প্রচন্ড গরমে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় ও সুস্থ থাকার ১১টি উপায়

প্রিয় পাঠক আপনার অনেকে জানতে চেয়েছেন প্রচণ্ড গরমে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় ও সুস্থ থাকার ১১টি উপায়।এ সম্পর্কে আমি আমার এই আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্যটি তুলে ধরেছি। আপনারা যদি আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন।

প্রচন্ড গরমে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় ও সুস্থ থাকার ১১টি উপায়

তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন প্রচন্ড গরমে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় ও সুস্থ থাকার১১টি উপায় আসুন দেরি না করে পড়তে থাকি জানতে থাকে এবং উপকৃত হই।

ভূমিকাঃ

আমাদের দেশে গরম খুবই বেশি আর এই গরমে আমরা অনেকেই অসুস্থ হয়ে যায়। তাই আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো প্রচন্ড গরমে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় ও সুস্থ থাকার উপায় ১১ টি উপায়। সুস্থ থাকার জন্য আমাদেরকে নিয়ম মেনে চলতে হবে।

এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে শাকসবজি খেতে হবে। কারণ গরমের সময় আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকি আরে ব্যস্ত থাকার কারণে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ঘামের সাথে ঝরে যায়।

যার ফলে ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি হয় আর এর ফলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। তাই আমাদেরকে সুস্থ থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের পন্থা অবলম্বন করতে হয়। আসুন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

প্রচণ্ড গরমে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় ও সুস্থ থাকার ১১টি উপায়ঃ

প্রচন্ড গরমে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায়। আসলে সুস্থ থাকার জন্য আমরা অনেক কিছুই করে থাকি তারপরেও আমরা অসুস্থ হয়ে যাই। বিশেষ করে এই গরমে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য কি করব সে নিয়ে অনেক চিন্তিত হয়ে পড়েছি।

এছাড়া সুস্থ থাকবো কিভাবে এটাও একটি চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে। আসুন আমরা জেনে নেই প্রচন্ড গরমে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় ও সুস্থ থাকার ১১ টি উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

প্রচণ্ড গরমে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায়ঃ

প্রচণ্ড গরমে নিজেকে সুস্থ রাখা জরুরি। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:

পানিশূন্যতা রোধ:

প্রচুর পানি পান করুন: তৃষ্ণা না পেলেও নিয়মিত পানি পান করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ২.৫ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত।

শরবত, লেবুপানি, ফলের রস, ORS: পানি ছাড়াও শরবত, লেবুপানি, ফলের রস, ORS পান করতে পারেন।

পানিশূন্যতার লক্ষণ: তৃষ্ণার্ত হওয়া, প্রস্রাব কম হওয়া, মুখ শুকনো থাকা, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা বোধ করা ইত্যাদি।

রোদে বের হওয়া:

বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত: যতটা সম্ভব বাইরে বের না হওয়াই ভালো। এই সময় রোদের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি থাকে।

বাইরে বের হলে: ছাতা, টুপি, সানগ্লাস ব্যবহার করুন।

পোশাক: হালকা, ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরুন। আঁটসাঁট বা সিনথেটিক পোশাক এড়িয়ে চলুন।

জুতা: পা ঢাকা জুতা পরুন।

খাবার:

হালকা খাবার: ভারী ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

ফল ও শাকসবজি: প্রচুর ফল ও শাকসবজি খান।

পানীয়: ঠান্ডা পানীয়, কফি, চা এড়িয়ে চলুন।

অন্যান্য:

ঘর ঠান্ডা রাখুন: ঘরের দরজা-জানালা খোলা রাখুন। পাখা, এসি ব্যবহার করুন।

গোসল: দিনে একাধিকবার গোসল করতে পারেন।

বিশ্রাম: পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।

সতর্কতা: শরীরে অস্বস্তি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

শিশু ও বৃদ্ধদের: শিশু ও বৃদ্ধদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের বাইরে বের হতে দেবেন না।

পেশাগত কারণে রোদে থাকা: যাদের পেশাগত কারণে রোদে থাকতে হয়, তাদের কিছু সময় অন্তর ছায়া বা ঠান্ডায় বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন।

হিটস্ট্রোক: হিটস্ট্রোকের লক্ষণ গুলি হলো: তীব্র মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, চামড়া শুষ্ক ও লাল হয়ে যাওয়া, পালস দ্রুত হওয়া, ইত্যাদি। হিটস্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সুস্থ থাকার ১১টি উপায়ঃ

সুস্থ থাকার জন্য আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। ঠিক সে রকমই ১১টি উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১. নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম শরীরকে সুস্থ রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

২. সুষম খাদ্যাভ্যাস: পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খান। প্রচুর ফল, শাকসবজি ও খাদ্যশস্য খান।

৩. পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান। ঘুম শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং মানসিক চাপ কমায়।

৪. ধূমপান ত্যাগ: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপান ত্যাগ করলে ফুসফুসের ক্যান্সার, হৃদরোগ ও অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমে।

৫. মদ্যপান পরিহার: অতিরিক্ত মদ্যপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মদ্যপান পরিহার করলে লিভারের ক্ষতি, হৃদরোগ ও অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমে।

৬. নিয়মিত হাত ধোয়া: খাবার খাওয়ার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর নিয়মিত হাত ধোয়া জীবাণুনাশক।

৭. স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জীবাণুনাশক এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

৮. নিয়মিত চিকিৎসা পরীক্ষা: নিয়মিত চিকিৎসা পরীক্ষা করালে রোগের প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়ে এবং দ্রুত চিকিৎসা করা সম্ভব।

৯. মানসিক চাপ কমানো: মানসিক চাপ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যোগব্যায়াম, ধ্যান, গান শোনা ইত্যাদির মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো সম্ভব।

১০. পর্যাপ্ত পানি পান: প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং ত্বকের জন্যও ভালো।

১১. সচেতন থাকা: স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন থাকুন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

এই ১১ টি উপায় অনুসরণ করলে আপনি সুস্থ ও কর্মঠ জীবনযাপন করতে পারবেন।

গরমে কি কি খেলে শরীরের জন্য উপকারঃ

গরমে কি কি খেলে শরীরের জন্য উপকার হয়। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য এই গরমে আমাদেরকে তরল যদিও খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। গরমের সময়, আমাদের এমন খাবার খাওয়া উচিত যা আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড এবং ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

এখানে কিছু খাবার রয়েছে যা গরমের সময় আপনার শরীরের জন্য উপকারী:
ফল:
এই গরমে আপনার শরীরকে যদি সুস্থ রাখতে চান তাহলে বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে পারেন।এখন কথা হল কোন কোন ফল খেলে আপনি এই গরমে সুস্থ থাকবেন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
তরমুজঃ
তরমুজ গরমের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল কারণ তরমুজে রয়েছে (৯২% পানি)। যা আমাদের শরীরে পানির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এই প্রচন্ড গরমের সময় আমরা নিয়মিত তরমুজ খেতে পারি তাহলে আমাদের শরীরের পানির অভাব পূরণ হবে এবং পানি শূন্যতা দূর হবে।
শসাঃ
এই গরমে শরীরে পানি চাহিদা পূরণের জন্য আরেকটি উপকারী ফল হল শসা। আমরা যদি এই গরমের মধ্যে নিয়মিত শসা খায় তাহলে আমাদের শরীরের পানির চাহিদা পূরণ হবে। কারণ শসাতে রয়েছে ৯৬% পানি।
পেঁপেঃ
পেঁপে একটি পুষ্টিকর ফল আমরা যদি নিয়মিত পেঁপে খায়। তাহলে এই গরমে পেঁপে আমাদের পেট ঠান্ডা রাখে এবং শরীরকে সতেজ করে। পেঁপেতে রয়েছে ৮৭% পানি যা আমাদের শরীরের পানি চাহিদা পূরণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আঙ্গুরঃ
আঙ্গুর একটি সুস্বাদু ফল এ ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এছাড়া আঙ্গুর ফলে রয়েছে ৮১% পানি যা আমাদের শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই এই গরমের সময় আমাদের আঙ্গুর খেতে হবে।
কমলালেবুঃ
কমলালেবু তো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আমরা ছোট বড় সকলেই কমলালেবু খেতে ভালোবাসি।এছাড়া কমলা লেবুতে রয়েছে ৮৭% পানি যা আমাদের শরীরে পানি চাহিদা পূরণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শাকসবজি:
শরীরকে সুস্থ ও ভালো রাখার জন্য শাক সবজি খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। আমাদের প্রতিদিনই কিছু না কিছু শাক-সবজি খেতে হবে তবেই আমরা সুস্থ ও ভালো থাকতে পারবো। আসুন কোন কোন ধরনের শাকসবজি খেলে আমরা সুস্থ থাকবো সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
লাউঃ
লাউ একটি পুষ্টিকর সবজি লাউ এ রয়েছে ৯৬% পানি। লাউ আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং আমাদের শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এই গরমের সময় আমাদেরকে নিয়মিত লাউ খেতে হবে।

এছাড়া আমরা শাক সবজির মধ্যে পালং শাক খেতে পারি কারণ পালং শাকে রয়েছে ৯৩% পানি। এছাড়াও রয়েছে টমেটো এই টমেটোতে রয়েছে ৯৫% পানি। এরকম আরো কিছু সবজি রয়েছে যেগুলো আমাদের এই গরমে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেমন ঝিঙ্গে, ব্রকলি ইত্যাদি।
পানীয়:
পানি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই গরমে সুস্থ থাকার জন্য আমাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে । সেই সাথে আমরা লেবু পানি খেতে পারি, ডাবের পানি খেতে পারি। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের শরবত করেও খেতে পারি। আমরা যদি এই গরমে এই পানি জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে পারি তবে আমরা সুস্থ থাকব ও ভালো থাকবো।

গরমের সময় এড়িয়ে চলার খাবার:

ভাজা খাবার।

তৈলাক্ত খাবার।

মসলাযুক্ত খাবর।

চিনিযুক্ত পানীয়।

ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়।

অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়।

এই খাবারগুলি আপনাকে গরমের সময় হাইড্রেটেড এবং ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে। গরমের সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাও গুরুত্বপূর্ণ।

এই গরমে সুস্থ থাকার জন্য কি খাবেন আর কি খাবেন নাঃ

এই গরমে সুস্থ থাকার জন্য কি খাবেন আর কি খাবেন না এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকে সঠিক ভাবে জানি না। আসুন আমরা জেনে নেই এই গরমে সুস্থ থাকার জন্য কি খাওয়া যাবে আর কি খাওয়া যাবে না সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
খাবার:
পানিশূন্যতা রোধে:

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন (দিনে ৩-৪ লিটার)।

লেবুপানি, ORS, শরবত, ডাবের পানি পান করুন।

পানিশূন্যতার লক্ষণ (তৃষ্ণার্ত হওয়া, প্রস্রাব কম হওয়া, মুখ শুকনো থাকা, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা বোধ করা) দেখা দিলে দ্রুত পানিশূন্যতা দূর করার ব্যবস্থা নিন।

ফল ও শাকসবজি:

পানিশূন্যতা রোধে ও পুষ্টির জন্য প্রচুর ফল ও শাকসবজি খান।

লাউ, পটল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি।

কাঁচা আম পানিশূন্যতা দূর করার জন্য খুবই ভালো।

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী।

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর।

হালকা খাবার:

ভারী ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

সকালের নাশতায় রুটি, পরোটা না খেয়ে দই–চিড়া খেতে পারেন।

দুপুরে ভাত, মাছ, সবজি, ডাল, সালাদ খেতে পারেন। সালাদ হিসেবে শসা রাখতে ভুলবেন না। কারণ, শসায় প্রচুর পানি থাকে।

বিকেলের নাশতায় ফল, লাচ্ছি বা দই খেতে পারেন।

রাতের খাবার যতটা সম্ভব হালকা করতে পারলে ভালো। সবজি ও চিকেন দিয়ে স্যুপ খেতে পারেন; সঙ্গে সালাদ বা রায়তা খেলেন।

রাতে যত ভারী খাবার খাবেন, এই গরমে তত ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে।

পানীয়:

ঠান্ডা পানীয়:

ঠান্ডা পানি, লেবুপানি, ORS, শরবত, ডাবের পানি পান করুন।

কফি, চা:

ঠান্ডা কফি, চা পান করা যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত পান করা উচিত নয়।

অন্যান্য:

ফলের রস, আখের রস, বেলের শরবত পান করা যেতে পারে।

খাবার ও পানীয় যা এড়িয়ে চলবেন:

গরম পানীয়:

গরম পানি, চা, কফি এড়িয়ে চলুন।

ভারী খাবার:

ভারী ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

মসলাযুক্ত খাবার:

অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

চিনিযুক্ত পানীয়:

অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।

অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়:

অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।

সকালে খালি পেটে কি খেলে শরীর ভালো থাকেঃ

সকালে খালি পেটে কি খেলে শরীর ভালো থাকে এ সম্পর্কে যদি আমাদের জানা থাকে তাহলে আমরা অনেক উপকৃত হব। তবে কিছু উপকারী খাবার রয়েছে যেগুলো সকালে খালি পেটে খেলে আমাদের শরীর ভালো থাকবে ও আমরা সুস্থ থাকবো । আসুন জেনে নেই সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

কিছু উপকারী খাবার:

পানি: ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করলে শরীরের বিপাক ক্রিয়া ঠিক থাকে।

লেবু পানি: পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে শরীরের পানিশূন্যতা দূর হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

আমলকি: আমলকির রস খেলে হজম ভালো হয়, চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ে এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়।

পেঁপে: পেঁপে খেলে পেট পরিষ্কার হয় এবং অন্ত্রের নড়াচড়া বাড়ে।

ইসবগুল: ইসবগুল ভিজিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং হজম ভালো হয়।

চিরতা: চিরতা পানি খেলে শরীরের টক্সিন বের হয় এবং রক্ত পরিশুদ্ধ হয়।

বাদাম: বাদাম খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়।

খেজুর: খেজুর খেলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

মধু: মধু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং হজম ভালো হয়।

কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন:

ভারী খাবার: সকালে ভারী খাবার খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে।

মসলাযুক্ত খাবার: সকালে মসলাযুক্ত খাবার খেলে পেট খারাপ হতে পারে।

চিনিযুক্ত খাবার: সকালে চিনিযুক্ত খাবার খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।

ঠান্ডা পানীয়: সকালে ঠান্ডা পানীয় পান করলে হজমে সমস্যা হতে পারে।

খাবার খাওয়ার সময়:

খাবার ভালো করে চিবিয়ে খান।

একবারে অনেক খাবার খাবেন না।

নিয়মিত সময়ে খাবার খান।

খাওয়ার পরপর ঘুমাতে যাবেন না।

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার খাবারঃ

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। তবে কোন কোন খাবার খেলে আমাদের শরীর ঠান্ডা থাকবে সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকে জানিনা। আসুন আমরা জেনে নি গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার খাবার সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ফল:

তরমুজ: তরমুজ ৯২% পানি দিয়ে তৈরি, যা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

লেবু: লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং পানিশূন্যতা রোধে সাহায্য করে।

কলা: কলায় পটাশিয়াম থাকে যা পানিশূন্যতা রোধে সাহায্য করে।

আপেল: আপেলে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং ফাইবার থাকে যা শরীর ঠান্ডা রাখতে এবং হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

শাকসবজি:

শসা: শসা ৯৫% পানি দিয়ে তৈরি, যা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

পালং শাক: পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা রক্তাল্পতা রোধে সাহায্য করে।

লাউ: লাউতে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং ফাইবার থাকে যা শরীর ঠান্ডা রাখতে এবং হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

পানীয়:

পানি: প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

লেবু পানি: লেবু পানিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং পানিশূন্যতা রোধে সাহায্য করে।

ডাবের পানি: ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে ইলেক্ট্রোলাইট থাকে যা পানিশূন্যতা রোধে সাহায্য করে।

শরবত: বিভিন্ন ফলের শরবত তৈরি করে পান করা যেতে পারে।

অন্যান্য:

দই: দইতে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

ইসবগুল: ইসবগুল পানিতে ভিজিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

খেজুর: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকাঃ

সুস্থ থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার আমাদেরকে খেতে হয়। কোন খাবার কোন সময় খেলে আমরা সুস্থ থাকব তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আসুন সুস্থ থাকার জন্য কোন সময় কোন খাবার খেলে আমরা সুস্থ থাকবো। সে সকল খাবারের তালিকা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

সকালের নাস্তা:

ওটমিল: ওটমিল ফাইবার সমৃদ্ধ এবং এটি আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করে। এটি ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

ডিম: ডিম প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস এবং এগুলি ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। এগুলি আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করে এবং এগুলি বিভিন্ন উপায়ে রান্না করা যেতে পারে।

দই: দই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ, যা আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এটি প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামেরও একটি ভাল উৎস।

ফল: ফল ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের একটি ভাল উৎস। এগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা আপনার কোষগুলিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

দুপুরের খাবার:

স্যুপ: স্যুপ ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের একটি ভাল উৎস। এটি একটি হালকা খাবার যা হজম করা সহজ।

সালাদ: সালাদ ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের একটি ভাল উৎস। এটি একটি স্বাস্থ্যকর খাবার যা পূর্ণ বোধ করতে সহায়তা করে।

স্যান্ডউইচ: স্যান্ডউইচ প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারের একটি ভাল উৎস। এটি একটি সুবিধাজনক খাবার যা যে কোনও জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

মসুর ডাল: মসুর ডাল প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রনের একটি ভাল উৎস। এটি একটি নিরামিষ খাবার যা পূর্ণ বোধ করতে সহায়তা করে।

রাতের খাবার:

মাছ: মাছ প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ডি-এর একটি ভাল উৎস। এটি একটি স্বাস্থ্যকর খাবার যা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।

চিকেন: চিকেন প্রোটিন, নিয়াসিন এবং ভিটামিন বি 6-এর একটি ভাল উৎস। এটি একটি বহুমুখী খাবার যা বিভিন্ন উপায়ে রান্না করা যেতে পারে।

টোফু: টোফু প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের একটি ভাল উৎস। এটি একটি নিরামিষ খাবার যা পূর্ণ বোধ করতে সহায়তা করে।

সবজি: সবজি ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের একটি ভাল উৎস। এগুলি একটি স্বাস্থ্যকর খাবার যা ক্যালোরিতে কম।

মন্তব্যঃ

পরিশেষে বলতে পারি আপনারা আমার এই আর্টিকেলটি অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং পড়া পড়ে জানতে পেরেছেন। প্রচণ্ড গরমে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় ও সুস্থ থাকার ১১টি উপায় সম্পর্কে এবং আপনারা উপকৃত হয়েছেন।

আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পড়ে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারা উপকৃত হবে।

ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url