কিভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া যায় জানুন

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন কিভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া যায়। এ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই ইন্টারনেট সার্চ দিয়েও দেখেছেন যে আসলে। কিভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া যায়।

কিভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া যায়

আসুন এ সম্পর্কে আমি আপনাদের সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আমার এই আর্টিকেলটা আপনারা পড়ুন হয়তো ভালো কিছু পাবেন। যা আপনাদের উপকারে আসবে।

ভূমিকাঃ

পড়তে বসলেই ক্লান্ত লাগে, ঘুম আসে, পড়ায় সেভাবে মনোযোগ আসে না। বর্তমান যুগ হচ্ছে ইন্টারনেটের যুগ। প্রত্যেকের হাতে হাতেই মোবাইল আর এই মোবাইল ব্যবহার করার কারণে। আমাদের অধিকাংশ সময়েই মোবাইলের পেছনেই চলে যায়।

যার ফলে পড়াশোনা প্রতি আমাদের তেমন একটা মনোযোগ দেয়া হয় না। পড়াশোনায় মনোযোগ বসানোর জন্য পড়াশোনা পরিবেশ নিজেকে তৈরি করতে হবে। পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটায় এরকম কোন জিনিস আসে পাশে রাখা যাবে না।

আনন্দের সাথে পড়াশোনা করতে হবে। আসুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।

আরো পড়ুনঃ কোন সময় পড়লে পড়া ভালো মনে থাকে

কিভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া যায়ঃ

কিভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া যায় সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো। পড়াশোনায় এমন একটি জ্ঞান যতই পড়বেন ততই জ্ঞান অর্জন করবেন। তাই পড়াশোনা কে আনন্দের সাথে নিতে হবে।

সবকিছুরই ভাগ দিতে হয় জ্ঞানের কোন ভাগ দিতে হয় না। তাই পড়াশোনা এমন একটি জ্ঞান যা শুধু আপনার নিজের জন্যই। আসুন নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

আনন্দের সাথে পড়াঃ

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য আনন্দের সাথে পড়তে হবে। হ্যাঁ পড়তে আনন্দ আসতে চায় না কারণ আমাদের বেশিরভাগ সময়ই পড়াশোনা করতে ভালো লাগেনা। তার পরেও পড়াশোনা করতে হয়। ভালো না লাগার কারণ আমরা পড়াশোনা কে সেভাবে গুরুত্ব দেই না।

মনে করুন আপনার মোবাইলে গেম কিনতে খুব ভালো লাগে এবং আনন্দের সাথে গেম খেলেন তাতে কোন অনিহা বা বিরক্ত আসে না।

ঠিক তেমনি ভাবে যদি আপনার পড়াশোনাকে মনে করেন যে আমি একটা গেম খেলছি এবং তার মধ্যে আপনাকে আনন্দ খুঁজে নিতে হবে। তবে আপনি পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারবেন এবং পড়াশোনা ভালো করতে পারবেন।

সহজ বিষয় বেছে নিনঃ

পড়ার কথা ভাবলেই মনের মধ্যে বিরক্ত লাগে। এখন পড়বো ভালো লাগছে না থাক পরে পড়বো। কিন্তু আমি আপনাদেরকে বলবো আপনার পড়াশোনা করতে ভালো লাগেনা কিন্তু আপনাকে পড়াশোনা করতেই হবে । পড়াশোনা না করলে তো উপায় নেই তাই আপনি পড়াশোনা করার সময়।

আপনার কাছে কোন বিষয়টা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সে বিষয়টা নিয়ে আপনি পড়তে বসুন। দেখবেন আস্তে আস্তে অন্য বিষয়গুলো আপনার কাছে পড়তে ভালো লাগবে । তাই পড়াশোনা মনোযোগ দেওয়ার জন্য সহজ বিষয়গুলো বেছে নিতে পারেন।

লক্ষ্য তৈরি করুনঃ

পড়াশুনা মনোযোগ বসতে হলে অবশ্যই আপনাকে একটি লক্ষ্য তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ আপনি পড়তে বসার সময় কোন বিষয়টা নিয়ে পড়বেন এবং সেই বিষয়ের  কতটুকু পড়বেন। এই ধরনের লক্ষণ নির্ধারণ করে যদি আপনি পড়তে বসেন তাহলে দেখবেন পড়াশোনা আপনার মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।

এবং সেই সাথে আপনি আপনার পড়াশোনায় সাফল্য লাভ করতে পারবেন। আপনি লক্ষ্য হিসেবে আপনার সহপাঠীদের মধ্যে আপনার চেয়ে যারা ভালো করেছে। আপনার লক্ষ্য থাকতে হবে আমি যেন তাদের চেয়ে অনেক ভালো করতে পা্রি।

যদি মনের মধ্যে এই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যান অবশ্যই আপনি পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারবেন এবং আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন আশা করি।

পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটায় এমন জিনিস কাছে রাখবেন নাঃ

পড়াশোনা বিঘ্ন ঘটায় এমন জিনিস আপনি আপনার পড়ার টেবিলের আশেপাশে রাখবেন না। বর্তমান সময়ে মোবাইলটা সবার কাছেই জনপ্রিয়। কিন্তু এই মোবাইলের কারণে আমরা দিনে দিনে আমাদের পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি এবং মোবাইল থেকে আকৃষ্ট হচ্ছি। যার ফলে আমরা কাঙ্খিত ভালো ফল পড়াশোনায় পাচ্ছি না।

তাই আপনি যখন পড়াশোনা করতে বসবেন পড়ার টেবিলে। অবশ্যই মোবাইল আপনার পড়ার টেবিলের আশেপাশে রাখবেন না। কারণ আপনি যখনই পড়তে বসবেন মোবাইলটা আপনার পাশে থাকলে আপনার পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটাবে।

যেমন মনে হবে একটু ফেসবুক দেখি, একটু ইউটিউব দেখি এভাবে আপনার পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটবে। তাই পড়াশোনা মনোযোগী হওয়ার জন্য এরকম কোন জিনিস পড়াশোনার আশেপাশে রাখবো না।

বিরতি দিয়ে পড়াশুনা করতে হবেঃ

আপনি যদি পড়াশোনায় মনোযোগী হতে চান। তাহলে পড়ার টেবিলে ঘন্টা পর ঘন্টা বসে আপনি পড়াশোনাই মনোযোগী হতে পারবেন না। কারণ কোন কিছুই খুব বেশি ভালো নয়। যখন আপনি দীর্ঘক্ষণ পড়ার টেবিলে বসে পড়াশোনা করবেন।

তখন দেখবেন একটি বিরক্তিভাব চলে আসবে এবং আপনার পড়াশোনার মনোযোগে বিঘ্ন ঘটাবে। তাই আপনি পড়াশোনা করুন যতক্ষণ পড়তে ভালো লাগে। একটু পড়ুন তারপরে উঠে একটু বিরতি নিন একটু হাটাহাটি করুন বা হালকা কিছু নাস্তা করুন দিয়ে আবার আপনি পড়াশোনা শুরু করুন।

আপনি যদি বিরত দিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন তাহলে দেখবেন পড়াশোনায় মনোযোগ অনেক ভালো থাকবে।

সুস্থময় জীবন গড়ে তুলুনঃ

পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হলে আপনাকে সুস্থ থাকতে হবে। আপনি যদি সুস্থই না থাকেন তাহলে তো পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারবেন না । তাই গভীর রাত জেগে পড়াশোনা করা উচিত খারাপ লাগবে পড়াশোনায় মনো খারাপ হয়ে যাবে আপনাকে সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা অবশ্যই জরুরী।

কারণ আপনার মনের অবসাদ কাটাবে। এছাড়া নিয়মিত আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম করলে শরীর সতেজ থাকে মন ভালো থাকে এবং পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া যায়। তাই নিয়মিত অল্প অল্প করে ব্যায়াম করবেন। খাবারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে বেশি বেশি ফাস্টফুড খাওয়া যাবেনা।

তেলে ভাজা জিনিস বেশি খাওয়া যাবে না। আপনাকে শাক-সবজি খেতে হবে সেই সাথে মাছের পরিমাণও বেশি খেতে হবে। যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখবে এবং পড়ালেখায় মনোযোগ ফিরে আসবে।

রুটিন তৈরি করতে হবেঃ

আপনি যদি পড়াশোনায় ভালো করতে চান পড়াশোনায় মনোযোগী হতে চান। তাহলে আপনাকে রুটিন মাফিক চলাফেরা করতে হবে। এজন্য আপনি আপনার পড়াশোনার বিষয়বস্তুগুলো নিয়ে একটি ভাল রুটিন তৈরি করতে পারেন।

সে রুটিন অনুযায়ী যদি আপনি পড়াশোনা করতে পারেন। তবে আপনি পড়াশোনায় মনোযোগ দিয়ে ভালো পড়াশোনা করতে পারবেন। তাই জীবনের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই রুটিন দরকার।

পড়ার টেবিলে বসে পড়ার অভ্যাস করুনঃ

আমরা অনেক সময় বিছানায় শুয়ে থেকে পড়ি বা সোফায় বসে পড়ি । এভাবে যদি আমরা পড়াশোনা করি তাহলে পড়াশোনা আমাদের মন কিছুতেই বসবে না এবং পড়াশোনা ভালো হবে না।

তাই পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট একটি স্থান থাকতে হবে আর তা হলো পড়ার টেবিল । পড়ার টেবিলে আপনি যদি পড়েন তাহলে আপনার পড়া সহজ হয়ে যাবে এবং পড়ায় মনোযোগ বসবে।

মন্তব্যঃ

পরিশেষে বলতে চাই আমার আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন । কিভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া যায়। আশা করি আমার এই বিষয়টি আপনাদের পড়াশোনার কাজে উপকারে আসবে।

তাই আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারা উপকৃত হবে।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url