রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয় যা আমরা অনেকেই জানিনা
প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয় যা আমরা অনেকেই জানিনা। হ্যাঁ, বন্ধুরা আমি আপনাদেরকে আমার এই আর্টিকেলটিতে একেবারে সঠিক তথ্যটি দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
আপনারা যদি মনোযোগ দিয়ে আমার এই আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয় যা আমরা অনেকেই জানিনা আসুন জানার জন্য পড়তে থাকি, জানতে থাকি।
ভূমিকাঃ
রক্তে হিমোগ্লোবিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের রক্তে যদি হিমোগ্লোবিনের অভাব হয় তাহলে আমরা বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে থাকি। বিশেষ করে আমাদের শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয় আর যখন আমাদের শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতে দেখা দেয়।
তখন আমাদের শরীর সঠিক হবে কাজ করতে পারে না যার ফলে আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পরি। রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে, এছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চললে আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিন কখনোই কমবে না।
তবে যখন আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যায় তখন আমরা অনেকে জানিনা কি কারনে হিমোগ্লোবিন কমে গেছে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদেরকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।আসুন আমরা জেনে নিই রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয় যা আমরা অনেকে জানিনা সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয় যা আমরা অনেকেই জানিনাঃ
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে আমরা সাধারণত রক্তশূন্যতাকে বুঝি। রক্তে যখন হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাবে তখন আমাদের শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হবে। আর এই অক্সিজেন আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের জন্য অপরিহার্য । এই হিমোগ্লোবিনের ঘাটতির কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয় যা আমরা অনেকেই জানিনা। আসুন সে সম্পর্কে জানার জন্য নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
মস্তিষ্কের ক্ষতি: দীর্ঘমেয়াদী রক্তশূন্যতা মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে স্মৃতিশক্তি হ্রাস, মনোযোগের অভাব, এবং শেখা ক্ষমতা দুর্বল করতে পারে।
হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি: হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি হৃৎপিণ্ডকে আরও বেশি কাজ করতে বাধ্য করে, যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা: রক্তশূন্যতা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করতে পারে।
বৃদ্ধির সমস্যা: শিশুদের মধ্যে রক্তশূন্যতা বৃদ্ধি এবং বিকাশের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় জটিলতা: গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে রক্তশূন্যতা শিশুর জন্মগত ত্রুটি এবং অকাল জন্মের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
উল্লেখ্য যে, এগুলি হিমোগ্লোবিনের ঘাটতির সাথে সম্পর্কিত কিছু অজানা সমস্যা।
আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম আছে কিনা তা জানার জন্য নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ। যদি রক্তশূন্যতা ধরা পড়ে, তবে চিকিৎসা সাধারণত লোহার পরিপূরক, ভিটামিন এবং খাদ্য পরিবর্তনের মাধ্যমে করা হয়।
কিছু টিপস যা আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে:
লোহাসমৃদ্ধ খাবার খান: লাল মাংস, মাছ, ডিম, শুকনো ফল, শাকসবজি এবং লোহা দিয়ে সমৃদ্ধ খাবার খান।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান: ভিটামিন সি লোহার শোষণে সাহায্য করে। কমলালেবু, আঙ্গুর, স্ট্রবেরি এবং ব্রকলির মতো খাবার ভিটামিন সি-এর ভাল উৎস।
ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন: এই পানীয়গুলি লোহার শোষণে বাধা দিতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম আপনার শরীরে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা উন্নত করতে পারে।
কি খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়েঃ
আমরা অনেকেই জানিনা কি খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ে। তবে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এরকম বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে। আসুন আমরা জানি কোন ধরনের খাবার খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
লোহাসমৃদ্ধ খাবার:
লাল মাংস:গরুর মাংস, খাসি, ভেড়ার মাংস এবং শুয়োরের মাংস লোহার চমৎকার উৎস।
মাছ:বিশেষ করে চর্বিযুক্ত মাছ, যেমন স্যামন, টুনা এবং ম্যাকারেল, লোহার ভাল উৎস।
ডিম: ডিমের কুসুম লোহার একটি ভাল উৎস, এবং এতে প্রোটিন এবং ভিটামিন বি ১২ থাকে, যা হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে।
শুকনো ফল:খেজুর, কিশমিশ এবং বাদাম লোহার ভাল উৎস।
শাকসবজি:পালং শাক, মেথি শাক এবং শাকসবজি লোহার ভাল উৎস।
লোহা দিয়ে সমৃদ্ধ খাবার: বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের লোহা দিয়ে সমৃদ্ধ খাবার পাওয়া যায়, যেমন সিরিয়াল, ওটমিল এবং পাউরুটি।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার:
ভিটামিন সি লোহার শোষণে সাহায্য করে।কমলালেবু, আঙ্গুর, স্ট্রবেরি এবং ব্রকলির মতো খাবার ভিটামিন সি-এর ভাল উৎস।
অন্যান্য টিপস:
ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন: এই পানীয়গুলি লোহার শোষণে বাধা দিতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম আপনার শরীরে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা উন্নত করতে পারে।
আপনার যদি রক্তশূন্যতা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
এই খাবারগুলি আপনার খাদ্যে অন্তর্ভুক্ত করলে আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে এবং রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়ঃ
আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রার উপর নির্ভর করবে আপনি রক্ত দিতে পারবেন কিনা। আপনি যদি রক্ত দিতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু অনুমোদিতমানদন্ড পালন করতে হবে। আসুন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
সাধারণ নির্দেশিকা:
- পুরুষদের জন্য: হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১৩.৫ গ্রাম/ডিএল (প্রতি ডেসিলিটারে ১৩.৫ গ্রাম) বা তার বেশি হতে হবে।
- মহিলাদের জন্য: হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১২ গ্রাম/ডিএল (প্রতি ডেসিলিটারে ১২ গ্রাম) বা তার বেশি হতে হবে।
- ওজন: আপনার ওজন কমপক্ষে ৫০ কেজি (১১০ পাউন্ড) হতে হবে।
- বয়স: আপনার বয়স ১৭ বছর (কিছু ক্ষেত্রে ১৮ বছর) থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- স্বাস্থ্য: আপনার ভালো স্বাস্থ্য থাকতে হবে এবং কোন গুরুতর অসুস্থতা বা সংক্রমণ থাকতে পারবে না।
- ঔষধ: আপনি যে ঔষধগুলি গ্রহণ করেন সেগুলি রক্ত দানের জন্য উপযুক্ত কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
কিছু ব্যতিক্রম:
- উচ্চতা: যদি আপনার উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির কম হয়, তাহলে আপনার জন্য হিমোগ্লোবিনের মাত্রার কম মান নির্ধারণ করা যেতে পারে।
- গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলা: গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলারা রক্ত দিতে পারেন না।
- সাম্প্রতিক অস্ত্রোপচার বা ট্যাটু: সাম্প্রতিক অস্ত্রোপচার বা ট্যাটু করার পরে আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে রক্ত দান করার জন্য।
- আপনার রক্ত দানের যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে, আপনার স্থানীয় রক্ত কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। তারা আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং আপনার যোগ্যতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারবে।
হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক কতঃ
হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক কত এটি নির্ভর করে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা বয়স, লিঙ্গ এবং অন্যান্য কারণগুলির ওপর। আমরা জানবো হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক কত আসুন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
সাধারণ নির্দেশিকা:
- পুরুষদের জন্য: হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১৩.৫ গ্রাম/ডিএল (প্রতি ডেসিলিটারে ১৩.৫ গ্রাম) বা তার বেশি হতে হবে।
- মহিলাদের জন্য: হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১২ গ্রাম/ডিএল (প্রতি ডেসিলিটারে ১২ গ্রাম) বা তার বেশি হতে হবে।
- উচ্চতা: যদি আপনার উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির কম হয়, তাহলে আপনার জন্য হিমোগ্লোবিনের মাত্রার কম মান নির্ধারণ করা যেতে পারে।
- গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলা: গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলাদের জন্য হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা সাধারণত কম থাকে।
- বয়স: শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের জন্য হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় আলাদা।
- ধূমপান: ধূমপানকারীদের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সামান্য বেশি হতে পারে।
- ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়ামকারীদের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সামান্য বেশি হতে পারে।
আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক কিনা তা নির্ধারণ করার সর্বোত্তম উপায় হল একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা। তারা আপনার রক্ত পরীক্ষা করতে পারবেন এবং আপনার জন্য ব্যক্তিগতকৃত পরামর্শ দিতে পারবেন।
কিছু টিপস যা আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে:
- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান: লাল মাংস, শাকসবজি, ডাল, বাদাম এবং শুকনো ফল আয়রনের ভাল উৎস।
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান: ভিটামিন সি শরীরে আয়রন শোষণে সহায়তা করে। কমলালেবু, আঙ্গুর, স্ট্রবেরি এবং ব্রকলি ভিটামিন সির ভাল উৎস।
- ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার খান: ফোলেট হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়তা করে। শাকসবজি, ডাল, ডিম এবং শক্তিশালী খাবার ফোলেটের ভাল উৎস।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম আপনার শরীরে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা উন্নত করতে পারে, যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন: পানিশূন্যতা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়ঃ
গর্ভাবস্থায় রক্তদান করা সাধারণত কোন ডাক্তারি সুপারিশ করে না। কারণ গর্ভাবস্থায় রক্ত দিলে মা ও শিশু দুজনেরই স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। এ সময় তাদের রক্তের স্বল্পতার প্রবণতা থাকে আসুন আমরা জেনে নেই গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কারণ:
রক্তের পরিমাণ কমে যাওয়া: গর্ভাবস্থায়, একজন মহিলার রক্তের পরিমাণ প্রায় 50% বৃদ্ধি পায়। রক্ত দান করলে এই বাড়তি রক্তের পরিমাণ আরও কমে যেতে পারে, যার ফলে রক্তশূন্যতা, মাথা ঘোরা এবং এমনকি অজ্ঞান হয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে।
লোহার ঘাটতি: গর্ভবতী মহিলাদের লোহার ঘাটতির ঝুঁকি বেশি থাকে, কারণ তারা শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য লোহার সরবরাহ করে। রক্ত দান করলে এই ঘাটতি আরও তীব্র হতে পারে।
শিশুর উপর প্রভাব: রক্ত দান করলে গর্ভের শিশুর কাছে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ কমে যেতে পারে।
যদিও কিছু বিরল ক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলাদের রক্ত দান করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে, তবে এটি শুধুমাত্র একজন ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে এবং কঠোর নির্দেশিকা মেনে চলার পরেই সম্ভব।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় কম থাকে।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক পরিসর:
- প্রথম ত্রৈমাসিক: ১১.০ - ১৪.০ গ্রাম/ডিএল
- দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক: ১০.৫ - ১৩.৫ গ্রাম/ডিএল
- তৃতীয় ত্রৈমাসিক: ১১.০ - ১৫.০ গ্রাম/ডিএল
আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা আপনার জন্য স্বাভাবিক কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি গর্ভবতী হন এবং রক্ত দান করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। তারা আপনার জন্য ঝুঁকি ও সুবিধাগুলি মূল্যায়ন করতে পারবেন এবং আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারবেন।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করার জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:
- লোহাসমৃদ্ধ খাবার খান: লাল মাংস, শাকসবজি, ডাল, বাদাম এবং শুকনো ফল।
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান: ভিটামিন সি শরীরে লোহার শোষণে সহায়তা করে।
- ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার খান: শাকসবজি, ডাল, ডিম এবং শক্তিশালী খাবার।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
- আপনার ডাক্তারের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার কারণঃ
শারীরিক যে কোন সমস্যার কারণে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। তবে হিমোগ্লোবিন কমার পিছনে বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকতে পারে আসুন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
প্রধান কারণগুলো হল:
- লোহার ঘাটতি: লোহা হলো হিমোগ্লোবিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। শরীরে লোহার অভাব হলে হিমোগ্লোবিন তৈরি হতে পারে না।
- পর্যাপ্ত লোহাযুক্ত খাবার না খাওয়া: যেমন, লাল মাংস, শাকসবজি, ডাল, বাদাম।
- রক্তক্ষরণ: মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, পেটের ঘা, বা অন্যান্য অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ।
- লোহা শোষণে সমস্যা: ক্রোন'স ডিজিজ, সিলিয়াক রোগের মতো কিছু রোগের কারণে লোহা শোষণে সমস্যা হতে পারে।
- ভিটামিনের ঘাটতি: ভিটামিন বি১২ এবং ফলিক অ্যাসিড লাল রক্তকণিকা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি: মাংস, মাছ, ডিম এবং দুগ্ধজাত খাবারের অভাবের কারণে হতে পারে।
- ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি: সবুজ শাকসবজি, শিম, বাদাম এবং ডিমের অভাবের কারণে হতে পারে।
অস্থিমজ্জার রোগ:
- লিউকেমিয়া: এটি একধরণের ক্যান্সার যা অস্থিমজ্জায় লাল রক্তকণিকা তৈরির প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।
- অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া: এটি একটি অবস্থা যেখানে অস্থিমজ্জা পর্যাপ্ত রক্তকণিকা তৈরি করে না।
- থ্যালাসেমিয়া: এটি একটি জিনগত রোগ যা হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিক উৎপাদনের কারণ হয়।
অন্যান্য কারণ:
- গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থায়, শরীরের লোহার চাহিদা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যেতে পারে।
- অ্যাকিউট রক্তক্ষরণ: দুর্ঘটনা বা অস্ত্রোপচারের ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা দ্রুত কমে যেতে পারে।
- দীর্ঘস্থায়ী রোগ: কিডনি রোগ, গর্ভাশয়ের ফাইব্রয়েড, ক্যান্সারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।
আপনার হিমোগ্লোবিন কম কিনা তা জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। তাহলে বুঝতে পারবেন রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেছে কিনা।
মন্তব্যঃ
পরিশেষে বলতে পারি আপনারা আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং পড়ার পড়ে জানতে পেরেছেন। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয় যা আমরা অনেকেই জানিনা, আশা করি এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন।
তাই আমার আর্টিকেলটি পড়ার পরে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারা উপকৃত হবে।
ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url