ই-কমার্স ব্যবসার সুবিধা ও অসুবিধা-কিভাবে ই-কমার্স ব্যবসা করা যায়

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা ই-কমার্স ব্যবসা নিয়ে অনেকেই ইন্টারনেটে সার্চ করে ই-কমার্স ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা নেন। তাই আমি আমার এই আর্টিকেলে ই-কমার্স ব্যবসার সুবিধা ও অসুবিধা-কিভাবে ই কমার্স ব্যবসা করা যায় এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

ই-কমার্স ব্যবসার সুবিধা ও অসুবিধা-কিভাবে ই-কমার্স ব্যবসা করা যায়

আপনারা যদি মনোযোগ দিয়ে আমার এই আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে আপনারা জানতে পারবেন। ই-কমার্স ব্যবসার সুবিধা ও অসুবিধা-কিভাবে ই-কমার্স ব্যবসা করা যায় আশা করি উপকৃত হবেন।

ভূমিকাঃ

ই-কমার্স ব্যবসা হল ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেবা ও পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমে যে ব্যবসা করা হয় তাকে ই কমার্স ব্যবসা বলে। বর্তমান সময়ে ই-কমার্স ব্যবসা করে অনেক প্রসারতা লাভ করেছে। এছাড়া ই-কমার্স ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা।

সময় যতই যাচ্ছে ই কমার্স ব্যবস্থা ততই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ই-কমার্স ব্যবসার বেশ কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে এবং কিভাবে ই-কমার্স ব্যবসা করা যায়।

ই-কমার্স ব্যবসা করার জন্য কি কি লাগে সে সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি আমি আমার আর্টিকেলে তুলে ধরেছি। আপনার যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে অবশ্যই ই-কমার্স ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবেন।

ই-কমার্স ব্যবসা কিঃ

ই-কমার্স ব্যবসা হল ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয় বিক্রয় করার ব্যবসাকে ই-কমার্স ব্যবসা বলে। ই-কমার্স ব্যবসা একটি বৃহৎ এবং ক্রমবর্ধমান শিল্প যা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় এবং গ্রাহকদের অন্তর্ভুক্ত করে থাকে।

বর্তমান সময়ে ই-কমার্স ব্যবসা অনেক জনপ্রিয়তা ও প্রসারতা লাভ করেছে। ব্যস্ততার জীবনে একমাত্র ই-কমার্স ব্যবসায় খুব সহজভাবে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে। তাই বর্তমান সময়ে ই কমার্স ব্যবসা অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ব্যবসা।

ই-কমার্স ব্যবসার প্রকারভেদঃ

ই-কমার্স ব্যবসার বেশ কিছু প্রকারভেদ রয়েছে নিজে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

  • বি২বি (ব্যবসা থেকে ব্যবসা): এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে পণ্য বা সেবা বিক্রি করে।
  • বি২সি (ব্যবসা থেকে গ্রাহক): ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের কাছে পণ্য বা সেবা বিক্রি করে।
  • সি২সি (গ্রাহক থেকে গ্রাহক): একজন গ্রাহক অন্য গ্রাহকের কাছে পণ্য বা সেবা বিক্রি করে।

কিভাবে ই-কমার্স ব্যবসা করা যায়ঃ

বর্তমানে এখনো অনেকেই ইন্টারনেট সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত নয় । অনেকেই জানে না যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবসা করা যায়। তবে আপনার যদি ইন্টারনেট সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকে তবে আপনি এই ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে ই-কমার্স ব্যবসা করতে পারবেন।

কিভাবে ই-কমার্স ব্যবসা করা যায় এ সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

আপনার বাজার গবেষণা করুন: আপনার ব্যবসা শুরু করার আগে, আপনার লক্ষ্য বাজার এবং প্রতিযোগিতা সম্পর্কে গবেষণা করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • একটি অনন্য মূল্য প্রস্তাব তৈরি করুন: আপনার ব্যবসাকে প্রতিযোগিতা থেকে আলাদা করার জন্য আপনার একটি অনন্য মূল্য প্রস্তাব (USP) প্রয়োজন।
  • একটি ব্যবহারকারী-বান্ধব ওয়েবসাইট তৈরি করুন: আপনার ওয়েবসাইট আপনার ব্যবসার মুখোমুখি, তাই এটি ব্যবহারকারী-বান্ধব এবং আকর্ষণীয় হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
  • আপনার পণ্য বা সেবার জন্য কার্যকর বিপণন তৈরি করুন: আপনার লক্ষ্য বাজারের কাছে পৌঁছানোর জন্য আপনার একটি কার্যকর বিপণন কৌশল প্রয়োজন।
  • গ্রাহক পরিষেবা প্রদানে মনোযোগ দিন: ভাল গ্রাহক পরিষেবা একটি সফল ই-কমার্স ব্যবসার জন্য অপরিহার্য। আসুন এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানি।
১। ধারণা নির্বাচন

আপনার আগ্রহ, অভিজ্ঞতা এবং বাজারের চাহিদা বিবেচনা করে একটি অনন্য পণ্য বা সেবার ধারণা নির্বাচন করুন।বাজার গবেষণা পরিচালনা করুন এবং আপনার প্রতিযোগীদের চিহ্নিত করুন।আপনার লক্ষ্য বাজার এবং তাদের চাহিদা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি করুন।

২। ব্যবসায়িক পরিকল্পনা

একটি বিশদ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন যা আপনার ব্যবসার লক্ষ্য, বাজার বিশ্লেষণ, বিপণন কৌশল, আর্থিক পূর্বাভাস এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা রূপরেখা প্রদান করে।আপনার ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ, যেমন তহবিল, কর্মী এবং প্রযুক্তি, চিহ্নিত করুন।

৩। আইনি দিক

আপনার ব্যবসার জন্য প্রযোজ্য আইন ও নিয়মাবলী সম্পর্কে জানুন এবং সেগুলি মেনে চলুন।আপনার ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি ও লাইসেন্স সংগ্রহ করুন।একটি ব্যবসায়িক কাঠামো নির্বাচন করুন, যেমন একক মালিকানা, অংশীদারিত্ব বা লিমিটেড কোম্পানি।

৪। ওয়েবসাইট তৈরি

একটি ব্যবহারকারী-বান্ধব এবং আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট তৈরি করুন যা আপনার পণ্য বা সেবা প্রদর্শন করে এবং গ্রাহকদের কেনাকাটা করতে সহায়তা করে।নিরাপদ পেমেন্ট গেটওয়ে এবং সহজ ডেলিভারি বিকল্পগুলি সংহত করুন।

৫। বিপণন এবং প্রচার

আপনার লক্ষ্য বাজারে পৌঁছানোর জন্য একটি কার্যকর বিপণন এবং প্রচার কৌশল তৈরি করুন।সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO), সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং এবং পেইড অ্যাডভার্টাইজিং এর মতো বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করুন।

৬। গ্রাহক পরিষেবা

গ্রাহক পরিষেবা প্রদানের উপর মনোযোগ দিন।দ্রুত এবং কার্যকরভাবে গ্রাহকদের প্রশ্ন এবং অভিযোগগুলি সমাধান করুন।

৭। ডেটা বিশ্লেষণ

আপনার ব্যবসার কর্মক্ষমতা ট্র্যাক করতে এবং উন্নত করতে ডেটা বিশ্লেষণ ব্যবহার করুন।আপনার বিক্রয়, ট্রাফিক, গ্রাহকের আচরণ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মেট্রিক্স বিশ্লেষণ করুন।

৮। ক্রমাগত উন্নয়ন

আপনার ব্যবসার প্রবৃদ্ধি এবং বাজারের পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে আপনার ব্যবসায়িক মডেল এবং কৌশলগুলি ক্রমাগত উন্নত করুন।নতুন পণ্য বা সেবা, বাজার এবং প্রযুক্তিগুলির সাথে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ভয় পাবেন না।

ই-কমার্স ব্যবসার সুবিধা ও অসুবিধাঃ

বর্তমান সময়ে ই কমার্স ব্যবসা অনেক লাভজনক ব্যবসা এবং খুব সহজে গ্রাহকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া যায়। এই ই-কমার্স ব্যবসা করতে গেলে এর জন্য বেশ কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।


ই-কমার্স ব্যবসার সুবিধা

  • কম খরচে ব্যবসা শুরু: ঐতিহ্যবাহী ব্যবসার তুলনায় ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে অনেক কম খরচ হয়।
  • বিশ্বব্যাপী বাজার: ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের গ্রাহকদের কাছে আপনার পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে পারেন।
  • 24/7 কার্যক্রম: একটি ই-কমার্স ব্যবসা সার্বক্ষণিক খোলা থাকে, যা গ্রাহকদের জন্য আরও সুবিধাজনক।
  • ব্যবসার পরিচালনা সহজ: ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করা তুলনামূলকভাবে সহজ, কারণ অনেক কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা যায়।
  • গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ: ই-কমার্স ব্যবসা আপনাকে আপনার গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে এবং তাদের চাহিদা বুঝতে সাহায্য করে।
  • ডেটা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ: ই-কমার্স ব্যবসা আপনাকে আপনার গ্রাহকদের সম্পর্কে ডেটা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করতে দেয়, যা আপনাকে আপনার ব্যবসা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
ই-কমার্স ব্যবসার অসুবিধা
  • প্রতিযোগিতা বেশি: ই-কমার্স বাজারে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, তাই টিকে থাকা এবং সফল হওয়া কঠিন হতে পারে।
  • প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রয়োজন: ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আপনার কিছু প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
  • লজিস্টিক: পণ্য সরবরাহ, ডেলিভারি এবং রিটার্ন ম্যানেজমেন্টের মতো লজিস্টিক জটিল এবং ব্যয়বহুল হতে পারে।
  • গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের অভাব: ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসা করার কারণে গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের অভাব দেখা দিতে পারে।
  • প্রতারণার ঝুঁকি: অনলাইনে প্রতারণার ঝুঁকি থাকে, যেমন ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি এবং ফিশিং।
  • গ্রাহকদের আস্থা অর্জন: নতুন ব্যবসার জন্য গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করা কঠিন হতে পারে।

ই-কমার্স ব্যবসার নিয়মঃ

আপনি যেকোনো ধরনের ব্যবসা করতে চান না কেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু নিয়মকানুন মানতে হবে। কারণ ব্যবসা ক্ষেত্রে যদি আপনি নিয়ম কানুন না মানেন তাহলে আপনি ব্যবসা করতে পারবেন না। ঠিক তেমনি ই কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রেও এর কিছু ও নিয়ম কানুন রয়েছে।

তাই সেই নিয়ম কানুন অনুযায়ী আমাদেরকে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। আসুন জেনে নেই ই-কমার্স ব্যবসা নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।

১। আইনি দিক:

আপনার ব্যবসার জন্য প্রযোজ্য আইন ও নিয়মাবলী সম্পর্কে জানুন এবং সেগুলি মেনে চলুন।আপনার ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি ও লাইসেন্স সংগ্রহ করুন।একটি ব্যবসায়িক কাঠামো নির্বাচন করুন, যেমন একক মালিকানা, অংশীদারিত্ব বা লিমিটেড কোম্পানি।

২। পণ্য বা সেবা:

আপনার লক্ষ্য বাজারের চাহিদা পূরণ করে এমন উচ্চ-মানের পণ্য বা সেবা সরবরাহ করুন।প্রতিযোগিতামূলক দাম নির্ধারণ করুন এবং আকর্ষণীয় পণ্যের বিবরণ এবং ছবি প্রদান করুন।

৩। ওয়েবসাইট:

একটি ব্যবহারকারী-বান্ধব এবং আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট তৈরি করুন যা আপনার পণ্য বা সেবা প্রদর্শন করে এবং গ্রাহকদের কেনাকাটা করতে সহায়তা করে।নিরাপদ পেমেন্ট গেটওয়ে এবং সহজ ডেলিভারি বিকল্পগুলি সংহত করুন।

৪। বিপণন এবং প্রচার:

আপনার লক্ষ্য বাজারে পৌঁছানোর জন্য একটি কার্যকর বিপণন এবং প্রচার কৌশল তৈরি করুন।সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO), সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং এবং পেইড অ্যাডভার্টাইজিং এর মতো বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করুন।

৫। ডেটা বিশ্লেষণ:

আপনার ব্যবসার কর্মক্ষমতা ট্র্যাক করতে এবং উন্নত করতে ডেটা বিশ্লেষণ ব্যবহার করুন।আপনার বিক্রয়, ট্রাফিক, গ্রাহকের আচরণ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মেট্রিক্স বিশ্লেষণ করুন।

৬। লজিস্টিক:

পণ্য সরবরাহ, ডেলিভারি এবং রিটার্ন ম্যানেজমেন্টের জন্য একটি কার্যকর লজিস্টিক ব্যবস্থা তৈরি করুন।নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি অংশীদারদের সাথে অংশীদার হন এবং গ্রাহকদের ট্র্যাকিং তথ্য প্রদান করুন।

৭। আইনি নথি:

ব্যবহারের শর্তাবলী, গোপনীয়তা নীতি এবং রিটার্ন এবং রিফান্ড নীতির মতো আইনি নথি তৈরি করুন।গ্রাহকদের সাথে আপনার লেনদেনের জন্য স্পষ্ট নিয়ম ও শর্তাবলী নির্ধারণ করুন।

৮। নিরাপত্তা:

আপনার ওয়েবসাইট এবং গ্রাহকের তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করুন এবং ডেটা এনক্রিপশন প্রয়োগ করুন।

ই-কমার্স ট্রেড লাইসেন্সঃ

আপনি যে ব্যবসায় করুন না কেন সে ক্ষেত্রে আপনার ট্রেড লাইসেন্স লাগবে। ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আপনি আপনার কোন ব্যবসায়ী পরিচালনা করতে পারবেন না। কারণ ট্রেড লাইসেন্সটি আপনার ব্যবসা ধরনের ওপর হয়ে থাকে যে আপনি কোন ধরনের ব্যবসা করবেন।

সে ধরনের ব্যবসার উপর আপনার ট্রেড লাইসেন্স হয়ে থাকে। তাই ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রেও আপনার ট্রেড লাইসেন্স খুবই জরুরী। এই সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন। ট্রেড লাইসেন্সের ধরন আপনার ব্যবসার ধরন এবং আকারের উপর নির্ভর করবে।

ট্রেড লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

আবেদনপত্র: স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি

টিন সার্টিফিকেটের ফটোকপি

বাসস্থানের প্রমাণপত্র

ব্যবসার ঠিকানার প্রমাণপত্র

ব্যবসার নামের সনদপত্র (যদি থাকে)

ব্যবসার ধরনের বিবরণ

প্রয়োজনীয় ফি

ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া

স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভার ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।

অথবা, স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভার कार्यालयে গিয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে পারেন।

আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে।

আবেদনপত্র পর্যালোচনা করে কর্তৃপক্ষ ট্রেড লাইসেন্স মঞ্জুর করবে।

ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ

ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ সাধারণত এক বছরের জন্য হয়।

প্রতি বছর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে নবায়ন করতে হবে।

ট্রেড লাইসেন্সের সুবিধা

ট্রেড লাইসেন্স থাকলে আপনার ব্যবসার আইনি স্বীকৃতি পাওয়া যায়।

ব্যাংক ঋণ, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খোলা, ইত্যাদি ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হয়।

ট্রেড লাইসেন্স থাকলে গ্রাহকদের কাছে আপনার ব্যবসার বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।

ই-কমার্স ওয়েবসাইটঃ

ই-কমার্স ব্যবসা করতে গেলে আপনার একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হতে পারে। আপনার যদি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার ই-কমার্স ব্যবসা খুব সুন্দর ভাবে পরিচালনা করতে পারবেন।

ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য আপনার লাগবে। আসুন জেনে নেই কিভাবে আপনি ই কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করবেন।

ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য:

১। প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন:

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন।

২। ডোমেন এবং হোস্টিং:

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি ডোমেন নাম এবং হোস্টিং পরিষেবা কিনুন।

ডোমেন নাম হলো আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা (যেমন: www.example.com)।

হোস্টিং হলো আপনার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলি সংরক্ষণ করার জন্য একটি স্থান।

৩। ওয়েবসাইট ডিজাইন:

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি আকর্ষণীয় এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব ডিজাইন তৈরি করুন।

ডিজাইনটি আপনার ব্র্যান্ডিংয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত এবং গ্রাহকদের কেনাকাটা করতে সহায়তা করা উচিত।

৪। পণ্য তালিকা:

আপনার ওয়েবসাইটে আপনার বিক্রি করতে চাওয়া পণ্যগুলি তালিকাভুক্ত করুন।

প্রতিটি পণ্যের জন্য স্পষ্ট এবং বিস্তারিত বিবরণ, ছবি এবং দাম প্রদান করুন।

৫। পেমেন্ট এবং ডেলিভারি:

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য নিরাপদ পেমেন্ট গেটওয়ে এবং সহজ ডেলিভারি বিকল্পগুলি সংহত করুন।

বিভিন্ন পেমেন্ট পদ্ধতি (যেমন: ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং) গ্রহণ করুন।

৬। বিপণন এবং প্রচার:

আপনার লক্ষ্য বাজারে পৌঁছানোর জন্য একটি কার্যকর বিপণন এবং প্রচার কৌশল তৈরি করুন।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO), সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং এবং পেইড অ্যাডভার্টাইজিং এর মতো বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করুন।

৭। গ্রাহক পরিষেবা:

গ্রাহক পরিষেবা প্রদানের উপর মনোযোগ দিন। দ্রুত এবং কার্যকরভাবে গ্রাহকদের প্রশ্ন এবং অভিযোগগুলি সমাধান করুন।

মন্তব্যঃ

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা ইতিমধ্যেই আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পেরেছেন। ই-কমার্স ব্যবসার সুবিধা ও অসুবিধা-কিভাবে ই-কমার্স ব্যবসা করা যায় আশা করি এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য আমি আপনাদেরকে দিতে পেরেছি।

এছাড়া ই-কমার্স সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য আমি আমার এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি যা আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন। তাই আমার আর্টিকেলটি পড়ার পরে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারা উপকৃত হবে।

ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url