পানিশূন্যতা বোঝার উপায় কিভাবে পানি শূন্যতা দূর করা যায়


প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন পানি শূন্যতা বোঝার উপায় কিভাবে পানি শূন্যতা দূর করা যায়। এ সম্পর্কে আমি আমার আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে একেবারে সঠিক তথ্যটি দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

পানিশূন্যতা বোঝার উপায় কিভাবে পানি শূন্যতা দূর করা যায়

আপনারা যদি আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন, তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন পানি শূন্যতা বোঝার উপায় কিভাবে পানিশূন্যতা দূর করা যায়। সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ভূমিকাঃ

বর্তমান সময়ে এই ব্যস্ত জীবনে নিজেদের শরীরের প্রতি তেমনভাবে যত্ন নেওয়া হয় না। আর এই অযত্ন অবহেলার কারণেই আমাদের পানি শূন্যতা সৃষ্টি হয়। প্রতিবছরই লক্ষ লক্ষ মানুষ ও শিশুরা পানি শূন্যতায় ভোগে। আর পানিশূন্যতার কারণেই অনেকে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়।

তাই আমার আর্টিকেলটিতে পানি শূন্যতা বোঝার উপায় কিভাবে পানিশূন্যতা দূর করা যায়। এছাড়া শিশুদের পানিশূন্যতার লক্ষণ এবং পানি শূন্যতা হলে কতটুকু পানি পান করতে হবে। এছাড়া পানিশূন্যতা সম্পর্কে বেশ কিছু বিষয় নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

পানিশূন্যতা বোঝার উপায় ও কিভাবে পানি শূন্যতা দূর করা যায়ঃ

পানি শূন্যতা হলে কিভাবে বুঝব যে আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে যা আমরা জানলে হয়তো আমাদের জন্য অনেক উপকার হবে। আসুন আমরা জেনে নেই পানশূন্যতা বুঝার উপায় কি সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

শারীরিক লক্ষণ
  • তৃষ্ণার্ত বোধ: পানিশূন্যতার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল তৃষ্ণার্ত বোধ করা।
  • মুখ শুষ্ক হওয়া: যখন আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকে, তখন আপনার মুখ শুষ্ক এবং আঠালো মনে হতে পারে।
  • পরিমাণে কম প্রস্রাব: পানিশূন্য হলে, আপনি কম প্রস্রাব করবেন এবং প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হবে।
  • মাথাব্যথা: পানিশূন্যতা মাথাব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
  • শারীরিক দুর্বলতা: ক্লান্তি এবং দুর্বলতা পানিশূন্যতার আরেকটি লক্ষণ হতে পারে।
  • চক্কর আসা: পানিশূন্যতা মাথা ঘোরা এবং হালকা লাগার কারণ হতে পারে।
  • শুষ্ক ত্বক: পানিশূন্যতা ত্বককে শুষ্ক এবং খসখসে করে তুলতে পারে।
  • পেশীতে ব্যথা: পানিশূন্যতা পেশীতে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
গুরুতর লক্ষণ
  • জ্বর: পানিশূন্যতা জ্বরের কারণ হতে পারে।
  • বিভ্রান্তি: তীব্র পানিশূন্যতা বিভ্রান্তি বা অস্পষ্ট বুদ্ধিমত্তার কারণ হতে পারে।
  • দ্রুত হৃদস্পন্দন: পানিশূন্যতা হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি করতে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট: তীব্র পানিশূন্যতা শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
  • চেতনা হারানো: চরম ক্ষেত্রে, পানিশূন্যতা অজ্ঞান হওয়ার কারণ হতে পারে।
আমাদের পানিশূন্যতা হলে কিভাবে বুঝব সে সম্পর্কে জানলাম। এখন জানার বিষয় হচ্ছে কিভাবে পানি শূন্যতা দূর করা যায়। এক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে আসুন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

হালকা পানিশূন্যতার ক্ষেত্রে
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন: পানিশূন্যতা দূর করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা।
  • ওআরএস (Oral Rehydration Solution) পান করুন: ওআরএস লবণ এবং ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ একটি পানীয় যা পানিশূন্যতা দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করে।
  • পানিশূন্যতাজনিত খাবার খান: ফল, শাকসবজি এবং ঝোলযুক্ত খাবার পানিশূন্যতা দূর করতে সহায়তা করতে পারে।
গুরুতর পানিশূন্যতার ক্ষেত্রে
  • চিকিৎসা সহায়তা নিন: যদি আপনার তীব্র পানিশূন্যতার লক্ষণ থাকে, যেমন জ্বর, বিভ্রান্তি বা দ্রুত হৃদস্পন্দন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নিন।
  • IV তরল: গুরুতর পানিশূন্যতার ক্ষেত্রে, শরীরে তরল পুনরুদ্ধার করতে আপনাকে IV তরল দেওয়া হতে পারে।

পানি শূন্যতা কেন হয়ঃ

পানি শূন্যতা কেন হয় পানি শূন্যতা হওয়ার পেছনেও বেশকিছু কারণ রয়েছে। যেমন আপনার শরীরে যে পরিমাণ পানি পরিশ্রমের কারণে বের হয়ে যাচ্ছে । তার তুলনায় পানি কম খাওয়ার কারণে আপনার পানি শূন্যতা হতে পারে।

এছাড়াও যে পরিমাণে পানি পান করা উচিত আপনার সে পরিমাণে পানি পান না করার কারণেও আপনার শরীরে পানি শূন্যতা হতে পারে। আসুন আমরা জেনে নিই পানিশূন্যতা কেন হয় সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পানিশূন্যতার কিছু সাধারণ কারণ
  • পর্যাপ্ত পানি পান না করা: পানিশূন্যতার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পা
  • অতিরিক্ত ঘাম ঝরা: ব্যায়াম, গরম আবহাওয়া এবং জ্বরের কারণে অতিরিক্ত ঘাম ঝরলে পানিশূন্যতা হতে পারে।
  • ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাব: ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাবের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে তরল ও ইলেক্ট্রোলাইট বেরিয়ে যেতে পারে, যার ফলে পানিশূন্যতা হতে পারে।
  • মূত্রবর্ধক ওষুধ: কিছু মূত্রবর্ধক ওষুধ শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে পারে, যার ফলে পানিশূন্যতা হতে পারে।
  • কিছু রোগ: মধুমেহ এবং কিডনি রোগের মতো কিছু রোগ পানিশূন্যতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
পানিশূন্যতা এড়াতে যা করবেন
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন: প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন।
  • গরমের দিনে আরও বেশি পানি পান করুন: গরমের দিনে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়, তাই এই সময় আরও বেশি পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • ওআরএস (Oral Rehydration Solution) পান করুন: যদি আপনি ডায়রিয়া বা বমি বমি ভাব অনুভব করেন, তাহলে ওআরএস পান করে শরীরের লবণ ও ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণ করুন।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান: ফল, শাকসবজি এবং ঝোলযুক্ত খাবার পানিশূন্যতা দূর করতে সহায়তা করতে পারে।
  • মদ্যপান ও ধূমপান এড়িয়ে চলুন: মদ্যপান ও ধূমপান শরীর থেকে তরল বের করে দিতে পারে, তাই পানিশূন্যতার ঝুঁকি বাড়ায়।
  • পানিশূন্যতা একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে, তাই এটি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

পানিশূন্যতা হলে কতটুকু পানি পান করতে হয়ঃ


পানি শূন্যতা হলে কতটুকু পানি পান করতে হবে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্যের ওপর। এছাড়া বয়স, ওজন ও শারীরিক কার্যকলাপের উপর। তবে বিশেষ করে বেশ কিছু নির্দেশনা যদি মেনে চলেন তবে পানি শূন্যতা দূর করতে পারবেন।

পানিশূন্যতা হলে কতটুকু পানি পান করতে হয় তা জানতে হলে কিছু নির্দেশনা আপনাকে মেনে চলতে হবে। আসুন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

তবে, কিছু সাধারণ নির্দেশিকা প্রদান করা যেতে পারে

হালকা পানিশূন্যতা: যদি আপনার হালকা পানিশূন্যতা থাকে, তাহলে প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন। এছাড়াও, ওআরএস (Oral Rehydration Solution) পান করুন।

মাঝারি পানিশূন্যতা: যদি আপনার মাঝারি পানিশূন্যতা থাকে, তাহলে আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসক আপনার জন্য কতটুকু পানি পান করা উচিত তা নির্ধারণ করবেন এবং প্রয়োজনে আপনাকে IV তরল দিতে পারেন।

গুরুতর পানিশূন্যতা: যদি আপনার গুরুতর পানিশূন্যতা থাকে, তাহলে আপনাকে তৎক্ষণই চিকিৎসা সহায়তা নিতে হবে। এই অবস্থায়, আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি করে IV তরল দেওয়া হতে পারে।

পানিশূন্যতা থাকাকালীন আপনার শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি অনেক বার প্রস্রাব করেন, তাহলেও পানি পান করতে থাকুন। কারণ, প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে লবণ ও ইলেক্ট্রোলাইট বেরিয়ে যায়, যার ফলে আপনার পানিশূন্যতার অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।

আপনার পানিশূন্যতা দূর হচ্ছে কিনা তা বোঝার জন্য কিছু লক্ষণ দেখে নিন
  • প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি: আপনি যদি আগের চেয়ে বেশি বার প্রস্রাব করেন এবং প্রস্রাবের রঙ হালকা হয়, তাহলে আপনার পানিশূন্যতা দূর হচ্ছে বলে বোঝা যায়।
  • মুখ শুষ্ক না থাকা: আপনার মুখ যদি আগের চেয়ে কম শুষ্ক থাকে এবং আপনার ঠোঁট ফাটা না থাকে, তাহলে আপনার পানিশূন্যতা দূর হচ্ছে বলে বোঝা যায়।
  • মাথাব্যথা নেই: আপনার যদি মাথাব্যথা নেই এবং আপনি শক্তিশালী বোধ করেন, তাহলে আপনার পানিশূন্যতা দূর হচ্ছে বলে বোঝা যায়।

শিশুর পানি শূন্যতায় করণীয়ঃ

শিশুদের পানিশূন্যতা হলে আমরা সহজেই বুঝতে পারিনা। এজন্য শিশুদের প্রতি আমাদের বিশেষ নজর রাখা উচিত। আসুন আমরা জেনে নিয়ে শিশুর পানি শূন্যতায় করণীয় কি সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পানি শূন্যতার লক্ষণ
  • মুখ শুষ্ক থাকা: শিশুর ঠোঁট ও জিহ্বা শুষ্ক থাকা, লালভাব দেখা যাওয়া।
  • কম প্রস্রাব: ডায়াপার ভেজা কমে যাওয়া, ৬ মাসের কম বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে ৬ ঘণ্টার বেশি প্রস্রাব না হওয়া, ৬ মাসের বেশি বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে ৮ ঘণ্টার বেশি প্রস্রাব না হওয়া।
  • কান্নার সময় অশ্রু না আসা: শিশু যখন কাঁদে তখন তার চোখে অশ্রু না আসা।
  • মাথায় তালু ডুবে থাকা: শিশুর মাথার তালু সাধারণের চেয়ে নরম ও ডুবে থাকা।
  • অস্বাভাবিক ঘুম: অতিরিক্ত ঘুম বা অস্বাভাবিকভাবে একটানা ঘুমিয়ে থাকা।
  • খিটমিটে মেজাজ: অকারণে কান্না বা খিটমিটে মেজাজ দেখানো।
  • জ্বর: শিশুর জ্বর থাকা।
পানি শূন্যতার কারণ
  • পর্যাপ্ত পানি পান না করা: শিশুদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার প্রয়োজন হয়। তবে অনেক সময় তারা পর্যাপ্ত পানি পান করতে চায় না, যার ফলে পানিশূন্যতা হতে পারে।
  • ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাব: ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাবের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে তরল বেরিয়ে যেতে পারে, যার ফলে পানিশূন্যতা হতে পারে।
  • জ্বর: জ্বর থাকলে শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে তরল বেরিয়ে যেতে পারে, যার ফলে পানিশূন্যতা হতে পারে।
  • অন্যান্য রোগ: মধুমেহ, কিডনি রোগের মতো কিছু রোগ শিশুদের পানিশূন্যতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
পানিশূন্যতা এড়াতে

শিশুকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে উৎসাহিত করুন: 6 মাসের কম বয়সী শিশুদের মায়ের দুধ ছাড়া অন্য কোন পানীয় দিতে হবে না। 6 মাসের বেশি বয়সী শিশুদের বুকের দুধের পাশাপাশি পানি, ORS (Oral Rehydration Solution) বা ফলের রস পান করতে দিন।

গরমের দিনে আরও বেশি পানি পান করতে উৎসাহিত করুন: গরমের দিনে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়, তাই এই সময় শিশুদের আরও বেশি পানি পান করতে উৎসাহিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাব হলে ORS পান করুন: শিশু যদি ডায়রিয়া বা বমি বমি ভাব অনুভব করে, তাহলে ORS পান করে শরীরের লবণ ও ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণ করুন।

শিশুর পানিশূন্যতার লক্ষণঃ

বড়দের তুলনায় শিশুরা পানশূন্যতা শিকার খুব সহজেই হয়। কারণ তাদের শরীরে পানির পরিমাণ কম থাকে এবং তাদের বেশি ঘাম ঝরায়। কারণ তারা সবসময় দৌড়াদৌড়ি, ছোড়াছুটির মধ্যে থাকে। আসুন আমরা জেনে নিই শিশুদের পানি শূন্যতার লক্ষণ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পানিশূন্যতার কিছু সাধারণ লক্ষণ হল
  • মুখ শুষ্ক থাকা: শিশুর ঠোঁট ও জিহ্বা শুষ্ক থাকা, লালভাব দেখা যাওয়া।
  • কম প্রস্রাব: ডায়াপার ভেজা কমে যাওয়া, ৬ মাসের কম বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে ৬ ঘণ্টার বেশি প্রস্রাব না হওয়া, ৬ মাসের বেশি বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে ৮ঘণ্টার বেশি প্রস্রাব না হওয়া।
  • কান্নার সময় অশ্রু না আসা: শিশু যখন কাঁদে তখন তার চোখে অশ্রু না আসা।
  • মাথায় তালু ডুবে থাকা: শিশুর মাথার তালু সাধারণের চেয়ে নরম ও ডুবে থাকা।
  • অস্বাভাবিক ঘুম: অতিরিক্ত ঘুম বা অস্বাভাবিকভাবে একটানা ঘুমিয়ে থাকা।
  • ত্বক ঠান্ডা ও শুষ্ক থাকা: শিশুর ত্বক যদি ঠান্ডা ও শুষ্ক থাকে এবং স্পর্শে টানলে তা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসে।
  • চোখ ডুবে থাকা: শিশুর চোখ যদি ডুবে থাকে এবং চোখের পাতা শুষ্ক থাকে।
  • মুখ ও জিহ্বা অত্যন্ত শুষ্ক থাকা: শিশুর ঠোঁট ও জিহ্বা যদি অত্যন্ত শুষ্ক ও ফাটা থাকে।
  • অত্যধিক ক্লান্তি ও দুর্বলতা: শিশু যদি অত্যধিক ক্লান্ত ও দুর্বল বোধ করে।
  • চেতনা হারানো: শিশু যদি চেতনা হারিয়ে ফেলে।
যদি আপনার শিশুর পানিশূন্যতার যেকোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

পানিশূন্যতা রোধ করার জন্য

আপনার শিশুকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে উৎসাহিত করুন। ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের কেবল মায়ের দুধ খাওয়ান। ৬ মাসের বেশি বয়সী শিশুদের বুকের দুধের পাশাপাশি পানি বা ফলের রস পান করতে দিন।গরমের দিনে আরও বেশি পানি পান করতে উৎসাহিত করুন।

মন্তব্যঃ

পরিশেষে বলতে পারি আমার আর্টিকেলটি পড়ার পরে নিশ্চয়ই আপনারা জানতে পেরেছেন। পানি শূন্যতা বোঝার উপায় কিভাবে পানি শূন্যতা দূর করা যায় আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।

আমার আর্টিকেলটি পড়ার পড়ে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারা উপকৃত হবে।

ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url