বাচ্চাদের এলার্জি সমস্যা হলে কি করতে হবে যা অনেকেই জানেনা
প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন বাচ্চাদের এলার্জি সমস্যা হলে কি করতে হবে যা অনেকেই জানেনা। হ্যাঁ, আমি আপনাদেরকে আমার এই আর্টিকেলটিতে একেবারে সঠিক তথ্যটি দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
আপনারা যদি আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন। বাচ্চাদের এলার্জি সমস্যা হলে কি করতে হবে যা অনেকেই জানে না এ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভূমিকাঃ
এলার্জি একটি জটিল রোগ যা পুরোপুরি ভালো হওয়া একেবারে সম্ভব নয়। তবে এলার্জিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব যদি একটু সচেতন হওয়া যায়। এলার্জি মূলত হয় ধুলাবালি, ময়লা আবর্জনা ও দূষিত পরিবেশ থেকে । আমরা যদি এগুলো থেকে একটু সচেতন থাকতে পারি হয়তো বা এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে পারবো।
তবে বাচ্চাদের অ্যালার্জি হলে কি করতে হবে যা আমরা অনেকেই জানিনা । এছাড়া এলার্জির লক্ষণ এলার্জি হলে কি ওষুধ খাওয়া লাগতে পারে, কোন ক্রিম ব্যবহার করতে হতে পারে এ সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।
আরো পড়ুনঃ সপ্তাহে কতদিন ব্যায়াম করা উচিত
বাচ্চাদের এলার্জি সমস্যা হলে কি করতে হবে যা অনেকেই জানেনাঃ
বাচ্চাদের এলার্জি সমস্যা হলে কি করতে হবে যা আমরা অনেকেই জানিনা। হ্যাঁ, এক্ষেত্রে বাচ্চাদের প্রতি আমাদের যত্নশীল হতে হবে। তারা যেন ধুলাবালি, ময়লা আবর্জনা এবং অপরিচ্ছন্ন পোশাক পরিচ্ছেদ না করে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এছাড়া বাচ্চাদের খাবারের দিকেও আমাদের নজর রাখতে হবে।
বাচ্চাদের এলার্জি হলে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। এই লক্ষণগুলো যদি আমাদের জানা থাকে তবে আমরা অ্যালার্জি সম্পর্কে অবগত হতে পা্রবো। আসুন আমরা জেনে নেই ,বাচ্চাদের এলার্জি সমস্যা হলে কি করতে হবে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১। লক্ষণ চিহ্নিত করুন
চর্মের সমস্যা: বাচ্চাদের চামড়ায় বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ি, এজমা, লালভাব, চুলকানি দেখা দেয় আর এটাই হচ্ছে বাচ্চাদের চর্মের সমস্যা।
শ্বাসকষ্ট: বাচ্চাদের এলার্জির কারণে কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাস এর সমস্যা হয়।
পেটের সমস্যা: এলার্জিজনিত কারণেবমি, অতিসার, পেটব্যথা হয়ে থাকে।
অন্যান্য: এছাড়া এলার্জির জনিত কারণে চোখ জালা নাক বন্ধ অলসতা হতে পারে।
২। ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন
এই লক্ষণগুলো যখন দেখতে পাবেন তখন অবশ্যই আপনি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন।শিশুর এলার্জির কারণ নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারের সাথে পরামর্শ অপরিহার্য। ডাক্তার যে পরামর্শ দেবে সে অনুযায়ী সঠিকভাবে যদি পালন করেন তাহলে অবশ্যই এলার্জি থেকে রেহাই পাবেন।
৩। এলার্জেন এড়িয়ে চলুন
ডাক্তার যদি কোন নির্দিষ্ট এলার্জেন (যেমন, খাবার, ধুলো, পোষা প্রাণী) শনাক্ত করেন, সেগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
খাদ্য লেবেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন, পোষা প্রাণী পরিষ্কার রাখুন, ঘর ধুলোমুক্ত রাখুন।
৪। ওষুধ
ডাক্তার এলার্জির উপসর্গ কমাতে ওষুধ (যেমন, অ্যান্টিহিস্টামাইন, কর্টিসোন ক্রিম, ইনহেলার)
মনে রাখবেন, নিজে থেকে ওষুধ দেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। তাই অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করবেন।
৫। জীবনধারা পরিবর্তন
জীবনধারা পরিবর্তনের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম এলার্জি প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
ধূমপান এড়িয়ে চলুন, পরিবেশ দূষণ থেকে শিশুকে দূরে রাখুন।
৬। মানসিক যত্ন
এলার্জি শিশুদের মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাদের সাথে সহানুভূতিশীল থাকুন, সাহায্য করুন এবং মানসিক সমর্থন প্রদান করুন।
কিছু অতিরিক্ত টিপস:
- শিশুর হাত নিয়মিত ধোঁয়া।
- পোষা প্রাণীর সাথে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে না আশা।
- শিশুর ঘুমের জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
- শীতাতপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন, একটা কথা মনে রাখবেন যে কোন রোগ হোক না কেন তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মেনে চলতে হবে।
বাচ্চাদের এলার্জি লক্ষণ গুলো কি কিঃ
বাচ্চারা যেহেতু একেবারে ছোট মানুষ সেহেতু এলার্জি কি তা তো তারা বুঝতেই পারবে না। এমনকি আমরা যে বড় মানুষ আমরাও সেটা অনেকে বুঝিনা। তাই আসুন জেনে নেই বাচ্চাদের অ্যালার্জি লক্ষণ গুলো কি কি সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ত্বকের সমস্যা
- ফুসকুড়ি: এটি লাল, ফোলা, চুলকানিযুক্ত বা শুষ্ক হতে পারে।
- একজিমা: এটি ত্বকের একটি প্রদাহজনিত অবস্থা যা শুষ্ক, ফাটা, লাল এবং চুলকানিযুক্ত হতে পারে।
- আর্টিক্যারিয়া: এটি ত্বকে লাল, ফোলা, চুলকানিযুক্ত
- ঘোড়ার মতো ফোঁড়া হতে পারে।
শ্বাসের সমস্যা
- শ্বাসকষ্ট: শিশুকে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে, বিশেষ করে রাতে বা ব্যায়ামের পরে।
- কাশি: শিশু শুষ্ক বা ভেজা কাশি হতে পারে।
- শ্বাস-প্রশ্বাস: শিশু শ্বাস নেওয়ার সময় শব্দ হতে পারে।
- বন্ধ নাক: শিশুর নাক বন্ধ থাকতে পারে, যার ফলে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে।
অন্যান্য লক্ষণ
- চোখের জ্বালা: চোখ লাল, জ্বালাপোড়া এবং পানি হতে পারে।
- গলা ব্যথা: শিশুর গলা ব্যথা এবং গিলে ফেলায় অসুবিধা হতে পারে।
- পেট খারাপ: শিশুর পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া হতে পারে।
- অস্বাভাবিক ক্লান্তি: শিশু স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্লান্ত বোধ করতে পারে।
মনে রাখবেন
এই লক্ষণগুলি অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থারও লক্ষণ হতে পারে।
আপনার সন্তানের এলার্জি আছে কিনা তা নির্ণয় করার জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
একজন ডাক্তার আপনার সন্তানের এলার্জিগুলি সঠিকভাবে নির্ণয় করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করতে পারবেন।
বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার উপায়ঃ
বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমে বলতে হয়। অ্যালার্জি আসলে ভালো হবার কোন রোগ নয় তবে এলার্জি নিয়ন্ত্রণ করা এবং প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে বাচ্চার এলার্জি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং জীবনের উন্নত করতে আপনি অনেক কিছু অবলম্বন করতে পারেন। আসুন সে সম্পর্কে নিজে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১। এলার্জেন শনাক্ত করুন এবং এড়িয়ে চলুন
এলার্জি পরীক্ষা করার মাধ্যমে আপনার সন্তানের এলার্জির কারণ শনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণ এলার্জেনের মধ্যে রয়েছে ধুলো, পরাগরেণু, পোষা প্রাণীর পশম, খাবার (যেমন দুধ, বাদাম, ডিম), ওষুধ ইত্যাদি।
যতটা সম্ভব এলার্জেন এড়িয়ে চলা লক্ষণ প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার সন্তানের ধুলোতে এলার্জি থাকে, তাহলে নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করুন এবং ধুলোমুক্ত রাখুন।
২। ওষুধ
আপনার ডাক্তার লক্ষণ প্রশমিত করতে অ্যান্টিহিস্টামাইন, কর্টিসোন ক্রিম, ইনহেলার
মনে রাখবেন, নিজে থেকে ওষুধ দেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।
৩। জীবনধারা পরিবর্তন
পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম এলার্জি প্রতিরোধে
ধূমপান এড়িয়ে চলুন, পরিবেশ দূষণ থেকে শিশুকে দূরে রাখুন।
৪। ইমিউনোথেরাপি
কিছু ক্ষেত্রে, ইমিউনোথেরাপি (অ্যালার্জি শট)এই চিকিৎসায় শরীরকে ধীরে ধীরে এলার্জেনের সংস্পর্শে আনা হয়, সময়ের সাথে সাথে প্রতিক্রিয়া কমিয়ে দেয়া হয়।
৫। খাদ্যের পরিবর্তন
যদি আপনার সন্তানের খাদ্যে এলার্জি থাকে, আপনার ডাক্তার এলার্জেন এড়িয়ে একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিকল্পনা করতে পারেন।
মনে রাখবেন
প্রতিটি শিশুর এলার্জি আলাদা হয়।
ডাক্তারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করুন।
ধৈর্য ধরুন এবং আশাবাদী থাকুন।
এই তথ্য শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে। চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য অবশ্যই একজন যোগ্যতাসম্পন্ন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়ঃ
এলার্জি একটি জটিল সমস্যা এ সমস্যা সহজে ভালো হয় না তবে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এছাড়া ঘরোয়া উপায়েও বাচ্চাদের দূর করা সম্ভব আসুন আমরা জানি বাচ্চাদের যে দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১। লবণাক্ত পানির নেজাল ইরিগেশন
লবণাক্ত পানির নেজাল ইরিগেশন শ্লেষ্মা ঝিল্লিকে পরিষ্কার করতে এবং বন্ধ নাক খুলতে সাহায্য করে।
এটি ধুলো, পরাগরেণু এবং অন্যান্য এলার্জেন দূর করতেও সাহায্য করে।
শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি নেজাল ইরিগেশন কিট ব্যবহার করুন।
২। মধু
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে মধু কাশির লক্ষণগুলি প্রশমিত করতে পারে তবে, ১ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধু দেওয়া উচিত নয়।
৩। আদা
আদা একটি প্রাকৃতিক প্রদাহবিরোধী যা এলার্জির লক্ষণগুলি প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে।
আপনি আপনার সন্তানের খাবারে আদা যোগ করতে পারেন বা আদা চা খাওয়াতে পারেন।
৪। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এলার্জির লক্ষণগুলি প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে।
এক গ্লাস পানিতে ১ টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে দিনে দুইবার পান করুন।
৫। প্রোবায়োটিকস
প্রোবায়োটিকস জীবাণু যা হজম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রোবায়োটিকস এলার্জির লক্ষণগুলি প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে।
অন্যান্য টিপস
- আপনার বাড়িতে ধুলো, পরাগরেণু এবং পোষা প্রাণীর পশমের মাত্রা কমিয়ে রাখুন।
- নিয়মিত হাত ধোয়ার মাধ্যমে এলার্জেন ছড়িয়ে পড়া রোধ করুন।
- আপনার সন্তানকে ধূমপানের ধোঁয়া এবং অন্যান্য দূষণকারী পদার্থ থেকে দূরে রাখুন।
- আপনার সন্তানকে পর্যাপ্ত ঘুম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান।
মনে রাখবেন
এই ঘরোয়া উপায়গুলি সমস্ত শিশুর জন্য কার্যকর নাও হতে পারে।
আপনার সন্তানের এলার্জি চিকিৎসার জন্য সর্বোত্তম পদ্ধতি সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
বাচ্চাদের এলার্জির দূর করার ক্রিমঃ
বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়। তবে এই ক্রিম ব্যবহার করার আগে অবশ্যই আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেবেন। কারণ এলার্জি বিভিন্ন ধরনের হয় কোন ধরনের এলার্জিতে কোন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করতে হবে তা তো আর আমরা জানি না।
তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। আসুন আমরা জেনে নিই বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার ক্রিম সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কিছু সাধারণ ধরণের এলার্জি ক্রিম
হাইড্রোকোর্টিসন ক্রিম: এটি একটি কর্টিকোস্টেরয়েড যা চুলকানি, ফোলাভাব এবং লালভাব কমাতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিহিস্টামাইন ক্রিম: এগুলি চুলকানি এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
ময়েশ্চারাইজার: এগুলি ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করতে এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
কিছু টিপস যখন আপনার সন্তানের উপর এলার্জি ক্রিম ব্যবহার করবেন:
আপনার ডাক্তারের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
ক্রিমটি একটি পরিষ্কার, শুষ্ক ত্বকে প্রয়োগ করুন।
ক্রিমটি খুব বেশি ঘষবেন না।
আপনার সন্তানের মুখে বা চোখে ক্রিম লাগাবেন না।
যদি আপনার সন্তানের ত্বকে কোন জ্বালাপোড়া, লালভাব বা ফোলাভাব হয় তবে ক্রিম ব্যবহার বন্ধ করুন এবং আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনে রাখবেন:
এলার্জি ক্রিম সমস্ত এলার্জির লক্ষণ দূর করতে পারে না।
আপনার সন্তানের এলার্জি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্যান্য চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
এলার্জি ক্রিম ব্যবহার করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন, বিশেষ করে যদি আপনার সন্তানের অন্য কোনও চিকিৎসা অবস্থা থাকে।
বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার ঔষধের নামঃ
বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার জন্য নির্দিষ্ট কোন ওষুধ নেই তবে এলার্জির ধরন ও লক্ষণের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয় তা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আসুন আমরা জেনে বাঁচাতে এলার্জি দূর করার ওষুধের নাম সমূহ নিচে দেওয়া হল।
শিশুদের এলার্জির জন্য কিছু সাধারণ ঔষধের ধরণের মধ্যে রয়েছে
অ্যান্টিহিস্টামাইন: এগুলি এলার্জির লক্ষণ যেমন চুলকানি, ফোলাভাব, পর্দাভাব এবং শ্বাসকষ্ট কমাতে
সাহায্য করে। কিছু অ্যান্টিহিস্টামাইন ঘুমের বড়ষা করতে পারে।
ডিকনজেস্ট্যান্ট: এগুলি বন্ধ নাক এবং সাইনাস চাপ কমাতে সাহায্য করে।
মোন্টেলুকাস্ট: এটি একটি লিউকোট্রিয়েন রিসিভার অ্যান্টাগনিস্ট যা শ্বাসযন্ত্রের এলার্জি এবং সর্দি-কাশির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
ক্রোমোলিন সোডিয়াম: এটি একটি নাসাল স্প্রে যা এলার্জিক রাইনাইটিস চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
ইমিউনোথেরাপি: এটি এলার্জির প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে। এটি গুরুতর এলার্জি যাদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
শিশুদের এলার্জি ঔষধ প্রদানের সময় কিছু টিপস
আপনার ডাক্তারের নির্দেশাবলী সাবধানে অনুসরণ করুন।
ঔষধ সঠিক মাত্রায় দিন।
পেট খারাপ এড়াতে ঔষধ খাবারের সাথে দিন।
আপনার সন্তান যদি ঔষধ গ্রহণ বন্ধ করে দেয় বা ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করে তবে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
মন্তব্যঃ
অবশেষে বলতে পারে আপনার আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং পড়ার পড়ে অবশ্যই জানতে পেরেছেন। বাচ্চাদের এলার্জি সমস্যা হলে কি করতে হবে যা অনেকেই জানে না এ সম্পর্কে।
এছাড়া এলার্জি সম্পর্কে আরো বেশ কিছু বিষয় আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন। তাই আমার আর্টিকেলটি পড়ার পরে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারা উপকৃত হবে।
ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url