কিভাবে স্টক ব্যবসা করা যায় ও কোটিপতি হওয়ার উপায়
প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন কিভাবে স্টক ব্যবসা করা যায় ও কোটিপতি হওয়ার উপায়। আমাদের দেশে অনেক ধরনেরই ব্যবসা আছে কিন্তু সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হলো স্টক ব্যবসা। আমার এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন ।
তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন কিভাবে স্টক ব্যবসা করা যায় ও কোটিপতি হওয়ার উপায় নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভূমিকা
বর্তমানে আমাদের দেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হল স্টক ব্যবসা। এই স্টক ব্যবসা করার জন্য একটু ধৈর্যের দরকার। বাংলাদেশের তরুণ সমাজ চাকরি পেছনে দৌড়ে সময় নষ্ট না করে এ সময়কে কাজে লাগিয়ে একটি সফল স্টক ব্যবসা করতে পারে।
স্টক ব্যবসা হল পণ্য মজুদ করে রাখা । পণ্য মজুদ করে রাখার পরে বাজারে যখন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায় তখন সেগুলো বিক্রি করলে অনেক মুনাফা অর্জন করা যায়। তাই স্টক ব্যবসা করে খুব সহজে কোটিপতি হওয়া যায়। নিচে স্টক ব্যবসা করার উপায় আলোচনা করা হলো।
আরো পড়ুনঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
কিভাবে স্টক ব্যবসা করা যায় ও কোটিপতি হওয়ার উপায়
স্টক ব্যবসা বলতে বোঝানো হয় জমিয়ে রাখা অথবা মজুদ করে রাখা। বিভিন্ন পণ্য আমরা সিজনে ক্রয় করে সেগুলো মজুদ করে রাখি এবং আন সিজিনে সেই পণ্যগুলো আমরা অধিক মুনাফায় বিক্রি করে থাকি। এটাই হলো স্টক ব্যবসা।
এই স্টক ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে অনেক ধৈর্যশীল হতে হবে। কারণ স্টক ব্যবসা্র মুনাফা সাথে সাথে পাওয়া যায় না। তাই পণ্যগুলোকে পাঁচ থেকে ছয় মাস মজুদ করে রাখতে হবে এবং বাজারের দর অনুযায়ী পণ্যগুলো বিক্রি করতে হবে। তাহলে লাভবান হওয়া যাবে।
স্টক ব্যবসা যদি সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে আপনি লাখ লাখ ও কোটি কোটি টাকা মুনাফা লাভ করতে পারবেন। নিচে স্টক ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
আলুর স্টক ব্যবসা
আলু এমন একটা ফসল যেটা বাংলাদেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ পরিবারই প্রতিনিয়ত রান্নার কাজে ব্যবহৃত ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশ সারা বছর আলো উৎপন্ন হয় না। শীতকালেই বাজারে নতুন আলো পাওয়া যায়। অন্য কোন সময় আলু উৎপন্ন হয় না। এর জন্য আপনি যদি আলু নিয়ে ব্যবসা করতে চান।
আলুর স্টক ব্যবসা কেন
- সারা বছর চাহিদা: আলুর চাহিদা সারা বছরই থাকে, ফলে আপনার পণ্য সহজেই বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- সহজ সংরক্ষণ: আলুকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
- মুনাফার সম্ভাবনা: উৎপাদন ও বাজারের চাহিদা অনুযায়ী আলুর দাম ওঠানামা করে, যা আপনাকে মুনাফা অর্জনের সুযোগ দেয়।
- অল্প পুঁজিতে শুরু: আলুর স্টক ব্যবসা শুরু করতে খুব বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না।
আলুর স্টক ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু বিষয় বিবেচনা করুন
- বাজার সমীক্ষা: আলুর বাজারের চাহিদা, দাম, প্রতিযোগীরা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
- সংরক্ষণ: আলুকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই একটি ভালো গুদাম বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন।
- পরিবহন: আলু পরিবহনের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পরিবহন ব্যবস্থা থাকা জরুরি।
- বিক্রয়: আলু কোথায় বিক্রি করবেন, সে সম্পর্কে একটি পরিকল্পনা করুন। খুচরা বিক্রেতা, হোটেল, রেস্তোরাঁ ইত্যাদির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আলুর স্টক ব্যবসা শুরু করার ধাপ
- বাজার সমীক্ষা: আলুর বাজারের চাহিদা, দাম, প্রতিযোগীরা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
- পুঁজি সংগ্রহ: ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি সংগ্রহ করুন।
- গুদাম বা সংরক্ষণের জায়গা: আলু সংরক্ষণের জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করুন।
- আলু ক্রয়: বিশ্বস্ত কৃষক বা আড়তদারদের কাছ থেকে ভালো মানের আলু কিনুন।
- বিক্রয় নেটওয়ার্ক তৈরি: খুচরা বিক্রেতা, হোটেল, রেস্তোরাঁ ইত্যাদির সাথে যোগাযোগ করে বিক্রয় নেটওয়ার্ক তৈরি করুন।
- মার্কেটিং: আপনার ব্যবসা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে বিভিন্ন মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করুন।
তাহলে শীতের সিজনে অনেক বেশি আলু ক্রয় করে নির্দিষ্ট জায়গায় মজুদ করে রাখুন। আলু সিজনে অল্প দামে আলু ক্রয় করে আপনি আন সিজনে অধিক দামে আলু বিক্রয় করতে পারবেন। এতে মুনাফা ও অধিক হবে। এজন্য আপনি আলুর স্টক ব্যবসা করতে পারেন।
ধানের স্টক ব্যবসা
আমাদের দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য হচ্ছে ভাত। আর এই ভাত আসে ধান থেকে। আমাদের দেশে প্রতি বছরই প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপন্ন হয়। তাছাড়া সারা বছরই ভারত ও বাংলাদেশের ধানের চাহিদা অনেক আপনি চাইলে ধানের ব্যবসা করতে পারেন। নিচে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ধানের স্টক ব্যবসা কেন
- সারা বছর চাহিদা: ধানের চাহিদা সারা বছরই থাকে, ফলে আপনার পণ্য সহজেই বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- মুনাফার সম্ভাবনা: উৎপাদন ও বাজারের চাহিদা অনুযায়ী ধানের দাম ওঠানামা করে, যা আপনাকে মুনাফা অর্জনের সুযোগ দেয়।
- অল্প পুঁজিতে শুরু: ধানের স্টক ব্যবসা শুরু করতে খুব বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না।
ধানের স্টক ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু বিষয় বিবেচনা করুন
- বাজার সমীক্ষা: ধানের বাজারের চাহিদা, দাম, প্রতিযোগীরা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
- সংরক্ষণ: ধানকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই একটি ভালো গুদাম বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন।
- পরিবহন: ধান পরিবহনের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পরিবহন ব্যবস্থা থাকা জরুরি।
- বিক্রয়: ধান কোথায় বিক্রি করবেন, সে সম্পর্কে একটি পরিকল্পনা করুন। খুচরা বিক্রেতা, চালকল, হোটেল, রেস্তোরাঁ ইত্যাদির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
ধানের স্টক ব্যবসা শুরু করার ধাপ
- বাজার সমীক্ষা: ধানের বাজারের চাহিদা, দাম, প্রতিযোগীরা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
- পুঁজি সংগ্রহ: ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি সংগ্রহ করুন।
- গুদাম বা সংরক্ষণের জায়গা: ধান সংরক্ষণের জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করুন।
- ধান ক্রয়: বিশ্বস্ত কৃষক বা আড়তদারদের কাছ থেকে ভালো মানের ধান কিনুন।
- বিক্রয় নেটওয়ার্ক তৈরি: খুচরা বিক্রেতা, চালকল, হোটেল, রেস্তোরাঁ ইত্যাদির সাথে যোগাযোগ করে বিক্রয় নেটওয়ার্ক তৈরি করুন।
- মার্কেটিং: আপনার ব্যবসা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে বিভিন্ন মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করুন।
ধানের সিজনে আপনি অল্প টাকায় ধান ক্রয় করে নির্দিষ্ট জায়গায় স্টক করে রাখতে পারেন । আপনি আন সিজনে আপনার মজুদকৃত ধান বিক্রয় করে অনেক লাভ করতে পারবেন। ধানের স্টক ব্যবসা করে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন।
পাটের স্টক ব্যবসা
পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয় । পাট আমাদের দেশের চাহিদা পূরণের সাথে সাথে বিদেশের চাহিদা পূরণ করে । আমাদের দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে পাঠ বিদেশে রপ্তানি হয় । বিদেশে রপ্তানি করেও আমরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি।
আসুন আমরা জেনে নেই, পাটের স্টক ব্যবসা কিভাবে করা যায় সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
পাটের স্টক ব্যবসা কেন
- ঐতিহ্যবাহী শিল্প: বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিল্প হিসেবে পাটের চাহিদা সবসময়ই থেকেছে।
- পরিবেশবান্ধব: পাট একটি পরিবেশবান্ধব পণ্য। সরকারের পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদনের উদ্যোগ পাটের চাহিদা বাড়াচ্ছে।
- রপ্তানির সম্ভাবনা: পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।
- মূল্য সংযোজন: কাঁচা পাটকে বিভিন্ন পণ্যে রূপান্তর করে মূল্য সংযোজন করা যায়।
পাটের স্টক ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু বিষয় বিবেচনা করুন
- বাজার সমীক্ষা: পাটের বাজারের চাহিদা, দাম, প্রতিযোগীরা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
- সংরক্ষণ: পাটকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই একটি ভালো গুদাম বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন।
- পরিবহন: পাট পরিবহনের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পরিবহন ব্যবস্থা থাকা জরুরি।
- বিক্রয়: পাট কোথায় বিক্রি করবেন, সে সম্পর্কে একটি পরিকল্পনা করুন। পাটের মিল, পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী, রপ্তানিকারক ইত্যাদির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
পাটের স্টক ব্যবসা শুরু করার ধাপ
- বাজার সমীক্ষা: পাটের বাজারের চাহিদা, দাম, প্রতিযোগীরা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
- পুঁজি সংগ্রহ: ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি সংগ্রহ করুন।
- গুদাম বা সংরক্ষণের জায়গা: পাট সংরক্ষণের জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করুন।
- পাট ক্রয়: বিশ্বস্ত কৃষক বা আড়তদারদের কাছ থেকে ভালো মানের পাট কিনুন।
- বিক্রয় নেটওয়ার্ক তৈরি: পাটের মিল, পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী, রপ্তানিকারক ইত্যাদির সাথে যোগাযোগ করে বিক্রয় নেটওয়ার্ক তৈরি করুন।
- মার্কেটিং: আপনার ব্যবসা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে বিভিন্ন মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করুন।
আষার ও শ্রাবণ এই দুই মাস পাটের সিজন। এই সিজনে পাটের দাম কম থাকে । তাই পাটের স্টক ব্যবসা করতে হলে আষার ও শ্রাবণ মাসে পাট সংগ্রহ করতে হবে । যে সময় পাটের দাম বৃদ্ধি হবে সে সময় আমরা অধিক মুনাফায় পাট বিক্রি করতে সক্ষম হব এবং অধিক মুনাফা অর্জন হবে।
কাপড়ের স্টক ব্যবসা
কাপড়ের স্টক ব্যবসা করে অনেক লাভবান হওয়া যায় । আমাদের দেশে দুইটা সিজন আছে একটি হচ্ছে গরমকাল আর একটি হচ্ছে শীতকাল। সাধারণত শীতকালে আমরা যে পোশাকগুলো ব্যবহার করে থাকি সেগুলো গরমকালে ব্যবহার করি না।
আবার গরমকালে যে পোশাকগুলো ব্যবহার করে থাকে সেগুলো শীতকালে ব্যবহার করি না।তাই কাপড়ের স্টক ব্যবসা করতে গেলে শীতের শুরুতেই আমাদেরকে গরমের জন্য।
গরমকালের পোশাক ক্রয় করে মজুদ করে রাখতে হবে এবং গরমের সময় আমরা শীতের কাপড় গুলো কিনে মজুদ করে রাখতে পারি ।এতে মজুদকৃত বস্ত্র গুলি আমরা অধিক মুনাফায় বিক্রি করতে পারব।
সুপারির স্টক ব্যবসা
সুপারি ব্যবসা একটু লাভজনক ব্যবসা। বাংলাদেশের সাধারণত আশ্বিন ও কার্তিক মাসে সুপারি উৎপন্ন হয় ।এই দুই মাসের উৎপাদিত সুপারি আমাদের সারা বছরে চাহিদা পূরণ করে।
আপনি চাইলে সুপারির সিজনে কম দামে সুপারি কিনে সেগুলো মজুদ করে রাখতে পারেন। সিজন শেষ হয়ে গেলে অধিক মুনাফায় আপনি সুপারি বিক্রয় করতে পারবেন। তাই সুপারের স্টক ব্যবসা করেও আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন।
বাদাম স্টক ব্যবসা
ছোট বড় সবারই বাদাম খেতে খুবই ভালোবাসে। আমার বাদামের স্টক ব্যবসা করতে গেলে সাধারণত আষার ও শ্রাবণ এই দুই মাস বাদাম কেনার উপযুক্ত সময়। এ সময় আপনি বাদাম কিনে রেখে যদি স্টক করে রাখতে পারেন এবং শীতকালে যদি এ বাদামাগুলো বিক্রি করেন তাহলে দ্বিগুণ লাভ করতে পারবেন।
বাদামের স্টক ব্যবসা কেন
- স্বাস্থ্য সচেতনতা: মানুষ স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হওয়ায় বাদামের চাহিদা বাড়ছে।
- স্ন্যাকস হিসেবে জনপ্রিয়তা: বাদামকে স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া হয়, যা এর চাহিদা বাড়ায়।
- মূল্য সংযোজন: কাঁচা বাদামকে ভাজা, লবণাক্ত বা মিষ্টি করে মূল্য সংযোজন করা যায়।
- রপ্তানির সম্ভাবনা: বাদামের রপ্তানির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।
বাদামের স্টক ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু বিষয় বিবেচনা করুন
- বাজার সমীক্ষা: বাদামের বাজারের চাহিদা, দাম, প্রতিযোগীরা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
- সংরক্ষণ: বাদামকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই একটি ভালো গুদাম বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন।
- পরিবহন: বাদাম পরিবহনের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পরিবহন ব্যবস্থা থাকা জরুরি।
- বিক্রয়: বাদাম কোথায় বিক্রি করবেন, সে সম্পর্কে একটি পরিকল্পনা করুন। খুচরা বিক্রেতা, হোটেল, রেস্তোরাঁ, সুপারমার্কেট ইত্যাদির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
বাদামের স্টক ব্যবসা শুরু করার ধাপ
- বাজার সমীক্ষা: বাদামের বাজারের চাহিদা, দাম, প্রতিযোগীরা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
- পুঁজি সংগ্রহ: ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি সংগ্রহ করুন।
- গুদাম বা সংরক্ষণের জায়গা: বাদাম সংরক্ষণের জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করুন।
- বাদাম ক্রয়: বিশ্বস্ত কৃষক বা আড়তদারদের কাছ থেকে ভালো মানের বাদাম কিনুন।
- বিক্রয় নেটওয়ার্ক তৈরি: খুচরা বিক্রেতা, হোটেল, রেস্তোরাঁ, সুপারমার্কেট ইত্যাদির সাথে যোগাযোগ করে বিক্রয় নেটওয়ার্ক তৈরি করুন।
- মার্কেটিং: আপনার ব্যবসা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে বিভিন্ন মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করুন।
উত্তরবঙ্গের প্রচুর বাদামের চাষ হয় সেখান থেকে বাদাম কিনে আপনি সারাদেশে বাজার করতে পারেন। মজুদ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে এটা যেন পানিতে না ভেজে যায় এবং ইঁদুরে নষ্ট করতে না পারে। তাহলে আপনি বাদামের স্টক ব্যবসা করে অনেক লাভবান করতে পারবেন।
স্টক ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়ার উপায়
স্টক ব্যবসা হচ্ছে একটি ধৈর্যশীল ব্যবসা। স্টাফ ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে। তবে আপনি এখান থেকে খুব সহজেই কোটিপতি হতে পারবেন এবং অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। স্টক ব্যবসা করতে গেলে বুদ্ধি খাটিয়ে করতে হবে।
আসুন আমরা জেনে নেই,স্টক ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়ার উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
- জ্ঞান অর্জন: স্টক মার্কেট সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করা অত্যন্ত জরুরি। বই পড়ুন, অনলাইন কোর্স করুন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।
- দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা: স্টক মার্কেটে সফল হতে হলে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা জরুরি। শর্টকাটে কোটিপতি হওয়ার চিন্তা না করে ধৈর্য ধরে বিনিয়োগ করুন।
- বৈচিত্র্যময় পোর্টফোলিও: একক কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ না করে বিভিন্ন সেক্টরের শেয়ারে বিনিয়োগ করুন। এতে ঝুঁকি কমে যাবে।
- মূল্যায়ন: কোনো শেয়ার কেনার আগে তার মূল্যায়ন করুন। শেয়ারের বর্তমান দাম তার আয়ের সাথে তুলনা করে দেখুন।
- বাজার বিশ্লেষণ: স্টক মার্কেটের চলন, অর্থনীতি, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয় নজরদারি রাখুন।
- ভালো কোম্পানি নির্বাচন: শক্তিশালী ভিত্তি ও ভালো ভবিষ্যত সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করুন।
- ধৈর্য ও শৃঙ্খলা: স্টক মার্কেটে সফল হতে হলে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা অত্যন্ত জরুরি। আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিন না।
- জরুরি অর্থ বিনিয়োগ না করা: স্টক মার্কেটে কখনোই জরুরি অর্থ বিনিয়োগ করবেন না।
- নিয়মিত পর্যালোচনা: আপনার বিনিয়োগের নিয়মিত পর্যালোচনা করুন এবং প্রয়োজনে পরিবর্তন করুন।
আমাদের দেশের অনেক মানুষ এইসব ব্যবসা করে লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা অর্জন করছে। শুধু আমাদেরকে সিজন অনুযায়ী পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে হবে তাহলে আমরা স্টক ব্যবসা করে অনেক লাভবান হতে পারব। স্টক ব্যবসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো পচনশীল পণ্য এড়িয়ে চলা।
আপনাকে এমন পণ্য কিনতে হবে যার পচনশীল কম। স্টক ব্যবসা করতে গেলে একই পণ্য না কিনে দুই তিনটি পণ্য কিনে স্টক করে রাখতে হবে । কারণ কোন পণ্যের বাজার যদি কম থাকে অন্য পন্য দিয়ে সেটা পুষিয়ে নেয়া যাবে । তাই স্টক ব্যবসায় অধিক লাভবান করতে গেলে কয়েক ধরনের পণ্য স্টক করে রাখতে হবে।
ব্যবসা করে লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা অর্জন করতে পারবেন। তবে আমার জানা মতে ,স্টক ব্যবসা করে কেউ ক্ষতির সম্মুখীন হয় না। স্টক ব্যবসাতে বেশিরভাগ লাভই দেখা যায়। তাই প্রচুর টাকা পয়সা ইনকাম করার জন্য স্টক ব্যবসাটাই হচ্ছে অন্যতম ব্যবসা।
মন্তব্য
অবশেষে বলতে পারি, উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম কিভাবে স্টক ব্যবসা করা যায় ও কোটিপতি হওয়ার উপায় । কোন কোন পণ্যের স্টক ব্যবসা করা যায় সেরকম কিছু ধারনা দেয়া হয়েছে।
আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে যদি একটুও ভালো লেগে থাকে । তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারা উপকৃত হবে।
ধন্যবাদ ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url