গ্যাস্ট্রিক কেন হয় ও চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
প্রিয় বন্ধুরা, আপনার তো অনেকেই জানতে চেয়েছেন গ্যাস্ট্রিক কেন হয় ও চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় ।এ সম্পর্কে আমি আপনাদেরকে আমার এই আর্টিকেলটিতে একেবারে সঠিক তথ্যটি দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
আপনারা যদি মনোযোগ দিয়ে আমার আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন। গ্যাস্ট্রিক কেন হয় ও চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। তাই জানতে হলে দেরি না করে পড়তে থাকুন।
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা প্রায় অনেকেরই হয়ে থাকে।গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যখন হয় তখন কোন কিছুই ভালো লাগেনা এবং নিজের কাছে সবসময় অস্বস্তি মনে হয়। তবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে যেমন, খাদ্য অভ্যাস, এছাড়াও জীবন ধারার অগোছালো চলাফেরা।
এছাড়াও বিভিন্ন কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। তবে এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি। এছাড়া আরো অনেক কিছুই আমরা করে থাকি তাই আমার আর্টিকেলটির মূল আলোচ্য বিষয় হলো গ্যাস্ট্রিক কেন হয় ও চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
গ্যাস্ট্রিক কেন হয় ও চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
গ্যাস্ট্রিক একটি জটিল সমস্যা বর্তমান সময়ে প্রায় প্রত্যেকেই এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন। আমাদের ঘরে আরো কোন কিছু পাওয়া যাক আর না যাক গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ অবশ্যই পাওয়া যায়। কারণ গ্যাস্ট্রিক এখন ঘরে ঘরে আর এই গ্যাস্ট্রিক হওয়ার জন্য দায়ী হচ্ছে আমাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্য অভ্যাস এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা।
তাই আসুন দেরি না করে জানতে থাকি, গ্যাস্ট্রিক কেন হয় ও চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।
১। খাদ্যাভ্যাস
- অস্বাস্থ্যকর খাবার: ঝাল, মশলাযুক্ত, তেলে ভাজা খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড
- অনিয়মিত খাওয়া: দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকা, নিয়মিত সময় খাওয়া না
- দ্রুত খাওয়া: খাবার ভালো করে না চিবিয়ে খাওয়া
- পর্যাপ্ত পানি না পান করা: পানিশূন্যতা
- অতিরিক্ত চা, কফি পান করা: ক্যাফেইন
২। জীবনধারা
- ধূমপান: ধোঁয়ার ক্ষতিকর প্রভাব
- মদ্যপান: অ্যালকোহলের প্রভাবে পেটের গর্ভনালীর জ্বালা
- মানসিক চাপ: চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্ণতা
- অপর্যাপ্ত ঘুম: ঘুমের অভাব
- ব্যায়ামের অভাব: শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা
৩। অন্যান্য
- কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: বিশেষ করে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
- হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ: যার কারণে পেটের ক্ষত সৃষ্টি হয়।
- এসিড রিফ্লাক্স রোগঃ অ্যাসিডের পেটের উপরের অংশে ফিরে আসে এবং অস্বস্তি বোধ হয়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে মলত্যাগে সমস্যা হয় যার কারণে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
- অ্যালার্জি: কিছু খাবারের প্রতি অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া
চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বেশ বিরক্তিকর একটা সমস্যা। যার কারণে আমাদের বিভিন্ন কাজের প্রতি সমস্যা সৃষ্টি হয় সব সময় একটা অসুস্থি ভাব মনে হয়। এ ছাড়া বমি বমি ভাব,পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।
চিরতরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা কিছু পরিবর্তন আনা খুবই জরুরী। আসুন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১। খাদ্যাভ্যাস
- নিয়মিত খাওয়া: নিয়মিত সময় অন্তর কম করে কম ৫ বার খাবার খান।
- পর্যাপ্ত পানি: দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
- ফাইবার: শাকসবজি, ফল, বাদাম, বীজ, ওটস, গমের ভাত ইত্যাদি ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি খান।
- মশলা: ঝাল, তেল, মশলাযুক্ত খাবার কমিয়ে খান।
- প্রোবায়োটিক: দই, টক দই, কাঁচা মরিচ ইত্যাদি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খান।
- সহজপাচ্য: হজমে ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন।
২। জীবনধারা
- ধূমপান: ধূমপান ত্যাগ করুন।
- মদ্যপান: মদ্যপান পরিহার করুন।
- চাপ: মানসিক চাপ কমিয়ে রাখুন।
- ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান।
- যোগব্যায়াম: ধ্যান, যোগব্যায়াম অনুশীলন করুন।
৩। ঘরোয়া উপায়
- আদা: আদা চা, আদা জল খান।
- পুদিনা: পুদিনা পাতা চিবিয়ে খান, পুদিনা চা পান করুন।
- জিরা: জিরা পানি, জিরা গুঁড়ো খান।
- এলচি: এলচি চা পান করুন।
- শসা: শসা খান।
৪। চিকিৎসা
যদি গ্যাসের সমস্যা খুবই বেশি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা উচিত।
সকালে খালি পেটে কি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে না
আমাদের দৈনন্দ জীবনের খাদ্যভ্যাসের কারণেই গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও রয়েছে জীবনযাত্রার পরিবর্তন। ভালো কিছু করতে হলে অবশ্যই নিয়ম মেনে করতে হবে যখনই আপনি নিয়ম ছেড়ে নিয়মের বাইরে যাবেন তখন দেখবেন কোন কোন সমস্যা হবে/ ঠিক গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়।
আসুন আমরা জেনে নেই, সকালে খালি পেটে কি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে না সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
- খেজুর:খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- মৌরি:মৌরি হজমশক্তি উন্নত করে এবং পেটের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- আদা:আদা পেটের অস্বস্তি এবং বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে।
- নারকেল পানি:নারকেল পানি শরীরে তরল পদার্থের ঘাটতি পূরণ করে এবং পেট ঠান্ডা রাখে।
- পেঁপে:পেঁপেতে পেপাইন নামক এনজাইম থাকে যা হজমে সাহায্য করে।
- ওটমিল:ওটমিল ফাইবার এবং প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- দই:দইতে প্রোবায়োটিক থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং পেটের ভারসাম্য রক্ষা করে।
- কাঁচা বাদাম:কাঁচা বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং পেট ভরা রাখে।
মনে রাখবেন:
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন যা আপনাকে গ্যাসের সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই দিবে।
আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।ডাক্তার আপনার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা দেবেন।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত না
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা মূলত খাবার থেকেই হয় এর জন্য আমাদেরকে এমন কিছু খাবার গ্রহণ করতে হবে যা আমাদের কাছে সমস্যা সৃষ্টি করবে না। আসুন আমরা জেনে নেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত না সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
১। ঝাল, মশলাযুক্ত খাবার
মরিচ, কাঁচা মরিচ, মরিচ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, মশলা।এইসব খাবার পেটের আস্তরণে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
২। তেলে ভাজা খাবার
ভাজা পুরি, সেমাই, সমুচা, পকোড়া, কাটলেট, চিপস, ফাস্ট ফুড।এই খাবারগুলো হজমে বেশি সময় নেয় এবং পেটে অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
৩। অ্যাসিডযুক্ত খাবার
টমেটো, কাঁচা পেঁপে, কমলালেবু, আঙ্গুর, আনারস, আপেল।এই খাবারগুলো পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরও তীব্র করে তোলে।
৪। প্রক্রিয়াজাত খাবার
সসেজ, স্যালAMI, বেকন, প্যাকেট জাত খাবার, ইনস্ট্যান্ট নুডুলস, প্যাকেট স্ন্যাকস।এই খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিনি, লবণ এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে।
৫। ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়
চা, কফি, কোলা, এনার্জি ড্রিঙ্কস। এই পানীয়গুলো পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরও তীব্র করে তোলে।
৬। মদ
ওয়াইন, বিয়ার, ভদকা, কেরু,মদ পেটের আস্তরণে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
৭। ধূমপান
ধূমপান পেটের আস্তরণে ক্ষতি করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
৮। ঠান্ডা পানীয়
ঠান্ডা পানীয় পেটে ঠান্ডা লাগিয়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
মনে রাখবেন
এছাড়াও অন্যান্য খাবারও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়াতে পারে।
আপনার যদি দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার আপনার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা দেবেন।
কোন কোন সবজি খেলে গ্যাস্ট্রিক হয় না
কোন কিছু খেলেই গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় তখনই আমরা অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ি। কি থেকে কি খাবো ভেবে পাইনা সবসময় মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে হয়তো এটা খেলে গ্যাসের সমস্যা হবে। যাইহোক, এখন দেখা যাক কোন কোন সবজি খেলে গ্যাস্ট্রিক হয় না সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১।শাকসবজি:
পালং শাক:পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ এবং ভিটামিন থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
লাউ শাক:লাউ শাকে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং ফাইবার থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং পেট পরিষ্কার রাখে।
শসা:শসাতে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং ইলেক্ট্রোলাইট থাকে যা পেট ঠান্ডা রাখে এবং ডিহাইড্রেশন দূর করে।
গাজর:গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ভিটামিন থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
বিট:বিটে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং পেটের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
২। শিকড়ি জাতীয় সবজি:
আলু:আলুতে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ থাকে যা হজমে সহজ এবং পেট ভরা রাখে।
মিষ্টি আলু:মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
শালগম:শালগমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ভিটামিন থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
মনে রাখবেন:
এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়, এবং আরও অনেক সবজি আছে যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা না বাড়িয়ে বরং হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার আপনার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা দেবেন।
কোন কোন ফল খেলে গ্যাস্ট্রিক হয় না
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে আমাদের পেটের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। যেমন পেটা অস্বস্তি, বমি বমি ভাব, টক ঢেকুর, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকোঠিন্য আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যেন বৃদ্ধি না পায় এজন্য কিছু ফল রয়েছে। আসুন আমরা জেনে নেই, কোন কোন ফল খেলে গ্যাস্ট্রিক হয় না সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কিছু ফল আছে যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা না বাড়িয়ে বরং হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
- পেঁপে:পেঁপেতে পেপাইন নামক এনজাইম থাকে যা হজমে সাহায্য করে এবং পেটের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- সফরজান: সফরজানে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এতে পেকটিন নামক উপাদান থাকে যা পেটের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- আম:আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- মুসকানি:মুসকানিতে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং ফাইবার থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং পেট পরিষ্কার রাখে। এতে ভিটামিন সিও প্রচুর পরিমাণে থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- বেল:বেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও প্রচুর পরিমাণে থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্য সবচেয়ে বড় যে জিনিস প্রয়োজন সেটা হল খাবারের পাশাপাশি আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। নিয়ম করে ঘুমাতে হবে, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনতে হবে। তবে আপনি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে ভালো থাকতে পারবেন।
মন্তব্য
অবশেষে বলতে পারি আপনারা আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং পড়ার পরে জানতে পেরেছেন। গ্যাস্ট্রিক কেন হয় ও চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে আশা করি উপকৃত হয়েছেন।
তাই আমার আর্টিকেলটি পড়ার পরে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারা উপকৃত হবে।
ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url