বাচ্চাদের পড়াশোনার প্রতি কিভাবে আগ্রহী করে তুলবেন ও লেখাপড়া শেখানোর পদ্ধতি


কিভাবে ইংরেজি শিখবো ও ইংরেজি শেখার সহজ উপায়

প্রিয় পাঠক, আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন বাচ্চাদের পড়াশোনা প্রতি কিভাবে আগ্রহী করে তুলবেন ও লেখাপড়া শেখানোর পদ্ধতি সম্পর্কে। আমি আমার আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে সঠিক তথ্যটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

বাচ্চাদের পড়াশোনার প্রতি কিভাবে আগ্রহী করে তুলবেন ও লেখাপড়া শেখানোর পদ্ধতি

আপনারা যদি মনোযোগ দিয়ে আমার আর্টিকেলটা পড়েন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন। বাচ্চাদের পড়াশোনার প্রতি কিভাবে আগ্রহী করে তুলবেন ও লেখাপড়া শেখানোর পদ্ধতি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ভূমিকাঃ

বর্তমান সময়ে আমরা বাচ্চাদের পড়াশোনা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। বাচ্চারা পড়াশোনা করবে না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাদেরকে পড়াশোনা করাতে হবে বিভিন্ন ধরনের পন্থা অবলম্বন করে। তাই আমাদের বাচ্চাদের পড়াশোনা প্রতি কিভাবে আগ্রহ করে তুলবো ও লেখাপড়া শেখানোর পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের জানা খুবই জরুরী।

বিশেষ করে বাচ্চাদেরকে খেলার মাধ্যমে পড়াশোনা করাতে পারেন। তাদের যে সাবজেক্টে ভালো লাগে সে সাবজেক্টের প্রতি তাদেরকে উৎসাহ দিন। অর্থাৎ বাচ্চাদের ভালো লাগার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে এবং তাকে বোঝাতে হবে তোমার জীবনে পড়াশোনায় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। 

কারণ পড়াশোনা ছাড়া তুমি জীবনে ভালো কিছু করতে পারবা না । এক কথায় উৎসাহ উদ্দীপনা মধ্যম দিয়েই বাচ্চাদের পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। আসুন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

আরো পড়ুনঃ কোন সময় পড়লে পড়া ভালো মনে থাকে

বাচ্চাদের পড়াশোনার প্রতি কিভাবে আগ্রহী করে তুলবেন ও লেখাপড়া শেখানোর পদ্ধতিঃ

বাচ্চাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করে তোলার জন্য ও পড়ালেখা শেখানোর জন্য পড়া মতো পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তাদেরকে সব সময় উৎসাহ দিতে হবে ।এছাড়াও বাচ্চাদের যে জিনিসটি ভালো লাগে সে ভালোলাগা সম্পর্কে তাদেরকে উৎসাহ দিতে হবে।

খেলাধুলার মাধ্যমে তাদের পড়াশোনা করাতে হবে তাহলে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে। আসুন আমরা জেনে নেই বাচ্চাদের পড়াশোনা প্রতি কিভাবে আগ্রহী করে তুলবেন ও লেখাপড়া শেখানোর পদ্ধতি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করুন

শান্ত পরিবেশ: লেখাপড়ার জন্য একটি শান্ত ও সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দিন। টিভি, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য বিভ্রান্তিকর জিনিসপত্র দূরে রাখুন।

পড়ার ঘর: বাচ্চাদের জন্য একটি আলাদা পড়ার ঘর তৈরি করে দিতে পারেন। এতে করে পড়ার পরিবেশ তৈরি হবে।

পড়ার সরঞ্জাম: প্রয়োজনীয় সকল পড়ার সরঞ্জাম যেমন বই, কলম, খাতা ইত্যাদি সহজলভ্য রাখুন।

রোল মডেল: নিজেরাও বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন। বাচ্চারা যখন আপনাকে বই পড়তে দেখবে, তখন তারাও অনুপ্রাণিত হবে।

পড়াশোনায় আগ্রহ তৈরি করুন

খেলার মাধ্যমে শেখান: ছোট বাচ্চাদের খেলার মাধ্যমে অক্ষর, সংখ্যা এবং অন্যান্য বিষয় শেখান।

গল্প ও গান: তাদের পছন্দের গল্প ও গান শোনান।

কৌতূহল জাগান: প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে ও তাদের চিন্তাভাবনা উৎসাহিত করে তাদের কৌতূহল জাগান।

বিভিন্ন বিষয়: তাদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে উৎসাহিত করুন।

বাইরের অভিজ্ঞতা: তাদেরকে বাইরে নিয়ে যান এবং প্রকৃতি সম্পর্কে শেখান।

বাচ্চাকে অনুপ্রেরণা দিন

প্রশংসা করুন: তাদের যখন ভালো কিছু করে, তখন তাদের প্রশংসা করুন।

সাহায্য করুন: প্রয়োজনে তাদের পড়াশোনায় সাহায্য করুন।

উৎসাহিত করুন: তাদের লক্ষ্য অর্জনে উৎসাহিত করুন।

চাপ দেবেন না: তাদের উপর অতিরিক্ত চাপ দেবেন না।

ভুল থেকে শিক্ষা: ভুল করতে দিন এবং ভুল থেকে শিক্ষা নিতে সাহায্য করুন।

লেখাপড়া শেখানোর পদ্ধতি:

ধাপে ধাপে: ছোট ছোট ধাপে শেখান।

মজার উপায়ে: খেলাধুলা ও গানের মাধ্যমে লেখাপড়া শেখান।

ব্যক্তিগত মনোযোগ: প্রতিটি বাচ্চার প্রতি ব্যক্তিগত মনোযোগ দিন।

ধৈর্য ধরুন: ধৈর্য ধরুন এবং তাদের শেখার সময় দিন।

ভিন্ন পদ্ধতি: বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে তাদের শেখান।

প্রযুক্তির ব্যবহার: শিক্ষনীয় অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

নিয়মিত অনুশীলন: নিয়মিত অনুশীলন করার জন্য উৎসাহিত করুন।

ইতিবাচক মনোভাব: পড়াশোনার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করুন।

সৃজনশীলতা: তাদের সৃজনশীল হতে উৎসাহিত করুন।

আত্মবিশ্বাস: তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলুন।

বেশিরভাগ বাচ্চারা কেন পড়াশোনা করতে চায় নাঃ

আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন বেশিরভাগ বাচ্চারা পড়াশোনা করতে চায় না কেন জানেন। পড়াশুনার প্রতি তাদের অনেক অনিহা। বাচ্চারা পড়াশোনা করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখায়। আসুন আমরা জানবো বেশিরভাগ বাচ্চারা কেন পড়াশোনা করতে চায় না সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো। 

কিছু সাধারণ কারণ:

পড়াশোনায় অনিচ্ছা

  • অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়: অনেক সময় শিক্ষার্থীরা মনে করে যে তাদের পড়াশোনা তাদের বাস্তব জীবনের সাথে প্রাসঙ্গিক নয়।
  • কঠিন মনে হয়: কিছু বিষয় তাদের কাছে কঠিন মনে হয় এবং তারা হতাশ হয়ে পড়ে।
  • একঘেয়ে মনে হয়: ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাদান পদ্ধতি একঘেয়ে এবং উদ্বেগজনক মনে হতে পারে।

পরিবেশগত কারণ:

  • অশান্ত পরিবেশ: শব্দ দূষণ, অগোছালো পরিবেশ, এবং অপর্যাপ্ত আলো পড়াশোনার জন্য প্রतिकূল পরিবেশ তৈরি করতে পারে।
  • অপর্যাপ্ত সহায়তা: কিছু শিক্ষার্থীর পর্যাপ্ত শিক্ষকের সহায়তা বা পিতামাতার সমর্থন নাও থাকতে পারে।
  • প্রযুক্তির আকর্ষণ: মোবাইল ফোন, ভিডিও গেম এবং সোশ্যাল মিডিয়া শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বিভ্রান্ত করতে পারে।

ব্যক্তিগত কারণ:

  • আত্মবিশ্বাসের অভাব: কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে না এবং মনে করে যে তারা ভালো করতে পারবে না।
  • শিক্ষণ সংক্রান্ত অসুবিধা: ডিসলেক্সিয়া, অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি) এর মতো শিক্ষণ সংক্রান্ত অসুবিধা শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনা কঠিন করে তুলতে পারে।
  • মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা: উদ্বেগ, বিষণ্ণতা এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা মনোযোগ এবং মনোবলকে প্রভাবিত করতে পারে।

কিছু টিপস যা সাহায্য করতে পারে:

  • শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলুন: তাদের অসুবিধা সম্পর্কে জানুন এবং তাদের পড়াশোনায় আগ্রহী করার জন্য তাদের সাথে কাজ করুন।
  • শিক্ষাকে প্রাসঙ্গিক করুন: বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার সাথে সংযোগ স্থাপন করে শিক্ষাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলুন।
  • শিক্ষাদান পদ্ধতি বৈচিত্র্যময় করুন: বিভিন্ন শেখার ধরণের শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণ করুন।
  • শিক্ষার্থীদেরকে সমর্থন করুন: তাদের শেখার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং উৎসাহ প্রদান করুন।
  • ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করুন: শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শান্ত, ব্যবস্থিত এবং উৎসাহব্যঞ্জক পরিবেশ তৈরি করুন।
  • প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করুন: শিক্ষার্থীদেরকে পড়াশোনার সময় মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের সময় সীমাবদ্ধ করুন।

বাচ্চাদের পড়াশোনায় মনোযোগী করার দোয়াঃ

বাচ্চাদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য আমরা কতই না চেষ্টা চালিয়ে যাই। তারপরেও বাচ্চাদের মনোযোগ হতে দেখিনা তবে বাচ্চাদের পড়াশোনায় মনোযোগী করার দোয়া রয়েছে। আসুন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত দেওয়া হল।

আল্লাহুম্মা ঔজি'ক বি-আ'ওনিকা ওয়া তাওফিকিকা, ওয়া আন তুজ'আল আফক্বি 'আন্দাহু বিনুরিকা, ওয়া আন তুফতাহ' আলাইহি বাব আল-'ইলম ওয়া আল-ফাহম, ওয়া আন তুমী'ইহি আল-হিফ্‌য ওয়া আল-ইত্তিকান, ওয়া আন তুমী'ইহি আল-রুশ্‌দ ওয়া আল-সালামাহ্, ওয়া আন তুক্বি'ইহি আল-সুক্‌স ওয়া আল-তওফীক, ওয়া আন তুজ'আল'আহু আহ্‌বাবাক ওয়া আহ্‌বাাবাক, ওয়া আহ্‌বাাবা মিন কুল্‌লি খাইরিন, ওয়া আন তুব'ই'দাহু 'আন্দাইক, ওয়া আন তুজ'আল'আহু মিন আল-মুত্তাকীন, ওয়া আন তুমী'ইহি মিন আল-মুফলিহীন, ওয়া আন তুজ'আল'আহু মিন আল-সা'ঈদীন।

অর্থ:

হে আল্লাহ! আমি আপনার সাহায্য ও সফলতা চাই। আমি চাই আপনি তার মনে আপনার আলো জ্বালাবেন এবং তাকে জ্ঞান ও বোঝার দরজা খুলে দেবেন। আমি চাই আপনি তাকে মুখস্থ রাখার ক্ষমতা, ধৈর্য, সঠিক পথ ও নিরাপত্তা দান করুন। আমি চাই আপনি তাকে সফলতা ও বিজয় দান করুন। আমি চাই আপনি তাকে আপনার বন্ধু, আপনার প্রিয়জন এবং সকল কল্যাণের বন্ধুদের বন্ধু করে তুলুন। আমি চাই আপনি তাকে ক্ষমা করুন এবং তাকে ভীতু ও সফলদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করুন। আমি চাই আপনি তাকে ধার্মিকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করুন।

এই দোয়ার সাথে সাথে:

  • নিয়মিত নামাজ পড়ান: আপনার সন্তানকে নিয়মিত নামাজ পড়াতে উৎসাহিত করুন।
  • কুরআন শিক্ষা: তাদের কুরআন শিক্ষাদান করুন এবং তাদের নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করতে উৎসাহিত করুন।
  • দুয়া: আপনার সন্তানের জন্য নিয়মিত দুয়া করুন।
  • ভালো আচরণের জন্য পুরষ্কার দিন: যখন আপনার সন্তান ভালো আচরণ করে তখন তাদের পুরষ্কার দিন।
  • সঠিক দিকনির্দেশনা দিন: আপনার সন্তানকে সঠিক ও ন্যায়পরায়ণ পথ দেখান।
  • সময় দিন: আপনার সন্তানের সাথে সময় কাটান এবং তাদের সাথে কথা বলুন।
  • ভালোবাসা ও সমর্থন দেখান: আপনার সন্তানকে ভালোবাসুন এবং তাদের সমর্থন করুন।
  • ধৈর্য ধরুন: আপনার সন্তানকে পরিবর্তন করতে সময় লাগতে পারে। ধৈর্য ধরুন এবং তাদের উপর বিশ্বাস রাখুন।

পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ার কারণঃ


পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়াটা আসলে অনেক কঠিন ব্যাপার। কেন কঠিন ব্যাপারে বললাম জানেন কারণ পড়াশোনা করতে ভালো লাগেনা তাই। সেরকম বেশ কিছু বিষয় রয়েছে কেন পড়াশোনায় অমনোযোগী হয় বাচ্চারা আসুন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ব্যক্তিগত কারণ:

  • আগ্রহের অভাব: যদি পড়াশোনা আপনার আগ্রহের সাথে সম্পর্কিত না মনে হয়, তাহলে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হতে পারে।
  • আত্মবিশ্বাসের অভাব: আপনি যদি মনে করেন যে আপনি ভালো করতে পারবেন না, তাহলে চেষ্টা করার জন্য অনুপ্রাণিত হওয়া কঠিন হতে পারে।
  • শিখন সংক্রান্ত অসুবিধা: ডিসলেক্সিয়া, অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি) এর মতো শিখন সংক্রান্ত অসুবিধা মনোযোগ এবং মনোযোগ ধরে রাখাকে প্রভাবিত করতে পারে।
  • মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা: উদ্বেগ, বিষণ্ণতা এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা মনোযোগ এবং মনোবলকে প্রভাবিত করতে পারে।
  • ঘুমের অভাব: পর্যাপ্ত ঘুম না পাওয়া মনোযোগ, স্মৃতি এবং শেখা ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
  • অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া আপনার শরীর এবং মস্তিষ্ককে সর্বোত্তমভাবে কাজ করতে বাধা দিতে পারে।
  • ব্যায়ামের অভাব: নিয়মিত ব্যায়াম না করা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং মনোযোগকে প্রভাবিত করতে পারে।

পরিবেশগত কারণ:

  • শব্দ দূষণ: অতিরিক্ত শব্দ মনোযোগ ভাঙতে পারে এবং একাগ্রতা বজায় রাখা কঠিন করে তুলতে পারে।
  • অগোছালো পরিবেশ: একটি অগোছালো বা অव्यवस्थিত পরিবেশ মনোযোগ বিভ্রান্ত করতে পারে এবং মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন করে তুলতে পারে।
  • অপর্যাপ্ত আলো: অপর্যাপ্ত আলো চোখের চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন করে তুলতে পারে।
  • প্রযুক্তির ব্যবহার: মোবাইল ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস মনোযোগ বিভ্রান্ত করতে পারে এবং একাগ্রতা বজায় রাখা কঠিন করে তুলতে পারে।
  • অস্বস্তি: অস্বস্তিকর আসন বা তাপমাত্রা মনোযোগ ভাঙতে পারে এবং একাগ্রতা বজায় রাখা কঠিন করে তুলতে পারে।

কিছু টিপস যা সাহায্য করতে পারে:

  • আপনার পড়াশোনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: আপনি কী অর্জন করতে চান তা জানলে আপনাকে অনুপ্রাণিত থাকতে এবং মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
  • একটি শান্ত এবং ব্যবস্থিত অধ্যয়ন পরিবেশ তৈরি করুন: শব্দ দূষণ, অগোছালো এবং বিভ্রান্তিকর জিনিসপত্র দূর করুন।

 বাচ্চাদের পড়াশোনায় মন বসানোর ৫টি উপায়ঃ

বাচ্চারা পড়াশোনা করতে চায় না পড়াশোনা না করার কিছু নেই বেশ কিছু কারণ রয়েছে আমরা এখানে জানবো বাচ্চাদের পড়াশোনায় মন বসানোর ৫টি উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১। পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি:

  • শান্ত পরিবেশ: পড়াশোনার জন্য একটি শান্ত ও খুব সুন্দর পরিবেশ তৈরি করুন। টিভি, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য বিভ্রান্তিকর জিনিসপত্র দূরে রাখুন।
  • আলো: পর্যাপ্ত আলোয় পড়ুন।
  • আসন: আরামদায়ক আসনে বসুন যাতে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে পারেন।
  • তাপমাত্রা: আপনার পছন্দের তাপমাত্রায় রাখুন।

২। লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে

  • স্পষ্ট লক্ষ্য: আপনি কী অর্জন করতে চান তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করুন।
  • ছোট লক্ষ্য: বড় লক্ষ্যকে ছোট ছোট লক্ষ্যে ভাগ করুন।
  • পুরষ্কার: প্রতিটি ছোট লক্ষ্য অর্জনে নিজেকে পুরষ্কার দিন।

৩। সময়সূচী তৈরি:

  • নিয়মিত সময়সূচী: একটি নিয়মিত সময়সূচী তৈরি করুন এবং তা মেনে চলুন।
  • বিরতি: প্রতি ঘন্টায় ৫-১০ মিনিট বিরতি নিন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান।

৪। পড়াশোনার পদ্ধতি:

  • আগ্রহী বিষয়: আপনার আগ্রহের বিষয় দিয়ে শুরু করুন।
  • সক্রিয়ভাবে পড়ুন: কেবল বই পড়বেন না, বরং নোট নিন, মাইন্ড ম্যাপ তৈরি করুন এবং প্রশ্ন করুন।
  • বিভিন্ন পদ্ধতি: বিভিন্ন পড়াশোনার পদ্ধতি ব্যবহার করুন যেমন SQ3R (Survey, Question, Read, Recall, Review)।
  • গ্রুপ স্টাডি: গ্রুপে পড়াশোনা করুন।

৫। মানসিক প্রস্তুতি:

  • ইতিবাচক মনোভাব: ইতিবাচক মনোভাব রাখুন এবং নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন।
  • ধৈর্য ধরুন: মনে রাখবেন, মনোযোগ ধরে রাখা একটি দক্ষতা যা অনুশীলনের মাধ্যমে উন্নত করা যায়।
  • মানসিক চাপ কমান: যোগব্যায়াম, ধ্যান বা অন্যান্য শিথিলকরণ কৌশল অনুশীলন করুন।
  • প্রয়োজনে সাহায্য নিন: যদি আপনার সমস্যা হয় তবে শিক্ষক, অভিভাবক বা মনোবিদের কাছ থেকে সাহায্য নিন।

মন্তব্যঃ

অবশেষে বলতে পারি আপনারা আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং পড়ার পরে জানতে পেরেছেন। বাচ্চাদের পড়াশোনার প্রতি কিভাবে আগ্রহী করে তুলবেন ও লেখাপড়া শেখানোর পদ্ধতি সম্পর্কে। আশা করি উপকৃত হয়েছেন।

তাই আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পড়ে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারা উপকৃত হবে। 

ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url