ঘুম আসার আগে দুই পায়ে মাংসপেশীতে শিরশির করে কেন

বাচ্চাদের এলার্জি সমস্যা হলে কি করতে হবে যা অনেকেই জানে না

প্রিয় পাঠক, আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন ঘুম আসার আগে দুই পায়ে মাংসপেশিতে শিরশির করে কেন। সে সম্পর্কে আমার আমি আমার আর্টিকেলে একেবারে সঠিক তথ্যটি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। 

ঘুম আসার আগে দুই পায়ে মাংসপেশীতে শিরশির করে কেন

আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে আমার এই আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন। ঘুম আসার আগে দুই পায়ে মাংসপেশিতে শিরশির করে কেন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ভূমিকা

ঘুম আসার আগে অনেকের পায়ের মাংসপেশিতে শিরশির করে এর অনেক কারণ রয়েছে। দীর্ঘক্ষণ একই স্থানে বসে থাকা বা শুয়ে থাকার ফলে রক্ত প্রবাহে সৃষ্টি হয়ে এটি হতে পারে ।অতিরিক্ত মদ্যপাণ ও অপর্যাপ্ত ঘুম পাএর পেশীতে শিশির ভাব বাড়িয়ে দিতে পারে। এমনকি গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে প্রচুর রক্ত প্রবাহিত হয় যার কারনে পায়ের শিরায় চাপ সৃষ্টি করে।

এর ফলেও পা শিরশির করে আবার অতিরিক্ত ওজন বেশি হলেও পায়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। আসুন আমরা জেনে নেই, ঘুম আসার আগে দুই পায়ে মাংসপেশিতে শিরশির করে কেন এ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

আরো পড়ুনঃ পানি শূন্যতা দূর করার জন্য খাবার স্যালাইন কতটা কার্যকরী

ঘুম আসার আগে দুই পায়ে মাংসপেশীতে শিরশির করে কেন

ঘুম আসার আগে দুই পায়ে মাংসপেশিতে শিরশির করার বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকতে পারে। যেমন, আপনার পায়ের অবস্থান স্বাভাবিকের চেয়ে যদি অস্বাভাবিক অবস্থায় থাকে সে ক্ষেত্রে হতে পারে। আবার আপনার যদি অতিরিক্ত ওজন হয় সেক্ষেত্রেও আপনার পায়ের এই সমস্যা হতে পারে।

এছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবন ধারণের ক্ষেত্রেও এ সমস্যা আপনার সৃষ্টি হতে পারে। আসুন আমরা জেনে নেই, ঘুম আসার আগে দুই পায়ে মাংসপেশীতে শিরশির করে কেন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

সাধারণ কারণ:

পায়ের অবস্থান: দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থায় বসে থাকা বা শুয়ে থাকার ফলে রক্ত ​​প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হতে পারে, যার ফলে পায়ের পেশীতে শিরশিরানি হতে পারে।

অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা: ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান, এবং অপর্যাপ্ত ঘুম পায়ের পেশীতে শিরশিরানির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

গর্ভবতী: গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে প্রচুর রক্ত ​​প্রবাহিত হয়, যা পায়ের শিরায় চাপ সৃষ্টি করে এবং শিরশিরানি হতে পারে।

ওজন বেশি: অতিরিক্ত ওজন পায়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং রক্ত ​​প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

মেনোপজ: মেনোপজের সময় হরমোনের পরিবর্তনের ফলে পায়ের পেশীতে শিরশিরানি হতে পারে।

চিকিৎসাগত কারণ:

পেরিফেরাল আর্টেরিওপ্যাথি: এটি একটি এমন অবস্থা যেখানে রক্তনালীগুলি সংকুচিত বা ব্লক হয়ে যায়, যার ফলে পায়ে রক্ত ​​প্রবাহ কমে যায়।

ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস স্নায়ু ক্ষতির কারণ হতে পারে, যা পায়ের পেশীতে শিরশিরানি অনুভূতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।

নিউরোপ্যাথি: বিভিন্ন ধরণের নিউরোপ্যাথি পায়ের পেশীতে শিরশিরানি অনুভূতির কারণ হতে পারে।

মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস: এটি একটি অটোইমিউন রোগ যা স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং পায়ের পেশীতে শিরশিরানি অনুভূতির কারণ হতে পারে।

রোগ নির্ণয়:

পায়ের পেশীতে শিরশিরানির কারণ নির্ণয়ের জন্য একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার আপনার চিকিৎসা ইতিহাস, উপসর্গ এবং শারীরিক পরীক্ষা করবেন। তারা রক্ত ​​পরীক্ষা, ইমেজিং পরীক্ষা বা অন্যান্য পরীক্ষাও নির্ধারণ করতে পারেন।

চিকিৎসা:

পায়ের পেশীতে শিরশিরানির চিকিৎসা কারণের উপর নির্ভর করে। সাধারণ চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:

  • জীবনধারার পরিবর্তন: ধূমপান ত্যাগ করা, অতিরিক্ত মদ্যপান এড়িয়ে চলা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা।
  • ওজন কমানো: যদি আপনি অতিরিক্ত ওজনের হন।
  • ওষুধ: রক্ত ​​চলাচল উন্নত করতে বা স্নায়ু ব্যথা কমাতে।
  • ফিজিওথেরাপি: পেশী শক্তি এবং নমনীয়তা উন্নত করতে।

রাতে ঘুম আসার আগে পায়ে ব্যথা করে কেন

রাতে ঘুম আসার আগে বিভিন্ন কারণে পায়ে ব্যথা হয়ে থাকে আপনি যদি অতিরিক্ত হাঁটাচলা করেন অথবা আপনার যদি ওজন বেশি হয়। এছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে আসুন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

  • পায়ের অবস্থান: দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থায় বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকা পায়ের পেশীতে ব্যথা এবং শিরশিরানি হতে পারে।
  • অতিরিক্ত ব্যবহার: দিনের বেলায় অনেক হাঁটাচলা বা দৌড়ানোর পর পায়ে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক।
  • জুতা: খারাপভাবে ফিট করা বা অস্বস্তিকর জুতা পায়ে ব্যথা এবং সমস্যার কারণ হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থা: গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে প্রচুর রক্ত ​​প্রবাহিত হয়, যা পায়ের শিরায় চাপ সৃষ্টি করে এবং ব্যথা হতে পারে।

কিছু চিকিৎসাগত অবস্থাও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ে ব্যথার কারণ হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • পেরিফেরাল আর্টেরিওপ্যাথি (PAD): এটি একটি এমন অবস্থা যেখানে রক্তনালীগুলি সংকুচিত বা ব্লক হয়ে যায়, যার ফলে পায়ে রক্ত ​​প্রবাহ কমে যায়।
  • রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম (RLS): এটি একটি স্নায়বিক ব্যাধি যা পায়ে অস্বস্তিকর অনুভূতি এবং নড়াচড়ার তীব্র ইচ্ছা সৃষ্টি করে, বিশেষ করে বিশ্রামের সময়।
  • ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস স্নায়ু ক্ষতির কারণ হতে পারে, যা পায়ে ব্যথা এবং শিরশিরানি অনুভূতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
  • আর্থ্রাইটিস: পায়ে ব্যথা হওয়ার পেছনে আর্থ্রাইটিস অনেক সময় দায়ী থাকে তাই আর্থ্রাইটিস যাদের রয়েছে তাদের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রাতে পায়ে ব্যথা কেন হচ্ছে সে কারণ অনুসন্ধানের জন্য অবশ্যই আপনাকে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আপনি যদি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে পারেন হয়তো আপনার এই পায়ে ব্যথা দূর হয়ে যাবে।

চিকিৎসা কারণের উপর নির্ভর করবে। কিছু সাধারণ চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:

  • জীবনধারার পরিবর্তন: ধূমপান ত্যাগ করা, ওজন কমানো, এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা।
  • ওষুধ: ব্যথা কমাতে বা প্রদাহ কমাতে।
  • ফিজিওথেরাপি: পেশী শক্তি এবং নমনীয়তা উন্নত করতে।
  • মেডিকেল সরঞ্জাম: কম্প্রেশন মোজা বা ব্রেস ব্যবহার করা।

পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা হওয়ার কারণ কি

পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা একটি অস্বস্তিকর অবস্থা যার হয় একমাত্র সেই বুঝতে পারে। তবে পায়ের মাংসপেশায় ব্যথা হওয়ার বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে। আসুন আমরা জানি পায়ের মাংসপেশাতে ব্যথা হওয়ার কারণ কি সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ব্যবহার:

  • অতিরিক্ত ব্যবহার: দীর্ঘক্ষণ হাঁটা, দৌড়ানো, বা অন্যান্য শারীরিক কাজের পর পেশীতে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক।
  • আঘাত: টান, মোচড়, বা ভেঙে যাওয়া সহ বিভিন্ন ধরণের আঘাত পেশীতে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
  • চিকিৎসাগত অবস্থা:
  • পেরিফেরাল আর্টেরিওপ্যাথি (PAD): এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে রক্তনালীগুলো সংকুচিত বা ব্লক হয়ে যায়, যার ফলে পায়ে রক্ত ​​প্রবাহ কমে যায়।
  • রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম (RLS): এটি একটি স্নায়বিক ব্যাধি যা পায়ে অস্বস্তিকর অনুভূতি এবং নড়াচড়ার তীব্র ইচ্ছা সৃষ্টি করে, বিশেষ করে বিশ্রামের সময়।
  • ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস স্নায়ু ক্ষতির কারণ হতে পারে, যা পায়ে ব্যথা এবং শিরশিরানি অনুভূতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।

অন্যান্য কারণ:

  • অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা: ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং অপর্যাপ্ত ঘুম পায়ের পেশীতে ব্যথার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
  • ওজন বেশি: অতিরিক্ত ওজন পায়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং রক্ত ​​প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
  • গর্ভবতী: গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে প্রচুর রক্ত ​​প্রবাহিত হয়, যা পায়ের শিরায় চাপ সৃষ্টি করে এবং ব্যথা হতে পারে।
  • ঔষধ: কিছু ঔষধ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে পায়ের পেশীতে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।

আপনার পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা হলে, কারণ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। 

ডাক্তার আপনার চিকিৎসা ইতিহাস, উপসর্গ এবং শারীরিক পরীক্ষা করবেন। তারা রক্ত ​​পরীক্ষা,ইমেজিং পরীক্ষা বা অন্যান্য পরীক্ষাও নির্ধারণ করতে পারেন।

চিকিৎসা কারণের উপর নির্ভর করবে। তবে কিছু সাধারণ চিকিৎসার

মধ্যে রয়েছে:

জীবনধারার পরিবর্তন: ধূমপান ত্যাগ করা, ওজন কমানো, এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা।

ওষুধ: ব্যথা কমাতে বা প্রদাহ কমাতে।

ফিজিওথেরাপি: পেশী শক্তি এবং নমনীয়তা উন্নত করতে।

আরো পড়ুনঃ এই গরমে তরমুজ খাওয়ার সেরা দশটি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা জানুন

পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায়

পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে। আমরা যদি সে উপায় গুলোর সঠিকভাবে পালন করতে পারি হয়তো বা আমাদের পায়ের মাংসপেশির ব্যথা কমানো সম্ভব হতে পা্রে। আসুন আমরা জেনে নেই, পায়ের মাংসপেশাতে ব্যথা কমানোর উপায় কি সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

প্রথম পদক্ষেপ হল ব্যথার কারণ নির্ণয় করা। একজন ডাক্তার আপনাকে এটি করতে সাহায্য করতে পারেন। কারণের উপর নির্ভর করে, এখানে কিছু চিকিৎসা বা প্রতিকার আছে যা সাহায্য করতে পারে:

সাধারণ ব্যথার জন্য:

  • আইস: ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে আক্রান্ত এলাকায় বরফ প্রয়োগ করুন। প্রতিবার 20 মিনিটের জন্য, দিনে কয়েকবার বরফ করুন।
  • ওষুধ: পায়ের ব্যথা কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে চিকিৎসার পরামর্শ অনুযায়ী সে ওষুধগুলো যদি সেবন করেন সে ক্ষেত্রে আপনার পায়ের ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
  • বিশ্রাম: আবে পায়ের বেশিতে যদি অতিরিক্ত ব্যথা হয় সে ক্ষেত্রে আপনাকে বিশ্রাম নিতে হবে বিশ্রাম নিলে আপনার পায়ের ব্যথা ভালো হয়ে যাবে।
  • উচ্চতা: ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে আক্রান্ত পাটিকে হৃৎপিণ্ডের চেয়ে উপরে রাখুন।
  • ম্যাসাজ: আপনার পায়ের ব্যথা কমানোর জন্য আপনার তা সুন্দরভাবে মেসেজ করতে পারেন এক্ষেত্রেও অনেকটা ভালো ফলাফল পাবেন।

অন্যান্য চিকিৎসা:

  • ফিজিওথেরাপি: একজন ফিজিওথেরাপিস্ট আপনাকে ব্যথা কমাতে এবং আপনার পেশীর শক্তি ও নমনীয়তা উন্নত করতে ব্যায়াম শিখতে সাহায্য করতে পারে।
  • মেডিকেল সরঞ্জাম: কম্প্রেশন মোজা বা ব্রেস ব্যবহার করা ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • শল্যচিকিত্সা: কিছু ক্ষেত্রে, ব্লক করা রক্তনালীগুলি মেরামত বা প্রতিস্থাপন করার জন্য শল্যচিকিত্সা প্রয়োজন হতে পারে।

জীবনধারার পরিবর্তন যা সাহায্য করতে পারে:

  • ওজন কমানো: আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের হন তবে ওজন কমানো আপনার পায়ের উপর চাপ কমাতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম আপনার পেশী শক্তিশালী করতে এবং আপনার রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
  • ধূমপান ত্যাগ: ধূমপান রক্ত প্রবাহে বাধা দেয় এবং পায়ের পেশীতে ব্যথার ঝুঁকি বাড়ায়।
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া: একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য আপনার শরীরকে এমন পুষ্টি সরবরাহ করে যা আপনার পেশীগুলিকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন।

আপনার যদি পায়ের পেশীতে তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হয়, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ

ডাক্তারের সাথে দেখা করে সে অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করা।

পায়ের ব্যথা কমানোর জন্য সেরা ৫টি উপায়

পায়ের ব্যথা একটি যন্ত্রণাদায়ক বেদনা এ বেদনা থেকে সবাই মুক্তি পেতে চায়। এর জন্য বেশ কিছু উপায় আমাদেরকে মেনে চলতে হবে। আমরা যদি পায়ে ব্যথা কমানোর উপায় গুলো জানতে পারি তাহলে হয়তো আমাদের এই পায়ে ব্যথা সমস্যাটা অনেকাংশেই সমাধান হয়ে যাবে।

আসুন আমরা জেনে নিই পায়ে ব্যথা কমানোর জন্য সেরা ৫টি উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১. ব্যথার কারণ নির্ণয়:

প্রথম পদক্ষেপ হল পায়ের ব্যথার কারণ নির্ণয় করা। এটি করার জন্য একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনার চিকিৎসা ইতিহাস, উপসর্গ এবং শারীরিক পরীক্ষা করবেন। তারা রক্ত ​​পরীক্ষা, ইমেজিং পরীক্ষা বা অন্যান্য পরীক্ষাও নির্ধারণ করতে পারেন।

ব্যথার কারণ নির্ণয়ের উপর নির্ভর করে, একজন ডাক্তার উপযুক্ত চিকিৎসা বা ওষুধের পরামর্শ দিতে পারবেন।

২। ওষুধ:

আপনার ডাক্তার ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে ওষুধের পরামর্শ দিতে পারেন। এর মধ্যে  over-the-counter (OTC) ব্যথানাশক, যেমন ibuprofen বা acetaminophen,  বা প্রেসক্রিপশনের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

৩। ফিজিওথেরাপি:

একজন ফিজিওথেরাপিস্ট আপনাকে ব্যথা কমাতে এবং আপনার পায়ের পেশীর শক্তি ও নমনীয়তা উন্নত করতে ব্যায়াম শিখতে সাহায্য করতে পারে।

৪। জীবনধারার পরিবর্তন:

কিছু জীবনধারার পরিবর্তন পায়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে, যেমন:

ওজন কমানো: আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের হন তবে ওজন কমানো আপনার পায়ের উপর চাপ কমাতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম আপনার পেশী শক্তিশালী করতে এবং আপনার রক্ত ​​প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

ধূমপান ত্যাগ: ধূমপান রক্ত ​​প্রবাহে বাধা দেয় এবং পায়ের পেশীতে ব্যথার ঝুঁকি বাড়ায়।

স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া: একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য আপনার শরীরকে এমন পুষ্টি সরবরাহ করে যা আপনার পেশীগুলিকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন।

৫। ব্যথার উপশম:

আপনি বরফ, তাপ, ম্যাসাজ বা এলিভেশনের মাধ্যমে পায়ের ব্যথা উপশম করতে পারেন।

মন্তব্য 

অবশেষে বলতে পারি আমার এই আর্টিকেলটি আপনারা খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং পড়ার পরে জানতে পেরেছেন। ঘুম আসার আগে দুই পায়ে মাংসপেশিতে শির শির করে কেন এছাড়া আরো বিভিন্ন কারণ আপনারা জানতে পেরেছেন আশা করি উপকৃত হয়েছেন।

তাই আমার আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনাদের যদি একটুও ভালো লেগে থাকে। তবে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন আশা করি তারা উপকৃত হবে।

 ধন্যবাদ।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url