রাজশাহী কিসের জন্য বিখ্যাত ও রাজশাহীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কেমন

প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন রাজশাহী কিসের জন্য বিখ্যাত ও রাজশাহীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কেমন। আমি আপনাদেরকে আমার এই আর্টিকেলটিতে রাজশাহী সম্পর্কে একেবারে সঠিক তথ্যটি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কারণ রাজশাহী হচ্ছে ফলের জন্য বিখ্যাত বিশেষ করে আম।

রাজশাহী কিসের জন্য বিখ্যাত ও রাজশাহীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কেমন

এ ছাড়া আরও বেশ কিছু জিনিস রয়েছে যাই হোক, আপনারা যদি আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন। রাজশাহী কিসের জন্য বিখ্যাত ও রাজশাহীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কেমন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ভূমিকাঃ

প্রানের শহর রাজশাহী, শিক্ষা নগরী রাজশাহী, ফলের নগরী রাজশাহী, রেশম শিল্পের নগরী রাজশাহী, সুখী নগরীর রাজশাহী।এক কথায় রাজশাহীর কোন জুড়ি নেই, রাজশাহীর পথঘাট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীর বরেন্দ্র জাদুঘর, রাজশাহীর শহর বেয়ে যাওয়া সেই পদ্মা নদী আরো রয়েছে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এর রাজশাহী।

তাই রাজশাহীর গুনগান বলে শেষ করা যাবে না যারা রাজশাহী তা একবার এসেছে তারা রাজশাহীকে কখনোই খারাপ বলতে পারে না। কারণ এখানকার মানুষ অনেক সহজ সরল এবং অতিথি পরায়ন।

আসুন আমরা জেনে নেই রাজশাহী কিসের জন্য বিখ্যাত ও রাজশাহীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কেমন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

রাজশাহী কিসের জন্য বিখ্যাত ও রাজশাহীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কেমনঃ

রাজশাহীকে একটি সুখী নগরী হিসেবে ধরা হয়েছে কারণ এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মনোরম পরিবেশ যা অন্য কোন জেলাতে নেই। রাজশাহী বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত ।আমাদের এই রাজশাহী শিক্ষা নগরী, রেশম নগরী এবং আম নগরী হিসেবে বিখ্যাত।

এছাড়া আমাদের রাজশাহী ঐতিহ্যবাহী, সংস্কৃতি সমৃদ্ধ, ইতিহাস সৌন্দর্য এবং সুস্বাদ্য খাবারের জন্য রাজশাহী বিখ্যাত। আসুন আমরা জেনে নেই, রাজশাহী কিসের জন্য বিখ্যাত ও রাজশাহীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কেমন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ঐতিহ্যবাহী শিল্প

রেশম: রাজশাহী 'রেশম নগরী' নামে পরিচিত। উচ্চমানের তন্তু, নকশা ও রঙের জন্য রাজশাহীর রেশম শাড়ি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি লাভ করেছে। এই শাড়ি বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর টাকা আয় করছে আমাদের এই রাজশাহী।

তন্তুশিল্প: রাজশাহী বিভিন্ন ধরণের তন্তুশিল্পের জন্যও বিখ্যাত, যার মধ্যে নকশি কাঁথা, মাদুর, পাঞ্জাবি, শাড়ি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

শুখরো: রাজশাহীর শুখরো মিষ্টি সারা বাংলাদেশে বিখ্যাত।

খাবার:

আম: রাজশাহী 'আম নগরী' নামেও পরিচিত। এখানে বিভিন্ন জাতের সুস্বাদু আম পাওয়া যায়, যার মধ্যে ল্যাংড়া, গোপালভোগ, বেড়া ও হিমসাগর উল্লেখযোগ্য। রাজশাহীর আম গোটা বাংলাদেশ উপভোগ করে থাকে। এছাড়া বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে আমাদের এই রাজশাহীর আম।

মিষ্টি: রাজশাহী তার মিষ্টির জন্যও বিখ্যাত। রসগোল্লা, ল্যাংচা, দই, মিহিদানা ও পায়েস এখানকার বিখ্যাত মিষ্টি। আপনারা যদি কখনো রাজশাহীতে আসেন তাহলে অবশ্যই রাজশাহীর মিষ্টি খেয়ে তারপরে রাজশাহী থেকে যাবেন।

শিক্ষা নগরী

আমাদের রাজশাহী শিক্ষানগরী হিসেবে বেশ পরিচিত কারণ রাজশাহীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া আয়ের তেমন কোন উৎস নেই।রাজশাহীতে বেশ কিছু বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী কলেজ,বোয়ালিয়া রাজকুমারী কলেজ ও নওহাট্টা কলেজ উল্লেখযোগ্য।

সংস্কৃতি

রাজশাহী তার সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। এখানে নিয়মিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উৎসব পালিত হয়।

ঐতিহাসিক স্থান

রাজশাহীতে বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে, যার মধ্যে বড়দিঘি, পুঠিয়া রাজবাড়ী, রাজশাহী শহীদ স্মৃতিসৌধ ও বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর উল্লেখযোগ্য।

অন্যান্য সৌন্দর্য

রাজশাহী তার মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও আকর্ষণীয়। পদ্মা নদী, বড়দিঘি, পুঠিয়া রাজবাড়ী, শাহ মখদুম মসজিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, লালবাগ কেল্লা প্রভৃতি স্থান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরা।

রাজশাহীতে বেশ কিছু খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব জন্মগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে শহীদ কামারুজ্জামান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, আবুল হাসেম, হুমায়ুন আহমেদ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

রাজশাহীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

রাজশাহী শুধু শিক্ষা নগর হিসেবে পরিচিত নয়, রাজশাহীতে রয়েছে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর এক লীলাভূমি। রাজশাহীতে রয়েছে পদ্মা নদী, সাংস্কৃতিক স্থাপনা, খাল বিল এবং মনোরম দৃশ্যাবলী রাজশাহীকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। আসুন রাজশাহীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

নদী

পদ্মা নদী: বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী পদ্মা রাজশাহীর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। নদীর তীরে নৌকা ভ্রমণ, মাছ ধরা ও মনোরম পরিবেশে সময় কাটানোর সুযোগ রয়েছে।

ভাগীরথী নদী:  পদ্মার একটি শাখা ভাগীরথী নদী রাজশাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। ঐতিহাসিক শহর পুঠিয়া এই নদীর তীরে অবস্থিত।

হ্রদ:

বড়দিঘি: রাজশাহীর অন্যতম আকর্ষণ হল বড়দিঘি, যা বাংলাদেশের বৃহত্তম মানবসৃষ্ট হ্রদ। নৌকা ভ্রমণ, ঘোড়ার গাড়ি ভ্রমণ ও মনোরম পরিবেশে সময় কাটানোর জন্য এটি একটি জনপ্রিয় স্থান।

কাঁচপুর হ্রদ: পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত কাঁচপুর হ্রদ তার মনোরম পরিবেশের জন্য পরিচিত।

বনালয়:

বড়ালবাজার বন: রাজশাহীর বড়ালবাজারে অবস্থিত বড়ালবাজার বন বন্যপ্রাণী ও বিরল প্রজাতির পাখির আবাসস্থল।

পুঠিয়া রাজবাড়ীর বাগান: ঐতিহাসিক পুঠিয়া রাজবাড়ীর মনোরম বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও ফুল দেখা যায়।

ঐতিহাসিক স্থাপনা:

পুঠিয়া রাজবাড়ী:মুঘল আমলের ঐতিহাসিক স্থাপনা পুঠিয়া রাজবাড়ী তার স্থাপত্যশৈলী ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য বিখ্যাত।

বড়দিঘির মন্দির: বড়দিঘির তীরে অবস্থিত বড়দিঘির মন্দির হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি পবিত্র স্থান।

মনোরম দৃশ্যাবলী:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরম ক্যাম্পাসে বিস্তৃত মাঠ, সবুজ গাছপালা ও ঐতিহাসিক ভবন রয়েছে।

লালবাগ কেল্লা: মুঘল আমলের লালবাগ কেল্লা রাজশাহীর ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের প্রতীক।

রাজশাহী জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিরাঃ

রাজশাহী জেলায় অনেক ঐতিহাসিক বিখ্যাত ব্যক্তিদের আবাসস্থল। আসুন আমরা জেনে নিই রাজশাহী জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিরা কারা সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

রাজনীতিবিদ:

শহীদ এ.এইচ.এম. কামারুজ্জামান:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ।

হাজী লাল মোহাম্মদ সরদার: বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত রাজনীতিবিদ ও ভাষা আন্দোলনের কর্মী।

এমাদউদ্দীন আহমদ: বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি।

আহসান উল্লাহ মোল্লা: বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ।

সাহিত্যিক:

কবি নজরুল ইসলাম:বাংলা সাহিত্যের একজন জনপ্রিয় সাহিত্যিক, কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, নাট্যকার ও দার্শনিক।

কবি সুফিয়া কামাল: বাংলা সাহিত্যের একজন বিখ্যাত কবি ও লেখিকা। কবি সুফিয়া কামাল আমাদের দেশের একজন বিখ্যাত সাহিত্যিক ও লেখিকা।

ঔপন্যাসিক হুমায়ুন আহমেদ:বাংলা সাহিত্যের একজন জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও গীতিকার।

অন্যান্য:

শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:বিশ্বখ্যাত বাঙালি কবি, লেখক, নাট্যকার, সুরকার, চিত্রশিল্পী ও দার্শনিক। (যদিও তিনি রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেননি, তবে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে রাজশাহীতে বসবাস করেছিলেন এবং তার অনেক সাহিত্যকর্ম এখানে রচিত হয়েছিল।)

শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী মুহম্মদ আবদুল বাকী: বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী।

খেলোয়াড় আবুল হাসেম:বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত ক্রিকেটার।

এছাড়াও, রাজশাহী জেলায় আরও অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব জন্মগ্রহণ করেছেন যারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন।

রাজশাহী নামকরণের ইতিহাস জানুনঃ

রাজশাহী নামের উৎপত্তি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে এক একজন এক এক ভাবে বর্ণনা করেছেন রাজশাহীর উৎপত্তি নিয়ে। আসুন আমরা জেনে নেই, রাজশাহীর নামকরণের ইতিহাস সম্পর্কে নিচের বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

প্রধান মতবাদ:

রাজা ও শাহী: এই মতবাদ অনুসারে, "রাজশাহী" নামটি "রাজা" এবং "শাহী" শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। ধারণা করা হয়, ঐতিহাসিক সময়ে এই অঞ্চলে একাধিক রাজা শাসন করতেন এবং তাদের রাজ্যগুলিকে একত্রিত করে "রাজশাহী" নামকরণ করা হয়েছিল।

রামপুর-বোয়ালিয়া: কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন, "রাজশাহী" নামটি "রামপুর-বোয়ালিয়া" নামক স্থান থেকে উদ্ভূত। ঐতিহাসিক নথিতে দেখা যায়, ব্রিটিশ শাসনকালে এই অঞ্চলটি "রামপুর-বোয়ালিয়া" নামে পরিচিত ছিল।

হিন্দু রাজা: আরেকটি মতবাদ অনুসারে, "রাজশাহী" নামটি "রাজা" ও "হিন্দু" শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। ধারণা করা হয়, ঐতিহাসিক সময়ে এই অঞ্চলে হিন্দু রাজারা শাসন করতেন এবং তাদের রাজ্যকে "রাজশাহী" নামকরণ করা হয়েছিল।

অন্যান্য মতবাদ:

ফারসি শব্দ: কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন, "রাজশাহী" নামটি ফারসি শব্দ "রাজ" (রাজা) ও "শাহ" (শাসক) থেকে এসেছে।

বৌদ্ধ স্তূপ: আরেকটি মতবাদ অনুসারে, "রাজশাহী" নামটি এই অঞ্চলে অবস্থিত বৌদ্ধ স্তূপের সাথে সম্পর্কিত। ধারণা করা হয়, স্তূপটি রাজাদের সমাধিস্থল ছিল এবং তাই এই অঞ্চলকে "রাজশাহী" নামকরণ করা হয়েছিল।

কিংবদন্তি:

রাজা রামচন্দ্র: একটি কিংবদন্তি অনুসারে, "রাজশাহী" নামটি রামায়ণের রাজা রামচন্দ্রের সাথে সম্পর্কিত। ধারণা করা হয়, রামচন্দ্র এই অঞ্চলে বনवास কাটিয়েছিলেন এবং তাই এটিকে "রাজশাহী" নামকরণ করা হয়েছিল।

রাজা গণেশ: আরেকটি কিংবদন্তি অনুসারে, "রাজশাহী" নামটি রাজা গণেশের সাথে সম্পর্কিত। ধারণা করা হয়, রাজা গণেশ এই অঞ্চলে শাসন করতেন এবং তাই এটিকে "রাজশাহী" নামকরণ করা হয়েছিল।

রাজশাহী কোন ফলের জন্য বিখ্যাতঃ


রাজশাহীকে ফলের রাজধানী বলা হয় কারন রাজশাহীতে বিভিন্ন ধরনের ফল হয়ে থাকে। যা সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়ে তবে বিশেষ করে রাজশাহীর আম খুবই বিখ্যাত। আসুন আমরা জেনে নেই, রাজশাহীর কোন ফলের জন্য বিখ্যাত সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

আম: রাজশাহীর আম বিশ্বব্যাপী খ্যাতি লাভ করেছে। এখানে বিভিন্ন জাতের আম পাওয়া যায়, যার মধ্যে ল্যাংড়া, গোপালভোগ, হিমসাগর, বেড়া, ফজলি, আম্রপালি, ক্ষীরসাপাত ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

লিচু: রাজশাহীর লিচুও অত্যন্ত জনপ্রিয়। বোম্বাই, বেড়া, গোলাপজাম, দেশি লিচু ইত্যাদি জাতের লিচু এখানে প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়।

কাঁঠাল: রাজশাহীর কাঁঠালও বেশ সুস্বাদু। এখানে বিভিন্ন জাতের কাঁঠাল পাওয়া যায়, যার মধ্যে দোরাকাটা, জিলাপি, নটুনকি, চাঁপাই কাঁঠাল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

আনারস: রাজশাহীর আনারসও বাজারে বেশ চাহিদা সম্পন্ন। গোল্ডেন, কাঁচা, টুনটুনি, কালো আনারস ইত্যাদি জাতের আনারস এখানে উৎপাদিত হয়।

জাম্বুরা: রাজশাহীর জাম্বুরাও অত্যন্ত মিষ্টি ও সুস্বাদু। এখানে বিভিন্ন জাতের জাম্বুরা পাওয়া যায়, যার মধ্যে বড়জাম, ছোটজাম, পেয়ারাজাম, কালোজাম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

আরও কিছু ফল: রাজশাহীতে এছাড়াও আরও অনেক ফল পাওয়া যায়, যার মধ্যে নারকেল, পেঁপে, জাম, আতা, বেল, বরই, কুল, তরমুজ, শরিফা, আখরোট, কাজুবাদাম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

রাজশাহী জেলার থানা কয়টিঃ

রাজশাহী জেলা আমের জন্য বিখ্যাত এছাড়া আমাদের রাজশাহীতে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরপুর। এছাড়া রয়েছে আরো দর্শনীয় বেশ কিছু স্থান। আসুন আমরা জেনে নেই রাজশাহী জেলাতে কতগুলো থানা রয়েছে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

রাজশাহী জেলায় মোট ১০ টি থানা রয়েছে। তবে পূর্বে ৭টি থানা ছিল এখন বর্তমানে আরো ৩টি থানা যোগ হয়ে মোট ১০ টি থানা রয়েছে।

১। রাজশাহী সদর থানা
২।বানিয়াচং থানা
৩।পুঠিয়া থানা
৪।মোহনপুর থানা
৫।বড়দিঘি থানা
৬।গোদাগাড়ী থানা
৭।বাঘা থানা
৮।দুর্গাপুর থানা
৯চারঘাট থানা
১০।পবা থানা

উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালে রাজশাহী জেলার ৭ টি উপজেলার মধ্যে ৩ টিতে নতুন থানা স্থাপন করা হয়েছে। সেগুলো হল:

বানিয়াচং থানা (বানিয়াচং উপজেলা)
মোহনপুর থানা (মোহনপুর উপজেলা)
গোদাগাড়ী থানা (গোদাগাড়ী উপজেলা)
এই নতুন থানাগুলো স্থাপনের ফলে রাজশাহী জেলার থানার সংখ্যা ৭ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১০টিতে দাঁড়িয়েছে।

মন্তব্যঃ

অবশেষে আপনারা আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে অবশ্যই জানতে পেরেছেন। রাজশাহী কিসের জন্য বিখ্যাত ও রাজশাহীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কেমন। এছাড়া রাজশাহী সম্পর্কে আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনারা ইতিমধ্যে পেয়ে গেছেন আশা করি উপকৃত হয়েছেন।

তাই আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পড়ে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারা উপকৃত হবে।

ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url