রক্তশূন্যতা কেন হয় ও রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায়
প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন রক্তশূন্যতা কেন হয় ও রক্তশূন্যতার দূর করার ঘরোয়া উপায়।এ সম্পর্কে আমার এই আর্টিকেলে আমি সঠিক তথ্যটি তুলে ধরেছি। আপনারা যদি আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন।
তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন রক্তশূন্যতা কেন হয় ও রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভূমিকাঃ
আমাদের দেশে বিশেষ করে শিশুরা রক্তশূন্যতায় বেশি ভোগে। এছাড়া গর্ভবতী মহিলারাও রক্তশূন্যতায় ভোগে থাকেন। তবে রক্তশূন্যতা হলে আমরা অনেকেই বুঝতে পারিনা। রক্তশূন্যতা হলে এর বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে যেমন মাথা ঘোরা, চোখে ঝাপসা দেখা, অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত বোধ করা, দুর্বল লাগা।
এই লক্ষণগুলো যখন আমাদের মাঝে দেখা দিবে তখনই আমরা বুঝবো যে আমাদের রক্তশূন্যতা দেখা দিয়েছে। তার জন্য আমাদেরকে প্রয়োজনে পদক্ষেপগুলো নিতে হবে। রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য আমরা ঘরোয়া উপায়ে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারি।
তারপরেও আমাদেরকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আমরা জেনে নেই রক্তশূন্যতা কেন হয় ও রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
আরো পড়ুনঃ সামনের দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
রক্তশূন্যতা কেন হয় ও রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় ঃ
রক্তশূন্যতা কেন হয় এ সম্পর্কে বলতে গেলে আমাদের জানতে হবে রক্তশূন্যতা কি? রক্তশূন্যতা হচ্ছে এমন একটি রোগ যার অভাবে আমাদের শরীরের রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। ধীরগতিতে রক্ত চলাচল করে যার ফলে আমাদের শরীর অল্প পরিশ্রমে অনেক দুর্বল লাগে, মাথা ব্যথা করে, মাথা ঘোরায়, শরীরের ক্লান্তি ভাব আসে ।
এগুলো হচ্ছে রক্তশূন্যতা লক্ষণ। রক্তশূন্যতা কেন হয় ও রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
রক্তশূন্যতার কিছু সাধারণ কারণ:
আয়রনের ঘাটতি: আয়রন হলো হিমোগ্লোবিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা লাল রক্ত কণিকায় অক্সিজেন বহন করে। যখন শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন না থাকে, তখন তা আয়রন-ঘাটতির রক্তাল্পতা হতে পারে।
ফোলেটের ঘাটতি: ফোলেট হলো ভিটামিন বি9, যা লাল রক্ত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। যখন শরীরে পর্যাপ্ত ফোলেট না থাকে, তখন তা ফোলেট-ঘাটতির রক্তাল্পতা হতে পারে।
পার্নিসিয়াস অ্যানিমিয়া: এটি একটি অটোইমিউন রোগ যা শরীরকে ভিটামিন বি12 শোষণ করতে বাধা দেয়। ভিটামিন বি12 লাল রক্ত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
রক্তক্ষরণ: প্রচুর রক্তক্ষরণ, যেমন মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা পেটের আলসারের কারণে রক্তাল্পতা হতে পারে।
থ্যালাসেমিয়া: এটি একটি জিনগত রোগ যা হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনকে প্রভাবিত করে।
ক্যান্সার: কিছু ধরনের ক্যান্সার রক্তাল্পতা হতে পারে।
রক্তশূন্যতা এমন একটি রোগ যা আমরা প্রাথমিক অবস্থায় বুঝতে পারি না। তবে এই রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন:
১। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার:
লাল মাংস
মুরগির মাংস
মাছ
ডিম
শাকসবজি (পালং শাক, মেথি শাক, ব্রকলি)
ডাল
বাদাম
বীজ
২। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার:
কমলালেবু
আঙ্গুর
আমলকী
ব্রকলি
টমেটো
৩। ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার:
শাকসবজি (পালং শাক, মেথি শাক)
ডাল
বাদাম
বীজ
৪। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন:
পানিশূন্যতা রক্তশূন্যতার লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করতে পারে। তাই প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন।
অন্যান্য ঘরোয়া উপায়:
১। নিয়মিত ব্যায়াম করুন:
নিয়মিত ব্যায়াম শরীরে অক্সিজেনের প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং রক্ত কণিকা উৎপাদন উন্নত করতে পারে।
২। পর্যাপ্ত ঘুমান:
ঘুমের সময় শরীর নতুন রক্ত কণিকা তৈরি করে। তাই প্রতি রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
৩। স্ট্রেস কমান:
স্ট্রেস রক্তাল্পতার লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করতে পারে। তাই যোগব্যায়াম, ধ্যান বা অন্যান্য স্ট্রেস-বিরক্তিকর কার্যকলাপ অনুশীলন করুন।
৪। ধূমপান ত্যাগ করুন:
ধূমপান শরীরে আয়রনের শোষণকে বাধা দেয়। তাই ধূমপান ত্যাগ করা রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
৫। মদ্যপান ত্যাগ করুন:
মদ্যপান রক্তাল্পতার লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করতে পারে। তাই মদ্যপান ত্যাগ করা রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
উল্লেখ্য:
- রক্তশূন্যতার লক্ষণগুলি দেখা দিলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
- ডাক্তার রক্ত পরীক্ষা করে রক্তাল্পতার ধরন এবং তীব্রতা নির্ণয় করতে পারেন।
- ডাক্তার রক্তাল্পতার কারণ অনুসারে চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন।
রক্তশূন্যতা দূর করার কিছু টিপস:
- খাবারে আয়রন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার একসাথে খান। ভিটামিন সি শরীরে আয়রনের শোষণ বৃদ্ধি করে।
- লোহার পাত্রে রান্না করুন। লোহার পাত্রে রান্না করলে খাবারে আয়রনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
- ক্যাফিনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন। ক্যাফিন শরীরে আয়রনের শোষণ বাধা দেয়।
- রক্তশূন্যতা দীর্ঘস্থায়ী হলে বা তীব্র হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ঔষধ সেবন করা উচিত।
রক্তশূন্যতার লক্ষণ ও প্রতিকারঃ
রক্তশূন্যতার লক্ষণ:
- ক্লান্তি
- দুর্বলতা
- শ্বাসকষ্ট
- মাথা ঘোরা
- মাথাব্যথা
- চোখে ঝাপসা দেখা
- ঠোঁট ও মুখ ফ্যাকাশে হওয়া
- হাত-পা ঠান্ডা লাগা
- বুকে ব্যথা
- দ্রুত হৃৎস্পন্দন
- মাথাব্যথা
- চুল পড়া
- নখ ভঙ্গুর হওয়া
রক্তশূন্যতার প্রকারভেদ:
আয়রন-ঘাটতির রক্তাল্পতা: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরনের রক্তাল্পতা। এটি আয়রনের ঘাটতির কারণে হয়।
পার্নিসিয়াস অ্যানিমিয়া: এটি ভিটামিন B12 এর ঘাটতির কারণে হয়।
ফোলেট-ঘাটতির রক্তাল্পতা: এটি ফোলেটের ঘাটতির কারণে হয়।
অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া: এটি হাড়ের মজ্জায় রক্ত কণিকা তৈরির সমস্যার কারণে হয়।
সিকেল সেল অ্যানিমিয়া: এটি একটি জিনগত রোগ যা লাল রক্ত কণিকাকে অস্বাভাবিক আকৃতি ধারণ করতে বাধ্য করে।
রক্তশূন্যতার প্রতিকার:
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন: আয়রন, ভিটামিন B12 এবং ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
ঔষধ: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন, ভিটামিন B12 বা ফোলেটের ঔষধ সেবন করা।
রক্ত পরিবাহ: তীব্র রক্তাল্পতার ক্ষেত্রে রক্ত পরিবাহের প্রয়োজন হতে পারে।
রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ:
সুষম খাদ্যাভ্যাস: আয়রন, ভিটামিন B12 এবং ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
নিয়মিত ব্যায়াম:
পর্যাপ্ত ঘুম:
ধূমপান ত্যাগ:
মদ্যপান ত্যাগ:
রক্তশূন্যতা একটি সাধারণ সমস্যা, তবে এটি গুরুতর হতে পারে। যদি আপনি রক্তাল্পতার লক্ষণগুলি অনুভব করেন তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
রক্তশূন্যতা দূর করার ঔষধের নামঃ
আপনার রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে। সে ওষুধগুলো আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। এছাড়া আপনার রক্তশূন্যতার ধরনের উপর নির্ভর করবে কোন ধরনের ওষুধ আপনি সেবন করবেন।
আসুন আমরা জেনে নেই রক্তশূন্যতা দূর করার সাধারণ কিছু ওষুধের নাম নিচে দেওয়া হল।
কিছু সাধারণ রক্তশূন্যতা ঔষধের নাম:
আয়রন-ঘাটতির রক্তাল্পতার জন্য:
- ফেরাস সালফেট
- ফেরাস গ্লুকোনেট
- সলফারাস
- লিভোলি
- ফেরো-GR
পার্নিসিয়াস অ্যানিমিয়ার জন্য:
- সায়ানোকোবালামিন
- হাইড্রোক্সোকোবালামিন
- ফোলেট-ঘাটতির রক্তাল্পতার জন্য:
- ফোলিক অ্যাসিড
অন্যান্য:
- ইরিথ্রোপয়েটিন
- ডার্সপোয়েটিন
ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। ডাক্তার আপনার রক্ত পরীক্ষা করে রক্তাল্পতার ধরন এবং তীব্রতা নির্ণয় করবেন। তারপর ডাক্তার আপনার জন্য উপযুক্ত ঔষধ এবং ডোজ নির্ধারণ করবেন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
রক্তশূন্যতা ঔষধের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। ঔষধ সেবন শুরু করার আগে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন।
রক্তশূন্যতা ঔষধ দীর্ঘ সময় ধরে সেবন করতে হতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এবং নিয়মিত ব্যায়াম রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতা দূর করার উপায়ঃ
গর্ভবতী মায়েদের রক্তশূন্যতা একটি সাধারন ব্যাপার। গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে আয়নের চাহিদা বৃদ্ধি পায় যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে গর্ভবতী মা আয়রন না পান। তাহলে তিনি রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত হতে পারেন। আসুন আমরা জেনে নেই গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতা দূর করার উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতা দূর করার উপায়:
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন:
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান: লাল মাংস, মুরগির মাংস, মাছ, ডিম, শাকসবজি (পালং শাক, মেথি শাক, ব্রকলি), ডাল, বাদাম, বীজ।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান: কমলালেবু, আঙ্গুর, আমলকী, ব্রকলি, টমেটো।
ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার খান: শাকসবজি (পালং শাক, মেথি শাক), ডাল, বাদাম, বীজ।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন:
ঔষধ:
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন, ভিটামিন B12 বা ফোলেটের ঔষধ সেবন করুন।
অন্যান্য:
নিয়মিত ব্যায়াম করুন:
পর্যাপ্ত ঘুম:
স্ট্রেস কমান:
গর্ভবতী মায়েদের রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ:
গর্ভধারণের পূর্বে এবং গর্ভাবস্থায় নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করান।
সুষম খাদ্যাভ্যাস:
নিয়মিত ব্যায়াম:
পর্যাপ্ত ঘুম:
ধূমপান ত্যাগ:
মদ্যপান ত্যাগ:
গর্ভবতী মায়েদের রক্তশূন্যতা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। যদি গর্ভবতী মা রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত হন, তাহলে তা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে। তাই গর্ভবতী মায়েদের রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ ও দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
গর্ভবতী মায়েদের রক্তাল্পতার লক্ষণগুলি হলো ক্লান্তি, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, ঠোঁট ও মুখ ফ্যাকাশে হওয়া।
গর্ভবতী মায়েদের রক্তাল্পতা হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
ডাক্তার রক্ত পরীক্ষা করে রক্তাল্পতার ধরন এবং তীব্রতা নির্ণয় করবেন।
ডাক্তার রক্তাল্পতার কারণ অনুসারে চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন।
শিশুর রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায়ঃ
আমাদের দেশে শিশুরা বিভিন্ন ধরনের অবহেলা ও যত্নের অভাবে রক্তশূন্যতায় ভুগে থাকেন। আমরা যদি শিশুদেরকে যত্ন নেই এবং তাদের খাবার-দাবারের দিকে নজর রাখি এছাড়া শিশুদের পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য যে ধরনের পদক্ষেপ নেয়া উচিত সেগুলো যদি গ্রহণ করি।
তাহলে অবশ্যই শিশুর রক্তশূন্যতা দূর করা সম্ভব। আসুন আমরা জেনে নিই শিশুর রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন:
১। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার:
লাল মাংস (গরুর মাংস, খাসির মাংস)
মুরগির মাংস
মাছ (রুই, কাতলা, ইলিশ)
ডিম
শাকসবজি (পালং শাক, মেথি শাক, ব্রকলি)
ডাল (মুগ ডাল, ছোলা, মসুর ডাল)
বাদাম (কাজুবাদাম, পেস্তা, চিনাবাদাম)
বীজ (তিল, সূর্যমুখী বীজ, কুমড়ার বীজ)
২। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার:
কমলালেবু
আঙ্গুর
আমলকী
ব্রকলি
টমেটো
৩। ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার:
শাকসবজি (পালং শাক, মেথি শাক)
ডাল (মুগ ডাল, ছোলা, মসুর ডাল)
বাদাম (কাজুবাদাম, পেস্তা, চিনাবাদাম)
বীজ (তিল, সূর্যমুখী বীজ, কুমড়ার বীজ)
৪। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন:
অন্যান্য:
নিয়মিত ব্যায়াম:
পর্যাপ্ত ঘুম:
স্ট্রেস কমান:
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
শিশুর রক্তাল্পতার লক্ষণগুলি হলো ক্লান্তি, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, ঠোঁট ও মুখ ফ্যাকাশে হওয়া।
শিশুর রক্তাল্পতা হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
ডাক্তার রক্ত পরীক্ষা করে রক্তাল্পতার ধরন এবং তীব্রতা নির্ণয় করবেন।
ডাক্তার রক্তাল্পতার কারণ অনুসারে চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন।
সতর্কতা:
শিশুকে ঔষধ দেওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
শিশুকে খাবার খাওয়ানোর সময় তাকে টিভি বা মোবাইল ফোন দেখানো এড়িয়ে চলুন।
শিশুকে নিয়মিত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
মন্তব্যঃ
পরিশেষে বলতে চাই আপনারা নিশ্চয়ই আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং জানতে পেরেছেন। রক্তশূন্যতা কেন হয় ও রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আশা করি উপকৃত হয়েছেন।
আমার আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন আশা করি তারা উপকৃত হবে।
ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url