কিভাবে বুঝবেন কিডনি ভালো আছে কিনা ও কিডনি রোগের লক্ষণ

প্রিয় পাঠক যাদের কিডনি রোগ হয়েছে তারাই বুঝতে পারেন জীবন কতটা কঠিন। কিডনি সম্পর্কে অনেকেই আপনারা আমার কাছে জানতে চেয়েছেন। তাই আমার এই আর্টিকেলে আপনারা কিভাবে বুঝবেন কিডনি ভালো আছে কিনা ও কিডনি রোগের লক্ষণ সম্পর্কে।

কিভাবে বুঝবেন কিডনি ভালো আছে কিনা

                    আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ভূমিকাঃ

কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনি ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। তাই আমাদের বেঁচে থাকার জন্য কিডনির প্রতি যত্ন নিতে হবে। আমাদের যদি কিডনির সমস্যা হয়ে থাকে। তাহলে আমরা সহজে বুঝতে পারি না।

কারণ কিডনি রোগ এমন একটি রোগ যা প্রাথমিক অবস্থায় বোঝা যায় না। তাই কিভাবে বুঝবেন কিডনি ভালো আছে কিনা ও কিডনি রোগের লক্ষণ। এছাড়া কিডনি সম্পর্কিত আরো অজানা তথ্য নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। পড়তে থাকুন, জানতে থাকুন, আশা করি উপকৃত হবেন।

কিভাবে বুঝবেন কিডনি ভালো আছে কিনাঃ

কিডনি ভালো আছে কিনা সেটা আসলে খালি চোখে দেখে বোঝার তেমন কোনো উপায় নেই। এছাড়া কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে প্রথম দিকে কোনো লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া যায় না। কিন্তু অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হবার পরই সাধারণত লক্ষণ গুলি প্রকাশ পায়।

তাই যাদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে। তারা হচ্ছেন যাদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী। পরিবারের যাদের কিডনি রোগের ইতিহাস আছে। যাদের ৬০ বছরের বেশি বয়স তাদের উচিত বছরে অন্তত দুইবার দুটো কিডনি পরীক্ষা করানো।

কিভাবে বুঝবেন কিডনি ভালো আছে কিনা এর জন্য আপনাকে কিডনি ফাউন্ডেশনে প্রসবের পরীক্ষা ও রক্তের পরীক্ষা এই দুটি  পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

রক্ত পরীক্ষা

কিডনি রোগের প্রধান পরীক্ষা হল রক্ত পরীক্ষা। রক্ত পরীক্ষাটি আপনার রক্তে ক্রিয়েটিনিন নামক বর্জ্য পদার্থের মাত্রা পরিমাপ করে।

আপনার কিডনি এক মিনিটে কত মিলিলিটার বর্জ্য ফিল্টার করতে সক্ষম হবে তা গণনা করতে। একজন ডাক্তার আপনার রক্ত পরীক্ষা ফলাফল এবং আপনার বয়স আকার লিঙ্গ এবং জাতিগত গোষ্ঠীর তথ্য ব্যবহার করে।

একটি সুস্থ কিডনি ৯০ মিলি এর বেশি ফিল্টার করতে সক্ষম হয়। আপনার কিডনির হার এর চেয়ে কম হলে আপনার ক্রনিক কিডনি ডিজিস থাকতে পারে।

 প্রসাব পরীক্ষা

প্রসাব পরীক্ষায় আপনার প্রসাবে এলবুমিন ও ক্রিয়েটিনের অনুপাত যাচাই করা হয়। যদি প্রসাব পরীক্ষায় প্রোটিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তার মানে দাঁড়ায় কিডনি ঠিকমত রক্ত থাকতে পারছে না।

তখন নিশ্চিত হতে তার এন এফ আর করাতে হয়। তিন মাস বা তার বেশি সময় ধরে যদি রেজাল্ট পজিটিভ হয়। তাহলে কিডনি অসুস্থ এর লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া যায়।

এছাড়া কখনো কখনো অন্যান্য পরীক্ষায় আপনার কিডনি ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণ করতে ব্যবহার করতে হতে পারে এম আর আই স্ক্যান বা সিটি স্ক্যান। কিডনি দেখতে কেমন এবং কোন অবস্থায় আছে সেখান থেকে কিডনিটিসুর একটি ছোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

এবং ক্ষতির লক্ষণগুলোর জন্য কোষগুলি একটি মাইক্রোস্কোপের নিচে পরীক্ষা করা হয়।তাই কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার জন্য পরীক্ষাগুলি করা যেতে পারে।

আগেই বলেছি খালি চোখে কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝা সম্ভব নয়।তাই এই বিষয়গুলি মূলত কিভাবে বুঝবেন কিডনি ভালো আছে কিনা এ সকল পরীক্ষার মাধ্যমেই একমাত্র বোঝা যায়।

আরো পড়ুনঃ বেশি বয়সে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায়

কিডনি রোগের লক্ষণঃ

কিডনি মানব দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনি রোগ এমন একটি রোগ যা সহজে বোঝা যায় না। খুব জটিল অবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সাধনভাবে কিডনি রোগের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় না। তাই কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো আগে থেকেই জেনে রাখা উচিত।

বেশ কিছু কারণে কিডনি রোগের লক্ষণ আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলেই বুঝতে পারবো। আসুন জেনে নেই কিডনি রোগের লক্ষণ সম্পর্কে।

প্রসাবে সমস্যা

কিডনি রোগের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো প্রসাবের সমস্যা । কিডনি রোগের একটি বড় লক্ষণ হল প্রসাবের পরিবর্তন হওয়া। কিন্তু সমস্যা হলে প্রসাব বেশি অথবা কম হয়। বিশেষ করে রাতে সমস্যা বাড়ে। প্রসবের রং গারো হয়। অনেক সময় প্রসাবের বেগ অনুভব হলেও প্রস্রাব হয় না।

প্রসাবে সময় ব্যথা

আপনি যদি প্রসাব করেন সে সময় যদি ব্যথা হয় তাহলে এটিও কিডনি রোগের একটি লক্ষণ। বিশেষ করে প্রসাবের সময় ব্যথা ও জ্বালাপোড়া । এগুলো ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের লক্ষণ যখন এটি কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ে তখন জ্বর হয় এবং পিঠের পিছনেও ব্যথা হয়।

প্রসবের সাথে রক্ত যাওয়া

আপনি প্রসাব করার সময় যদি আপনার প্রসাবের সাথে রক্ত যায় তাহলে এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা। আপনি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষণ কিডনি রোগের।

 শরীর ফুলে যায়

কিডনি শরীর থেকে বর্জ্য এবং বাড়তি পানি বের করে দেয়। কিডনিতে রোগ হলে এই বাড়তি পানি বের হতে সমস্যা হয়। বাড়তি পানি শরীরের ফোলা ভাব তৈরি করে এটাও কিডনি রোগের আরেকটি লক্ষণ।

সব সময় ঠান্ডা অনুভূত হওয়া। কিডনি রোগ হলে গরম আবার  ঠান্ডা অনুভব করবে। আর কিডনিতে সংক্রমণ হলে জ্বর আসতে পারে।

 ত্বকের রেশ হওয়া

 কিডনি যখন  অকার্যকর হয়ে যাবে তখন রক্তে বর্জ্য পদার্থ বাড়তে থাকবে। ফলে শরীরে চুলকানি এবং র‍্যাশ হতে পারে।

বমি বমি ভাব

রক্তে বর্জ্য পদার্থ বেড়ে যাওয়ার ফলে কিডনি রোগীর বমি বমি ভাব ও বমি হওয়ার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

কোমরের পেছনে ব্যথা

কিছু কিছু কিডনি রোগে শরীরে ব্যথা হয়, পিঠের পাশে নিচের দিকে ব্যথা হয় এটিও কিডনি রোগের একটি অন্যতম লক্ষণ।

শ্বাস নিতে সমস্যা

কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে ফুসফুসে তরল পদার্থ জমা হয়। এছাড়া কিডনি রোগে শরীরের রক্তশূন্যতা ও দেখা দেয় । এসব কারণে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা হয়। তাই অনেকে ছোট ছোট করে শ্বাস নেয়।

কিডনি রোগের প্রতিকারঃ

কিডনি রোগ একটি জটিল রোগ। এ রোগের চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল । যারা দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে আক্রান্ত তাদের ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না । আমাদের দেশে এ দুটি অনেক ব্যয়বহুল ও সামর্থের বাইরে।

কিডনি বিকল হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি । একটু সচেতন হলেই আমরা এসব দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগ প্রতিরোধ করতে পারি।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনি বিকল হয়ে পড়ে। পরিবারে যাদের বয়স ৪০ এর বেশি তারা নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে। রক্তচাপ বেশি থাকলে ওষুধ খেতে হবে। লবণ একেবারে খাওয়া যাবে না । রক্তচাপ একটু বেশি হলে তেমন কোন সমস্যা হয় না ।

আর এর জন্য ওষুধ খাবার দরকার নেই এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন । যারা বয়স্ক মানুষ তারা অনেক সময় ওষুধ খেতে ভুলে যান অথবা রক্তচাপ বাড়লেও বুঝতে পারেন না তাদের দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস কিডনি বিকল হওয়ার আরেকটি লক্ষণ বা প্রধান কারণ । রক্তে শর্করার পরিমাণ নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে রাখতে হবে। নিয়মিত রক্তের শর্করা মাপতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।

যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা বছরে অন্তত এক বা দুইবার কিডনি পরীক্ষা করাবেন। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করবেন তবে আপনার কিডনি ভালো থাকবে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

কিডনি রোগের আরেকটি সমস্যা হচ্ছে যাদের অত্যাধিক ওজন রয়েছে তাদের কিডনি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ওজন কমান এতে অন্যান্য রোগের মত কিডনি রোগের ও ঝুঁকি কমবে।

ধূমপান ত্যাগ করুন

ধূমপান রক্ত চলাচলে বাধা প্রদান করে। এছাড়া ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় ধূমপান। ধূমপান একেবারেই বর্জন করা উচিত সবার সুরক্ষার জন্য ও নিজের সুরক্ষার জন্য ধূমপান ছাড়াটা জরুরী।

সুষম খাবার গ্রহণ করুন

সুষম খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রচুর শাকসবজি ফলমূল খেতে হবে। লাল মাংস কম খেতে হবে। পানি বেশি খেলে কিডনি ভালো থাকবে এমন কোন কথা নেই তবে আবহাওয়া অনুযায়ী যথেষ্ট পানি পান করা উচিত। 

কিডনি কত পয়েন্ট হলে ভালো হয়ঃ

কিডনি পয়েন্ট কত হলে ভালো হয় তা আমরা অনেকে জানিনা। আমাদের কিডনি একটা নির্দিষ্ট পয়েন্ট আছে। এই পয়েন্টের পরিমাণ যদি ঠিকঠাক অবস্থানে থাকে তবে কিডনি সুস্থ থাকবে।

 কিডনি পয়েন্ট কত হলে ভালো হয় তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হল। আসুন দেখে নেয়া যাক।

  • পুরুষে শরীরে ক্রিয়েটিনিনের স্বাভাবিক ক্রিয়েটিনিন ০.৭ থেকে ১.৪ পুরুষের জন্য।
  • নারীদের শরীরে ক্রিয়েটিনিনেন এর স্বাভাবিক মাত্রা ০.৬ থেকে ১.২ এমজিডিএল থাকতে হবে।
  • যাদের একটি কিডনি নাই তাদের ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা প্রতি  ডিসিলিটার রক্তে ১.৮ মিলিগ্রাম পর্যন্ত স্বাভাবিক থাকে।
  • প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে রক্তে ক্রিয়েটিনিন ৫.০ মিলিগ্রাম থাকে।
  • শিশুদের ক্ষেত্রে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ০.৩ থেকে ০.৭ মিলিগ্রাম ডিএল পর্যন্ত থাকে।

উপরে উল্লেখিত তালিকায় থাকা পয়েন্ট থেকে আপনি বুঝতে পারবেন। এর চাইতে যদি বেশি পয়েন্ট হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে যে আপনার কিডনিতে সমস্যা হয়েছে ।

তখন আপনাকে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে। তাহলেই কিডনি রোগ ঠিক হবে। কিডনি রোগ যদি প্রাথমিক অবস্থায় থাকে তবে এই রোগ পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব।

কিডনি দেহের কোথায় থাকেঃ

কিডনি মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনি শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে মূত্র তৈরি করে। কিডনি আমাদের মানব দেহের কোন দিকে থাকে সে সম্পর্কে অনেকেই জানি। আসুন জেনে নেই কিডনি আমাদের মানব দেহের কোন দিকে থাকে।

নারী ও পুরুষ দুজনেরই শরীরে সাধারণত দুটি কিডনি থাকে। কিডনি পেটের ভেতরে, পিঠের দিকে মেরুদন্ডের দুই পাশে কোমরের অংশে অবস্থিত। কিডনির আকার সিমের বীজের মত হয়।

 প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির কিডনি সাধারণত ১০ সেন্টিমিটার লম্বা, ৫ সেন্টিমিটার চওড়া ও ৪ সেন্টিমিটার মোটা হয়ে থাকে। প্রতিটি কিডনির ওজন ১৫০ গ্রাম থেকে ১৭০ গ্রামের মধ্যে হয়।

মূত্রাশয় পেটের নিচের অংশে সামনের দিকে তলপেটে অবস্থিত। একটি স্নায়বিক থলি যার মধ্যে মুত্র জমা হয়। যখন মূত্রাশয়ে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার মুত্র জমা হয় তখন মূত্রত্যাগের বেগ আসে। মূত্রনালিকা থেকে মূত্র শরীর থেকে বের হয়ে আসে।

মন্তব্যঃ

অবশেষে বলতে পারি আপনারা আমার এই, আর্টিকেলটি পড়ে কিডনি রোগের লক্ষণ সম্পর্কে। এছাড়া কিভাবে বুঝবেন কিডনি ভালো আছে কিনা সে সম্পর্কে। কিডনি মানবদেহের কোথায় থাকে আরো কিডনি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় আপনারা ইতিমধ্যেই আমার এই আর্টিকেল থেকে জানতে পেরেছেন।

তাই আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে বা উপকৃত হন। অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিতে পারেন।হয়তো তারাও উপকৃত হবে। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url