স্যাটেলাইট কি? স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে

 কিভাবে মোবাইল দিয়ে সিপিএম মার্কেটিং করা যায়

প্রিয় পাঠক আমি আমার এই আর্টিকেলে স্যাটেলাইট কি? স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে এ সম্পর্কে আপনাদেরকে সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। 

আপনার যদি আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন আশা রাখি এ সম্পর্কে আপনারা সঠিক তথ্য পাবেন এবং উপকৃত হবেন।

ভূমিকা

বর্তমানে বিশ্বে অনেক অসাধ্য কে সাধন করতে পেরেছে স্যাটেলাইট ব্যবহারের মাধ্যমে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমরা অনেক গ্রহ উপগ্রহের সম্পর্কে অনেক তথ্য আমরা জানতে পারছি। এছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে স্যাটেলাইট এর ব্যবহার হয়ে থাকছে।

যার কারণে আমরা অনেক কিছু করতে পারছি। স্যাটেলাইট কি? স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে এ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশল

স্যাটেলাইট কি? 

স্যাটেলাইট শব্দের উৎপত্তি হয়েছে ল্যাটিন শব্দ স্যাটেলেস থেকে যা ১৬ শতকের মাঝামাঝি সময়ে হয়। এর অর্থ হলো উপগ্রহ। স্যাটেলাইট হচ্ছে এমন একটি বস্তু যা অন্য একটি বড় বস্তু চারপাশে ঘুরে বেড়ায়।এই অর্থে পৃথিবীর একটি স্যাটেলাইট কারণ এটা সূর্যকে কেন্দ্র করে চারিদিকে ঘুরে বেড়ায়।

 আর চাঁদ তো পৃথিবীর উপগ্রহ যা পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। তাই পৃথিবী এবং চাঁদকে বলা হয় প্রাকৃতিক উপগ্রহ। উপগ্রহ দুই ধরনের একটি হচ্ছে প্রাকৃতিক আর একটি হচ্ছে মানুষের সৃষ্টি। যে উপগ্রহ গ্রহ মানুষের তৈরি এবং যেটা পৃথিবী থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়।

 যা পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরে কিংবা কাঙ্খিত তথ্য ও দেশে মহাকাশের অন্য কোথাও ভ্রমন করে বেড়ায় এগুলো সাধারণত পৃথিবী অন্য গ্রহ উপগ্রহ। কিংবা মহাকাশের বিভিন্ন নক্ষত্র ও ছায়াপথের ছবি তুলে পাঠায়।

 ছবিগুলো বিজ্ঞানীদের পৃথিবী সৌরজগত এবং মহাবিশ্ব সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। কিছু স্যাটেলাইট সিগন্যালের মাধ্যমে মোবাইল ফোন , টেলিভিশন চ্যানেল ও ইন্টারনেট প্রযুক্তিকে সচল রাখার কাজে ব্যবহৃত হয়।

স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে

স্যাটেলাইট কি? স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে

স্যাটেলাইট অর্থাৎ উপগ্রহ কৃত্রিম উপগ্রহ যা সাধারণত পৃথিবী থেকে ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে। পৃথিবী থেকে বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে কৃত্রিম উপগ্রহ তথ্য পাঠানো হয় এবং  কৃত্তিম উপগ্রহ যে তথ্যগুলো সংগ্রহ করে পৃথিবীতে প্রেরণ করে।

স্যাটেলের তথ্য সংগ্রহ এবং পাঠানোর জন্য দুটো ভিন্ন কম্পন তরঙ্গ ব্যবহার করে থাকে। স্যাটেলাইট থেকে আসা সিগন্যাল বা তথ্য অনেক দুর্বল বা কম ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে।

 এর জন্য ডিস এন্টেনা ব্যবহার করে সিগন্যালকে কেন্দ্রহিত করা হয় এবং রিসিভার দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। তো বুঝতে পারছেন স্যাটেলাইট উপগ্রহ কিভাবে কাজ করে এ বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা দিতে পেরেছি।

আরো পড়ুনঃ সমস্যার সমাধানে ইন্টারনেটের ব্যবহার

স্যাটেলাইটের কাজ কি

স্যাটেলাইট বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে নিচে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

যোগাযোগের ক্ষেত্রে

স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টেলিভিশন রেডিও টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি কাজ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এছাড়া স্যাটেলাইট মাটির এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যোগসূত্র স্থাপন করে থাকে।

পরিবহন

স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এরোপ্লেন, জাহাজ এ ছাড়া মোবাইলের মাধ্যমে লোকেশন অন করে পথ নির্দেশনা  ইত্যাদি কাজের জন্য নেভিগেশনাল স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ব্যাংকিং

ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন পরিচালনা ও কার্ড কার্যকলাপ অনুমোদন করতে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক নেভিগেশন স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আবহাওয়া পূর্বাভাস

স্যাটেলাইট আমাদেরকে আবহাওয়া পূর্বাভাস দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । বৃষ্টি, তাপমাত্রা, বাতাসে গতি, মেঘের ধরন ইত্যাদি আমরা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে খুব সহজে জানতে পারি।

স্যাটেলাইট কত প্রকার

স্যাটেলাইট প্রধানত দুই প্রকার একটি হচ্ছে প্রাকৃতিক স্যাটেলাইট আরেকটি হচ্ছে কৃত্রিম স্যাটেলাইট।

প্রাকৃতিক স্যাটেলাইট

যে সকল স্যাটেলাইট প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে এবং প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন গ্রহে চারিদিকে পরিভ্রমণ করে বেড়াচ্ছে সেগুলোকে প্রাকৃতিক স্যাটেলাইট বা প্রাকৃতিক উপগ্রহ বলা হয়।

 যেমন চাঁদ এবং সূর্য কেন্দ্র করে কেন্দ্র করে সকল গ্রহ।

 কৃত্রিম স্যাটেলাইট

যে সকল স্যাটেলাইট মানুষ দ্বারা তৈরি করা হয়েছে এবং মানুষ তার বিভিন্ন মাধ্যমে মহাকাশে পৌঁছে দিয়ে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিবহন করাচ্ছে এ সকল স্যাটেলাইটকে কৃত্তিম স্যাটেলাইট বলা হয়। 

যেমন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, ইউনেস্কো স্যাটেলাইট ইত্যাদি।

স্যাটেলাইটের সুবিধা কি কি

মানুষের সৃষ্টি করা যেকোনো প্রযুক্তিরই সুবিধা এবং অসুবিধা দুটোই আছে। স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয় এখানেও যেমন সুবিধা আছে তেমন অসুবিধা আছে। আসুন এ সম্পর্কে আমরা নিচে আলোচনা করি।

 স্যাটেলাইটের সুবিধাগুলো হলো

খুব দ্রুত যোগাযোগ

মহাকাশে যোগাযোগ করার জন্য যে গ্লোবাল কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়েছে। সেগুলোর মাধ্যমে আমরা চোখের পলকেই বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মোবাইল টেলিফোন এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারি। এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে স্যাটেলাইটের কারণে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস

একসময় রাডারের মাধ্যমে আবহাওয়া পূর্বাভাস পাওয়া যেত।সে ক্ষেত্রে সবকিছু সঠিকভাবে পাওয়া যেত না। যার কারণে অনেক সময় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যেত এই ভুল পূর্বাভাসের কারণে। কিন্তু বর্তমানে আবহাওয়া স্যাটেলাইট স্থাপন করার পরে একবার সঠিক তথ্য পাওয়া যায় আবহাওয়া সম্পর্কে।

এক্ষেত্রে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়িয়ে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে পারি। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ক্ষয় ক্ষতির হাত থেকেও আমরা রক্ষা পায় এই আবহাওয়া স্যাটেলাইট স্থাপনের মাধ্যমে।

গবেষণায় উন্নতি

 মানুষেরতৈরি করা স্যাটেলাইটের গুলো ব্যবহার করে। আমরা আমাদের সৌরজগৎ এবং সৌরজগতের বাইরের অনেক বিষয় সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি।বর্তমানে মঙ্গল গ্রহে আমাদের তৈরি করা যে মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে।

 আমরা সেটার সাথেও এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারি।এছাড়া স্যাটেলাইট ব্যবহার করে আমরা মহাকাশ থেকে যে কোন বস্তুর উপর নজর রাখতে পারি। অর্থাৎ মানুষের উপকার করে এ ধরনের তথ্যগুলো আমরা সংগ্রহ করতে পারি এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে।

মন্তব্য

অবশেষে বলতে চাই আমার আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনার অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে। স্যাটেলাইট কি? স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে এছাড়া স্যাটেলাইটের সুবিধা সম্পর্কেও আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন।

তাই আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পড়ে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন। হয়তো তারাও অজানাকে জানতে পারবে।

 ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url