঠান

সেলস খারাপ হওয়ার পেছনে আমরা শুধু একজন বিক্রয়ী কর্মীকেই দায়ী করে থাকি এটা আসলেই সঠিক নয়। একজন বিক্রয় কর্মী তখনই সঠিকভাবে সেলস করতে পারবে যখন কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্যের গুণগত মান ভালো থাকবে এবং প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্ট ভালো থাকবে।

তবে একজন বিক্রয় কর্মী সেলসে ভালো করতে পারবে। আমরা না জেনে না বুঝে অনেক সময় বিক্রয় কর্মীর উপরেই সব দোষ আরোপ করি যা আসলেই অনুচিত।সেলস খারাপ হওয়ার পেছনে শুধু কি বিক্রয় কর্মী দায়ী নাকি প্রতিষ্ঠান সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পণ্য/সেবা: সম্ভবত পণ্য/সেবাটি বাজারের চাহিদা পূরণ করছে না, প্রতিযোগিতামূলক নয়, অথবা এর দাম বেশি।

মার্কেটিং: পণ্য/সেবার প্রচারণা ও বিপণন কার্যক্রম অকার্যকর হতে পারে।

বাজার: বাজারে মন্দা চলছে অথবা লক্ষ্য গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে।

প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা: অপ্রতুল প্রশিক্ষণ, দুর্বল ব্যবস্থাপনা, কর্মীদের মধ্যে অপ্রেরণা, অথবা যোগাযোগের অভাবের মতো সমস্যা থাকতে পারে।

অর্থনৈতিক অবস্থা: অর্থনৈতিক মন্দা বাজারে চাহিদা কমিয়ে দিতে পারে।

অন্যদিকে, বিক্রয় কর্মীদের কিছু দুর্বলতাও বিক্রয় কমে যেতে পারে:

দক্ষতার অভাব: তাদের পণ্য/সেবা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকা, কার্যকরভাবে গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করতে না পারা, অথবা দর কষাকষি করতে না পারা।

অপ্রেরণা: কম কমিশন, অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধা, অথবা লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতার কারণে কর্মীরা হতাশ হতে পারে।

কাজের প্রতি অনীহা: কর্মীরা যদি তাদের কাজের প্রতি আগ্রহী না হয়, তাহলে তারা তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় কাজ করতে পারবে না।

সুতরাং, বিক্রয় বৃদ্ধি করতে হলে প্রতিষ্ঠান এবং বিক্রয় কর্মী উভয় পক্ষকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানকে তাদের পণ্য/সেবা, মার্কেটিং কৌশল, এবং অভ্যন্তরীণ পরিচালনা ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। বিক্রয় কর্মীদেরকে প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আরও দক্ষ করে তুলতে হবে এবং তাদেরকে অনুপ্রাণিত করতে হবে।

কিছু সমাধান যা বিক্রয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে:

বাজার গবেষণা: গ্রাহকদের চাহিদা ও পছন্দ সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে।

পণ্য/সেবা উন্নত করা: গ্রাহকদের চাহিদা পূরণের জন্য পণ্য/সেবা পরিবর্তন ও উন্নত করা।

কার্যকর মার্কেটিং কৌশল তৈরি করা: লক্ষ্য গ্রাহকদের কাছে পণ্য/সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য।

বিক্রয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি: তাদেরকে আরও কার্যকরভাবে বিক্রয় করতে সক্ষম করার জন্য।

সেলস ভালো করার জন্য বিক্রয় কর্মীর কি কি গুন থাকা উচিত

একজন সফল বিক্রয় কর্মীর জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গুণ থাকা প্রয়োজন। সেলস ভালো করার জন্য অবশ্যই একজন বিক্রয় কর্মীকে সৎ, কর্মঠ ও পরিশ্রমী হতে হবে। এছাড়াও বিক্রয় কর্মী যে প্রতিষ্ঠানের প্রতি হয়ে কাজ করবে সে প্রতিষ্ঠানের প্রতি ও সে প্রতিষ্ঠানে পণ্যের প্রতি সম্মান থাকতে হবে।

আসুন আমরা জানি সেলস এ ভালো করার জন্য বিক্রয় কর্মে কি কি গুন থাকা উচিত সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

যোগাযোগ দক্ষতা:
  • একজন বিক্রয় কর্মীকে স্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত এবং আকর্ষণীয়ভাবে কথা বলতে সক্ষম হতে হবে।
  • গ্রাহকের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে সক্ষম হওয়া।
  • প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে গ্রাহকের চাহিদা বুঝতে সক্ষম হওয়া।
আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা:
  • বন্ধুত্বপূর্ণ এবং আত্মবিশ্বাসী মনোভাব বজায় রাখা।
  • গ্রাহকের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হওয়া।
  • দর কষাকষি করতে এবং আপত্তি মোকাবেলা করতে সক্ষম হওয়া।
পণ্য সম্পর্কে জ্ঞান:
  • বিক্রয়কৃত পণ্য/সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান রাখা।
  • প্রতিযোগীদের পণ্য/সেবা সম্পর্কেও জানা থাকা।
  • গ্রাহকের প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হওয়া।
পেশাদারিত্ব:
  • সময়মত কাজ সম্পন্ন করা।
  • পোশাক পরিচ্ছদে পরিচ্ছন্ন ও পেশাদার থাকা।
  • নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখা।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী:
  • প্রেরণা: লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং কঠোর পরিশ্রমী হওয়া।
  • ধৈর্য: না বলা শুনতে সক্ষম হওয়া এবং হতাশ না হওয়া।
  • সমস্যা সমাধানের দক্ষতা: গ্রাহকদের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে সক্ষম হওয়া।
  • সময় ব্যবস্থাপনা দক্ষতা: কার্যকরভাবে সময়কে ব্যবহার করতে সক্ষম হওয়া।
  • অনুপ্রেরণা: নিজেকে এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে সক্ষম হওয়া।
এছাড়াও, একজন সফল বিক্রয় কর্মীর জন্য নিয়মিত নতুন জিনিস শেখা এবং নিজেকে আপডেট রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং বাজারের পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

সেলসের পেশা সত্যি কি অনেক কষ্টের

পৃথিবীতে কোন কাজই সহজ নয় প্রত্যেকটা কাজই কঠিন সেলসের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। হ্যাঁ, তবে এই কথা সত্য সেলসের পেশাটা আসলেই অনেক কষ্টকর। কারণ সেলস বৃদ্ধি করার জন্য একজন বিক্রয় কর্মীকে বিভিন্ন ধরনের পন্থা অবলম্বন করতে হয়।

যার জন্য মেধা ও শ্রম ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে হয়। আসুন আমরা জেনে নেই, সেলসের পেশা সত্যি কি অনেক কষ্টের সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
  • কোম্পানি ও পণ্য/সেবা: কোন ধরণের কোম্পানির জন্য কাজ করছেন এবং কোন ধরণের পণ্য/সেবা বিক্রি করছেন তার উপর নির্ভর করে কাজের চাপ ও পরিবেশ ভিন্ন হতে পারে।
  • কাজের পরিবেশ: কাজের পরিবেশ, যেমন বেতন, কমিশন, কর্মক্ষেত্র, সহকর্মী, ব্যবস্থাপনা, ইত্যাদি কতটা অনুকূল তার উপর কাজের কষ্ট নির্ভর করে।
  • ব্যক্তিগত দক্ষতা ও মনোভাব: আপনার যদি যোগাযোগ, আন্তঃব্যক্তিক, পণ্য জ্ঞান, এবং সমস্যা সমাধানের মতো দক্ষতা থাকে এবং আপনি যদি ইতিবাচক মনোভাব, ধৈর্য্যশীল, এবং পরিশ্রমী হন তবে কাজের চাপ কম অনুভব করবেন।
  • বাজারের অবস্থা: বাজার যদি ভালো থাকে এবং পণ্য/সেবার চাহিদা বেশি থাকে তবে কাজ করা তুলনামূলক সহজ হবে।
তবে, কিছু সাধারণ চ্যালেঞ্জ যা বেশিরভাগ বিক্রয় কর্মীদের মুখোমুখি হতে হয় সেগুলো হল:
  • প্রত্যাখ্যান মোকাবেলা করা: গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায়শই "না" শুনতে হয়।
  • লক্ষ্য অর্জনের চাপ: নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট বিক্রয় লক্ষ্য অর্জন করতে হয়।
  • দীর্ঘ কাজের সময়সূচী: কাজের জন্য অনেক সময় বাইরে থাকতে হতে পারে।
  • অনিশ্চিত আয়: কমিশনের উপর নির্ভর করে আয় হওয়ায় আয় অনিশ্চিত হতে পারে।
  • প্রতিযোগিতা মোকাবেলা করা: বাজারে অনেক প্রতিযোগী থাকতে পারে।
তবে, সেলসের পেশার কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে:
  • আর্থিক সুযোগ: ভালো কমিশন অর্জনের মাধ্যমে ভালো আয়ের সুযোগ থাকে।
  • স্বাধীনতা: কাজের ক্ষেত্রে অনেকটা স্বাধীনতা থাকে।
  • সম্পর্ক গড়ে তোলা: নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হওয়ার এবং সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ থাকে।
  • সফলতার অনুভূতি: লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে সফলতার অনুভূতি অর্জন করা যায়।
  • ক্যারিয়ারের উন্নতির সুযোগ: ভালো কর্মক্ষমতার মাধ্যমে দ্রুত পদোন্নতির সুযোগ থাকে।
সুতরাং, সেলসের পেশা কতটা কষ্টের তা নির্ভর করে ব্যক্তির উপর। যদি আপনি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পছন্দ করেন, লক্ষ্য অর্জনে উদ্যমী হন, এবং মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে ভালোবাসেন তবে সেলসের পেশা আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে।

কোম্পানির সেলস বৃদ্ধির জন্য কোম্পানির কি ধরনের ভূমিকা থাকা উচিত


কোম্পানির সেলস বৃদ্ধির জন্য কোম্পানির ভূমিকা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।কারণ কোম্পানি তার পণ্য বিক্রয় করার জন্য যে পরিকল্পনা করবে তা যদি বাজার চাহিদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়। তাহলে অবশ্যই সেলস বৃদ্ধি পাবে। আসুন আমরা জেনে নেই, কোম্পানির সেলস বৃদ্ধির জন্য কোম্পানি কি ধরনের ভূমিকা থাকা উচিত সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ব্যবস্থাপনা:
  • স্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান: কোম্পানির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা এবং সেগুলো অর্জনে কর্মীদের সহায়তা করা।
  • প্রেরণামূলক পরিবেশ তৈরি করা: কর্মীদেরকে অনুপ্রাণিত করার জন্য একটি ইতিবাচক ও সমর্থনমূলক কর্মক্ষেত্র তৈরি করা।
  • প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন: কর্মীদেরকে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করার জন্য প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কর্মসূচি প্রদান করা।
  • কার্যকর যোগাযোগ: কর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন করা এবং তাদের ধারণা ও পরামর্শ গ্রহণ করা।
বিক্রয় দল:
  • দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মী নিয়োগ: বিক্রয়ের কাজের জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মী নিয়োগ করা।
  • প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি: কর্মীদেরকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
  • প্রেরণা ও সমর্থন: কর্মীদেরকে অনুপ্রাণিত করার জন্য কমিশন, বোনাস, এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা।
  • কার্যকর বিক্রয় কৌশল: গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য কার্যকর বিক্রয় কৌশল তৈরি ও বাস্তবায়ন করা।
পণ্য/সেবা:
  • উচ্চমানের পণ্য/সেবা প্রদান: গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করে এমন উচ্চমানের পণ্য/সেবা প্রদান করা।
  • প্রতিযোগিতামূলক দাম নির্ধারণ: বাজারের প্রতিযোগিতামূলক দাম নির্ধারণ করা।
  • নতুন পণ্য/সেবা উন্নয়ন: গ্রাহকদের চাহিদা পূরণের জন্য নতুন পণ্য/সেবা উন্নয়ন করা।
  • কার্যকর বিপণন: গ্রাহকদের কাছে পণ্য/সেবা সম্পর্কে জানাতে কার্যকর বিপণন কৌশল ব্যবহার করা।
গ্রাহক সেবা
  • উচ্চমানের গ্রাহক পরিষেবা প্রদান: গ্রাহকদের প্রশ্নের উত্তর দ্রুত ও সঠিকভাবে প্রদান করা এবং তাদের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করা।
  • গ্রাহকদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা: গ্রাহকদের সাথে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখা।
  • গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া গ্রহণ: গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করা এবং সেগুলো ব্যবহার করে পণ্য/সেবা ও পরিষেবা উন্নত করা।

সেলস ভালো না হওয়ার কারণ কি

সেলস ভালো না হওয়ার পেছনে বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকতে পারে। যেমন, বিক্রয় কর্মীর অবহে্লা, কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এছাড়া সঠিক পরিকল্পনার অভাব। এ ছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে আসুন আমরা জেনে নেই, সেলস ভালো না হওয়ার কারণ কি সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

বাজারে চাহিদা কম:

যদি পণ্য/সেবার জন্য বাজারে পর্যাপ্ত চাহিদা না থাকে, তাহলে সেলস কম হবে।

বাজারে অনেক প্রতিযোগী থাকলেও বিক্রয় কম হতে পারে।

পণ্য/সেবা:

পণ্য/সেবা যদি বাজারের চাহিদা পূরণ না করে, অথবা যদি তা প্রতিযোগিতামূলক না হয়, তাহলে সেলস কম হবে।

পণ্যের দাম বেশি হলেও বিক্রয় কম হতে পারে।

মার্কেটিং:

পণ্য/সেবার প্রচারণা ও বিপণন কার্যক্রম যদি অকার্যকর হয়, তাহলে সেলস কম হবে।

লক্ষ্য গ্রাহকদের কাছে পণ্য/সেবা পৌঁছাতে না পারলেও বিক্রয় কম হতে পারে।

বিক্রয় কর্মী:

বিক্রয় কর্মীদের যদি পণ্য/সেবা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকে, অথবা যদি তারা কার্যকরভাবে গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করতে না পারে, তাহলে সেলস কম হবে।

বিক্রয় কর্মীদের মধ্যে প্রেরণার অভাব থাকলেও বিক্রয় কম হতে পারে।

অন্যান্য কারণ:
  • অর্থনৈতিক মন্দা বাজারে চাহিদা কমিয়ে দিতে পারে।
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ, অথবা রাজনৈতিক অস্থিরতা বিক্রয় কমাতে পারে।
  • কোম্পানির অভ্যন্তরীণ সমস্যা, যেমন দুর্বল ব্যবস্থাপনা, অথবা কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ, বিক্রয় কমাতে পারে।
  • কোন নির্দিষ্ট কারণে আপনার কোম্পানির সেলস কম হচ্ছে তা নির্ধারণ করতে, একটি ব্যাপক বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
  • এই বিশ্লেষণে বাজার, পণ্য/সেবা, মার্কেটিং, বিক্রয় কর্মী, এবং অন্যান্য সম্ভাব্য কারণগুলির মূল্যায়ন করা উচিত।
  • বিশ্লেষণের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে, আপনাকে সেলস বৃদ্ধির জন্য কৌশল তৈরি করতে হবে।
সব মিলিয়ে বলা যায় সেলস খারাপ হওয়ার পিছনে সবচেয়ে যে জিনিসটি বেশি কাজ করে সেটি হচ্ছে সঠিক পরিকল্পনার অভাব। বাজার ব্যবস্থা খারাপ হতে পারে তাই বলে কি সেলস থেমে থাকবে কখনোই না । কারণ আপনার পরিকল্পনাই আপনার সেলস বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মন্তব্য

অবশেষে বলতে পারি আপনারা আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং পড়ার পরে জানতে পেরেছেন। সেলস খারাপ হওয়ার পেছনে শুধু কি বিক্রয় কর্মী দায়ী নাকি প্রতিষ্ঠান সে সম্পর্কে আশা করি উপকৃত হয়েছেন।

তাই আমার আর্টিকেলটি পড়ার পরে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারা উপকৃত হবে।

ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url