সঞ্চয় কাকে বলে? সঞ্চয় ও বিনিয়োগের গুরুত্ব

কিভাবে মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করা যায়প্রিয় বন্ধুরা আমি আমার এই আর্টিকেলটিতে সঞ্চয় কাকে বলে? সঞ্চয় ও বিনিয়োগের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। আমরা অনেকেই সঞ্চয় নিয়ে চিন্তিত থাকি কিভাবে সঞ্চয় করব, সঞ্চয় করে আসলেই কোন সুবিধা পাওয়া যাবে এবং সঞ্চয় করলে কি কি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে।

সঞ্চয় কাকে বলে? সঞ্চয় ও বিনিয়োগের গুরুত্ব

এছাড়া সঞ্চয় সম্পর্কে আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে। আপনার যদি মনোযোগ দিয়ে আমার আর্টিকেলটি পড়েন আশা করি সঞ্চয় কাকে বলে? সঞ্চয় ও বিনিয়োগের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ভূমিকাঃ

বর্তমান সময় কে না চায় সঞ্চয় করতে। কারণ সঞ্চয় এমন একটা পন্থা যা আপনাকে ভবিষ্যতে বিভিন্ন ধরনের বিপদ-আপদের হাত থেকে রক্ষা করবে । সঞ্চয় করার জন্য প্রথমে আমাদেরকে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী আমাদেরকে আমাদের আয়ের একটি অংশ জমা করতে হবে।

ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য আপনাকে সঞ্চয় করতে হবে।কারণ সঞ্চয় ছাড়া আপনি ভবিষ্যতে কোন কিছুই করতে পারবেন না। তাই ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য আপনাকে অবশ্যই সঞ্চয় করতে হবে। শুধু সঞ্চয় করলেই হবে না সেইসাথে সঞ্চয় কৃত অর্থ আপনাকে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে হবে।

যা থেকে আপনাকে আরো অর্থ উপার্জন হবে। তাই সঞ্চয় করতে হবে সেই সাথে বিনিয়োগও করতে হবে যা আপনার ভবিষ্যতের জন্য চলার পথ অনেক সহজ হয়ে যাবে । আমরা জানবো সঞ্চয় কাকে বলে? সঞ্চয় ও বিনিয়োগের গুরুত্ব এবং সঞ্চয় করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

সঞ্চয় কাকে বলেঃ

সঞ্চয় বলতে আমরা বুঝি আমরা যা আয় করি তা থেকে কিছু অংশ ভবিষ্যতের জন্য যে অর্থ বা সম্পদ জমা রাখা হয় তাই হচ্ছে সঞ্চয়। সহজ কথা বলা যায় আয়ের একটি অংশ খরচ না করে ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য যা রাখা হয় তাই হচ্ছে সঞ্চয়।

প্রত্যেকে জীবনেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য আমরা আয়ের একটা অংশ জমা করে থাকি। যা আমাদের ভবিষ্যতে কোন অস্বাভাবিক দুর্ঘটনা বা প্রয়োজনে কাজে লাগানোর জন্য যে অর্থ আমরা জমা করি তাই হচ্ছে সঞ্চয়।

সঞ্চয়ের গুরুত্ব

ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি: অপ্রত্যাশিত ঘটনা, জরুরী পরিস্থিতি, অবসরকাল, সন্তানের শিক্ষা, বাড়ি কেনা, গাড়ি কেনা ইত্যাদির জন্য সঞ্চয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আর্থিক স্বাধীনতা: সঞ্চয়ের মাধ্যমে আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব।
মানসিক প্রশান্তি: সঞ্চয়ের মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি লাভ করা সম্ভব।

সঞ্চয়ের উপায়

বাজেট তৈরি: প্রথমে একটি বাজেট তৈরি করে খরচের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা প্রয়োজন।
প্রয়োজন ও অপ্রয়োজনীয় খরচের পার্থক্য বোঝা: প্রয়োজনীয় খরচের বাইরে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে আনা।
নিয়মিত সঞ্চয়: প্রতিদিন, সপ্তাহে, বা মাসে নিয়মিতভাবে অল্প পরিমাণে হলেও সঞ্চয় করা।
সঞ্চয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ: সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে সঞ্চয় করা।
সঠিক সঞ্চয় মাধ্যম নির্বাচন: ব্যাংক হিসাব, ডাকঘর সঞ্চয়, মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ারবাজার ইত্যাদির মধ্যে সঠিক মাধ্যম নির্বাচন করা।

সঞ্চয়ের সুবিধা:

আর্থিক নিরাপত্তা: সঞ্চয়ের মাধ্যমে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
ঋণের উপর নির্ভরতা কমে: সঞ্চয়ের মাধ্যমে ঋণের উপর নির্ভরতা কমে।
জীবনযাত্রার মান উন্নত: সঞ্চয়ের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান উন্নত করা সম্ভব।

সঞ্চয়ের গুরুত্ব কীঃ

বর্তমান সময়ে সঞ্চয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ আমরা যদি সঞ্চয় না করি ভবিষ্যতে আমাদের কোন বিপদ আপদ হলে তা থেকে রক্ষা করা অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে। এরজন্য অবশ্যই আমাদের সঞ্চয় করতে হবে।

সঞ্চয় ছাড়া আমরা কোনভাবেই ভবিষ্যতে কোন বিপদ থেকে রক্ষা হতে পারবো না। তাই সঞ্চয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। নিচে সঞ্চয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ব্যক্তিগত জীবনে:

  • অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য প্রস্তুতি: চাকরি হারানো, অসুস্থতা, দুর্ঘটনা ইত্যাদি অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য সঞ্চয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • আর্থিক স্বাধীনতা: সঞ্চয়ের মাধ্যমে ঋণের উপর নির্ভরতা কমে এবং আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব।
  • মানসিক প্রশান্তি: সঞ্চয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চিন্তা কমে এবং মানসিক প্রশান্তি লাভ করা সম্ভব।
  • দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য পূরণ: বাসা কেনা, গাড়ি কেনা, সন্তানের শিক্ষা, অবসরকালীন পরিকল্পনা ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য পূরণের জন্য সঞ্চয় অপরিহার্য।
সামাজিক দিক থেকে:

  • জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান: সঞ্চয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে সাহায্য করে।
  • সম্পদের সুষ্ঠু বন্টন: সঞ্চয়ের মাধ্যমে সম্পদের সুষ্ঠু বন্টনে সহায়তা করে।
  • দারিদ্র্য দূরীকরণে সহায়তা: সঞ্চয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে সহায়তা করে।
পরিবেশগত দিক থেকে:

  • অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে পরিবেশের উপর চাপ কমায়।
  • সম্পদের টেকসই ব্যবহারে সাহায্য করে।

সঞ্চয় কত প্রকার ও কি কিঃ

সঞ্চয় আমরা কিভাবে করব। সঞ্চয় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ রয়েছে। এর আগে আমাদের জানতে হবে সঞ্চয় কত প্রকার ও কি কি এ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

উদ্দেশ্য অনুযায়ী:

  • প্রয়োজনীয় সঞ্চয়: অপ্রত্যাশিত ঘটনা, জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় এই সঞ্চয় করা হয়।
  • লক্ষ্যমাত্রিক সঞ্চয়: নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য এই সঞ্চয় করা হয়, যেমন - বাড়ি কেনা, গাড়ি কেনা, সন্তানের উচ্চশিক্ষা।
  • অবসরকালীন সঞ্চয়: অবসর জীবনের জন্য এই সঞ্চয় করা হয়।
মেয়াদ অনুযায়ী:
  • স্বল্পমেয়াদী সঞ্চয়: এক বছরের কম সময়ের জন্য এই সঞ্চয় করা হয়।
  • মধ্যমেয়াদী সঞ্চয়: এক থেকে পাঁচ বছরের জন্য এই সঞ্চয় করা হয়।
  • দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয়: পাঁচ বছরের বেশি সময়ের জন্য এই সঞ্চয় করা হয়।
ঝুঁকি অনুযায়ী:
  • ঝুঁকিপূর্ণ সঞ্চয়: এই সঞ্চয়ে ঝুঁকি বেশি থাকে, তবে রিটার্নও বেশি।
  • ঝুঁকিমুক্ত সঞ্চয়: এই সঞ্চয়ে ঝুঁকি কম থাকে, তবে রিটার্নও কম।
মাধ্যম অনুযায়ী:
  • ব্যাংক হিসাব: বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক হিসাবে সঞ্চয় করা যায়।
  • ডাকঘর সঞ্চয়: ডাকঘরের বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পে সঞ্চয় করা যায়।
  • মিউচুয়াল ফান্ড: মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে সঞ্চয় করা যায়।
  • শেয়ারবাজার: শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে সঞ্চয় করা যায়।
  • উল্লেখ্য যে, সঞ্চয়ের উপরোক্ত শ্রেণিবিন্দ্যাস নির্দিষ্ট নয়।
কিছু জনপ্রিয় সঞ্চয় প্রকল্প:
  • জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সঞ্চয়পত্র
  • ব্যাংকের ডিপিএস (ডেপোজিট পেনশন স্কিম)
  • মিউচুয়াল ফান্ড
  • পোস্ট অফিসের সঞ্চয় প্রকল্প
  • জীবন বীমা
সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
  • নিজের আর্থিক অবস্থা ও লক্ষ্য বিবেচনা করে সঞ্চয়ের পরিমাণ ও মাধ্যম নির্বাচন করা।
  • নিয়মিত সঞ্চয় করা।
  • সঞ্চয়ের উপর আয়ের হার সম্পর্কে জ্ঞান রাখা।
  • দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে ঝুঁকির দিক বিবেচনা করা।

সঞ্চয়ের সুবিধা কি কিঃ

সঞ্চয় করে আপনি ব্যক্তিগত জীবন ও ভবিষ্যত জীবনে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। যা আপনাকে ভবিষ্যতে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করবে এই সঞ্চয়। কারণে সঞ্চয় ছাড়া আপনি কোন মতেই সামনের দিকে এগোতে পারবেন না।

জীবন চলার পথে বিপদের শেষ নেই এজন্য সঞ্চয় অবশ্যই করতে হবে। আসুন আমরা জেনে নিয়ে সঞ্চয়ের সুবিধা কি কি এ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ব্যক্তিগত জীবনে সুবিধা

অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য প্রস্তুতি: চাকরি হারানো, অসুস্থতা, দুর্ঘটনা ইত্যাদি অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য সঞ্চয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আর্থিক স্বাধীনতা: সঞ্চয়ের মাধ্যমে ঋণের উপর নির্ভরতা কমে এবং আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব।
মানসিক প্রশান্তি: সঞ্চয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চিন্তা কমে এবং মানসিক প্রশান্তি লাভ করা সম্ভব।
দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য পূরণ: বাসা কেনা, গাড়ি কেনা, সন্তানের শিক্ষা, অবসরকালীন পরিকল্পনা ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য পূরণের জন্য সঞ্চয় অপরিহার্য।

সামাজিক দিক থেকে সুবিধা

জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান: সঞ্চয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে সাহায্য করে।
সম্পদের সুষ্ঠু বন্টন: সঞ্চয়ের মাধ্যমে সম্পদের সুষ্ঠু বন্টনে সহায়তা করে।
দারিদ্র্য দূরীকরণে সহায়তা: সঞ্চয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে সহায়তা করে।

পরিবেশগত দিক থেকে সুবিধা

অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে পরিবেশের উপর চাপ কমায়।
সম্পদের টেকসই ব্যবহারে সাহায্য করে।
উপরোক্ত সুবিধাগুলি ছাড়াও সঞ্চয়ের আরও কিছু সুবিধা রয়েছে:

ভালো জীবনযাপনের মান: সঞ্চয়ের মাধ্যমে ভালো জীবনযাপনের মান নিশ্চিত করা সম্ভব।
সন্তানের ভবিষ্যৎ: সন্তানের উচ্চশিক্ষা, বিয়ে ইত্যাদির জন্য সঞ্চয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অবসর জীবন: সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যময় অবসর জীবনের জন্য সঞ্চয় অপরিহার্য।

সঞ্চয় ও বিনিয়োগের গুরুত্বঃ

সঞ্চয় হলো আপনি বর্তমানে যা আয় করেন তা থেকে একটি অংশ ভবিষ্যতের জন্য জমিয়ে রাখাই হচ্ছে সঞ্চয়।

আর বিনিয়োগ হল আপনার সঞ্চিত অর্থ থেকে সেই অর্থ বিভিন্ন খাতে লাগিয়ে লভ্যাংশ পাওয়াই হচ্ছে বিনিয়োগ।সঞ্চয় ও বিনিয়োগ আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আসুন আমরা জেনে নেই সঞ্চয় ও বিনিয়োগের গুরুত্ব সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হলো।

১। আর্থিক নিরাপত্তা:

সঞ্চয় ও বিনিয়োগ আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করে।
জরুরি অবস্থায়, যেমন চাকরি হারানো, অসুস্থতা, বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়, সঞ্চিত অর্থ আমাদের সাহায্য করে।
বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত লাভ আমাদের দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করে, যেমন অবসর গ্রহণের পরিকল্পনা, সন্তানের শিক্ষা, বা বাসা কেনা।

২। আর্থিক স্বাধীনতা:

সঞ্চয় ও বিনিয়োগ আমাদের আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করে।
যখন আমাদের পর্যাপ্ত সঞ্চয় ও বিনিয়োগ থাকে, তখন আমরা আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী জীবনযাপন করতে পারি।
আমাদের আর্থিকভাবে অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে হয় না।

৩। জীবনযাত্রার মান উন্নত:

সঞ্চয় ও বিনিয়োগ আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করে।
আমরা ভালো শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারি।
আমাদের জীবন আরও সুন্দর ও সুখী হয়ে ওঠে।

৪। দেশের অর্থনীতিতে অবদান:

সঞ্চয় ও বিনিয়োগ দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখে।
যখন মানুষ বেশি বেশি সঞ্চয় ও বিনিয়োগ করে, তখন বাজারে অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটে এবং দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।

সঞ্চয় ও বিনিয়োগের জন্য কিছু টিপস:
  • একটি বাজেট তৈরি করুন এবং তা অনুসরণ করুন।
  • আপনার আয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ নিয়মিত সঞ্চয় করুন।
  • আপনার সঞ্চিত অর্থকে বিভিন্ন বিনিয়োগ বিকল্পে বিনিয়োগ করুন।
  • আপনার বিনিয়োগের উপর নজর রাখুন এবং প্রয়োজনে পরিবর্তন করুন।

সঞ্চয়ের মূলনীতি কিঃ

সঞ্চয় মূলনীতি কি এ সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে আমাদেরকে সঞ্চয় করার জন্য একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। ঠিকমতো সঞ্চয় করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের বিপদ-আপদের জন্য অবশ্যই আমাদেরকে সঞ্চয় করতে হবে। সঞ্চয় না থাকলে আমরা ভবিষ্যতে সবকিছু অন্ধকার দেখব।

তাই ভবিষ্যৎ সুরক্ষা ও বিপদ আপাদের জন্য অবশ্যই আমাদেরকে সঞ্চয়ের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। সঞ্চয়ের মূলনীতি কি এ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১। নিয়মিত সঞ্চয়:

সঞ্চয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি হলো নিয়মিত সঞ্চয় করা।
আয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ নিয়মিত সঞ্চয় করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
এমনকি যদি অল্প পরিমাণ হয়, তবুও নিয়মিত সঞ্চয় করুন।

২। লক্ষ্য নির্ধারণ:

সঞ্চয়ের জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
লক্ষ্য নির্ধারণ করলে সঞ্চয় করতে অনুপ্রেরণা পাবেন।
লক্ষ্য বড় বা ছোট হতে পারে, তবে তা অর্জনযোগ্য হতে হবে।

৩। বাজেট তৈরি:

সঞ্চয়ের জন্য একটি বাজেট তৈরি করুন।
বাজেট তৈরি করলে আয় ও ব্যয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন।
বাজেট তৈরি করার সময় সঞ্চয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট অংশ বরাদ্দ রাখুন।

৪। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা:

সঞ্চয়ের সময় ঝুঁকির দিক বিবেচনা করুন।
বিভিন্ন বিনিয়োগ বিকল্পের ঝুঁকি ও রিটার্ন সম্পর্কে জ্ঞান রাখুন।
আপনার ঝুঁকি সহনশীলতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিনিয়োগ বিকল্প নির্বাচন করুন।

৫। দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি:

সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ।
ধৈর্য ধরুন এবং দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের জন্য সঞ্চয় করুন।
স্বল্পমেয়াদী লাভের জন্য সঞ্চয়ের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হবেন না।

৬। পর্যালোচনা ও পরামর্শ:

নিয়মিত আপনার সঞ্চয় পর্যালোচনা করুন।
প্রয়োজনে আপনার বিনিয়োগ বিকল্প পরিবর্তন করুন।
আর্থিক বিষয়ে জ্ঞান রাখা ব্যক্তিদের পরামর্শ নিন।

মন্তব্যঃ

অবশেষে বলতে পারি আপনারা যদি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন । তাহলে ইতিমধ্যে আপনারা জানতে পেরেছেন সঞ্চয় কাকে বলে? সঞ্চয় ও বিনিয়োগের গুরুত্ব এ ছাড়া সঞ্চয়ের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

তাই আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারা উপকৃত হবে।

ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url