কিভাবে বেশি বয়সে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায়

 আপেল খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

প্রিয় পাঠক , আপনারা জানতে চেয়েছেন কিভাবে বেশি বয়সে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় এ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব। বর্তমানে অসুস্থতা যেন প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে কমবেশি । এই ডাক্তার দেখাতে অসুস্থ থাকার কারণে আমাদের অর্থের একটা বড় দিক চলে যায় ডাক্তার দেখাতে ও ওষুধ কিনতে।

 
বেশি বয়সে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায়

 আমরা একটু চেষ্টা করলেই নিজেকে এই অসুস্থতার হাত থেকে বাঁচাতে পারি নিজেদের জীবন ধারার পরিবর্তন করে।আসুন জেনে নিয় ,কিভাবে বেশি বয়সে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলঃ

সূচনা

বর্তমান সময়ে অসুস্থতা যেন ঘরে ঘরে । এছাড়া আমাদের বাড়িতে অনেক বয়স্ক মানুষও থাকে যারা প্রায় সবসময় অসুস্থ থাকে। আমরা কেন এত অসুস্থ হই এটার পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। যেমন আমাদের জীবনধারার চলাচলের অনিয়ন্ত্রিত অবস্থা , মানসিক অবস্থা , পারিপার্শ্বিক অবস্থা , শরীরের দিকে নজর না দেওয়া , সঠিক খাদ্য অভ্যাস তৈরি না করা ।

 এছাড়া আরো বিভিন্ন কারণেই আমরা অসুস্থ হয়ে থাকি । আমি এখানে বলতে চাই কিভাবে বেশি বয়সে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় এ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। জানতে হলে পড়তে হবে ,দয়া করে পড়ে দেখুন, অবশ্যই উপকার পাবেন।

কিভাবে বেশি বয়সে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায়

আমরা সবাই সুস্থ থাকতে চাই তারপরও অসুস্থ হয়ে যায়। আমাদের জীবন ধারণের বেশ কিছু ভুলের কারণে। বয়স বাড়ার সাথে সাথেই আমাদের দেহে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। পরিবারে কেউ যদি অসুস্থ হয় তাহলে এর পেছনে সময় ও অর্থ দুইটারই অনেক প্রয়োজন।
 
অসুস্থ হওয়ার আগে আমরা যেন সুস্থ থাকতে পারি সেভাবেই আমাদের জীবন ধারণ করতে হবে। তারপরেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে বেশ কিছু রোগ শরীরে বাধা বাসে যা থেকে নিস্তার পাওয়া যায় না।

 এজন্য নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে । আসুন আমরা জেনে নেই কিভাব বেশি বয়সে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় এ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।


স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে

বেশি বয়সে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো উপায় হল পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে । আপনার খাদ্য তালিকার মধ্যে লবণ, চর্বি ও শর্করা জাতীয় খাবার থাকতে হবে । তবে লক্ষ্য রাখবেন এগুলো যেন অতিরিক্ত না হয়।

এছাড়াও এই খাদ্য তালিকায় মধ্যে যেন ফলমূল্য শাকসবজি থাকে । প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়ার জন্য আপনাকে কম চর্বিযুক্ত মাংস আর সপ্তাহে অন্তত কয়েকবার মাছ খাওয়া উচিত।
 
নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য ফল শাকসবজি এবং মাছ সমৃদ্ধ খাবার আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। তাছাড়া এসব ফল ও শাক সবজিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । নিজেকে সুস্থ রাখতে অ্যালকোহল, চিনি যুক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার ও লাল মাংস বাদ দেওয়াই ভালো।

মানসিক চাপ কমাতে হবে

নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে । কারণ আমাদের শরীরে যত সমস্যাই হোক না কেন এর প্রধান মূলে রয়েছে মানসিক চাপ। অতিরিক্ত মানুষের চাপ আপনার শরীরে স্ট্রেস হরমোন কটিসলের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় যা শরীরের ইউমিনিটি সিস্টেমকে আরো দুর্বল করে।

 মানসিক চাপ উচ্চ রক্তচাপের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই নিজেকে সুস্থ থাকার জন্য কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে হবে। কোন কিছুতেই উত্তেজিত হওয়া যাবে না।

ঘুমের প্রতি যত্নশীল হতে হবে

নিজের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য পর্যন্ত ঘুমের কোন বিকল্প নেই। তাই রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে উষ্ণ গরম দুধ আপনাকে রাতে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে। ঘুমেতে যাওয়ার ঠিক আগেই খাবার খাবেন না ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিবেন।

 ঘুম আপনার ব্রেন কে শান্ত রাখে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেয় । তাই নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম দরকার।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য নিজের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ওজন আমাদের শরীরের জন্য অনেক খারাপ। অতিরিক্ত ওজন থাকার কারণে বিভিন্ন রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে। তাই নিজেকে সুস্থ সবল রাখার জন্য অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

 এজন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম আছে সে ধরনের ব্যায়াম করলেই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে আসবে। এছাড়া আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।

ধূমপান করা যাবে না

নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য ধূমপান মুক্ত রাখতে হবে, হ্যাঁ যারা ধূমপান করে, তাদের ধূমপান ত্যাগ করা আসলে খুবই কঠিন। তারপরও নিজের কাছে প্রশ্ন করতে হবে, যে ধূমপান আমার জন্য উপকার না অপকার।

 আমি ধূমপানকে বেশি ভালোবাসবো না আমাকে বেশি ভালোবাসবো । কারণ ধূমপান হল ক্যান্সার কারণ আপনি ইচ্ছা করলেই ধূমপান ত্যাগ করতে পারেন। তাই নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।

পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে

বেশি বয়সে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় এর জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পানি ডিটক্সিফাই করে ,হজমে সাহায্য কর্রো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, পেশিকে শক্তিশালী করে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ।

 আপনি কাজ করার সময় ডেক্সের পাশে এবং ঘুমাতে যাওয়ার সময় বিছানার পাশে পানির বোতল অবশ্যই রাখুন এটি আপনাকে পানি খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিবে । এছাড়া আপনি ডাবের পানি ও ফলের জুসও খেতে পারেন।

ব্যায়াম করুন


নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার শরীর ঠিক থাকবে এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে,উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, কোলেস্টেরলের কমায় এবং হারের ঘনত্ব উন্নত করে।

 আপনি আপনার বাড়ির চারপাশে জগিং করুন। বাচ্চাদের সঙ্গে পার্কে হাটুন, খেলাধুলা ক্রুন, নিয়মিত একটি ডায়েট বজায় রাখুন । ব্যায়াম করলে আপনি মানসিক দিক দিয়ে শান্তিতে থাকবেন এবং শারীরিক দিক দিয়ে আপনাকে অনেক ফিট করতে সাহায্য করবে।

 ব্যায়াম করলে আপনার বিষন্নতা, উদ্যোগ এবং মানসিক অসুস্থতা কমে যায়। তাই নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই।

নিয়মিত ডাক্তার দেখাতে হবে

আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধে। এজন্য নিয়মিত আমাদেরকে ডাক্তারের কাছে শরণাপন্ন হতে হবে এবং নিজের শরীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে । আমরা যদি নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যাই এবং নিজের শরীরের পরীক্ষা নিরীক্ষা করি।

 তাহলে আমরা আমাদের শরীরের ভেতরের কোন জটিল ধরনের রোগ আছে কিনা সেই সম্পর্কে আমরা অবহিত হতে পারবো। সে অনুযায়ী আমরা প্রথমে যদি পদক্ষেপ নেই তাহলে জটিল কোন রোগের হাত থেকে আমরা রক্ষা পাবো । তাই নিয়মিত নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

ভ্রমণ করতে হবে

আমাদের এই যান্ত্রিক জীবনে আমরা এতটাই ব্যস্ত যে আমরা ভ্রমণ করার কথাটি ভুলে যায়। আমরা যদি মাঝে মাঝে ভ্রমণ করি এতে আমরা মানসিক দিক দিয়ে ভালো থাকব এবং শারীরিক দিক দিয়েও ভালো থাকবো ।

তাই নিজেকে সুস্থ সবল রাখতে মাঝে মাঝে নিজের পছন্দের মত জায়গায় ভ্রমনে বের হতে হবে এতে আমাদের শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে

নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য সর্বদা নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে । তাহলে আমি সুস্থ থাকতে পারবো। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বলতে নিজের হাত ,পা, নখ, মুখ, নিজের শরী্র, কাপড়চোপড়র, খাওয়া দাওয়া সবকিছুর প্রতি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও যত্নশীল হতে হবে।

 তবেই আমি সুস্থ থাকতে পারবো। তাই বেশি বয়সে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় তার সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম হলো নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

অলস জীবন যাপন করা যাবে না

নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করার পাশাপাশি শরীরকে সার্বক্ষণিক সক্রিয় রাখার জন্য অলস ভাবে শুয়ে বসে সময় কাটানো যাবে না। দৈনন্দিন কাজে ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন আনার মাধ্যমে তা সম্ভব ।

 যেমন, কোন কাজে বের হওয়ার সময় হেঁটে হেঁটে গেলাম, লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করলাম, নিজের ঘরের ছোটখাটো কাজগুলো করলাম, মাঝে মাঝে ছোট বাচ্চাদের মতো খেলাধুলা করলাম ।এতে মন ভালো থাকবে এবং নিজেকে সুস্থ রাখা যাবে।

মন্তব্য

অবশেষে বলতে পারি , আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনার অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে, কিভাবে বেশি বয়সে নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় এবং কি করা যায়?

এ সম্পর্কেই উপরে আলোচনা করা হয়েছে ,আমার এই লেখাটি পড়ার পরে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে । তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন হয়তো তারাও লাভবান হবে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url