বীমা(ইন্সুরেন্স) করে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়। বীমা(ইন্সুরেন্স) কেন করব?

আসুন বন্ধুরা, বীমা (ইন্সুরেন্স) করে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়।বীমা সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। বিমার ইংরেজি অর্থ হলো ইন্সুরেন্স। আমাদের বাংলাদেশের বেশিরভাগই মানুষ বিমা সম্পর্কে সচেতন না। বীমা ইন্সুরেন্স কেন করব? এ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

বীমা করে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়

বীমা সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জানার কারণে আমরা বীমার প্রতি গুরুত্ব দেই না। যদি আমরা বীমা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারি। তবে আমরা বীমার প্রতি আগ্রহী হব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।

ভূমিকা


আমরা অনেকেই জানিনা, বীমা বা ইন্সুরেন্স কি? বীমা( ইন্সুরেন্স) কেন করব। বীমা (ইন্সুরেন্স) করে  কি কি সুবিধা পাওয়া যায়। বীমা বা ইন্সুরেন্স সম্পর্কে জানার জন্য নিচের আর্টিকেলটি পড়লে আপনাদের স্পষ্ট ধারণা হয়ে যাবে। আসুন পড়ে দেখি।

বীমা( ইন্সুরেন্স )করে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়ঃ


বীমা( ইন্সুরেন্স )করে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি। বীমা ( ইন্সুরেন্স) বিভিন্ন মেয়াদে হয়ে থাকে । একটি আপনি যদি একটি বীমা পলিসি করেন তাহলে শুধু আর্থিক সুরক্ষাও নয় এর সাথে আরও অনেকগুলো সুযোগ সুবিধা আপনি পাচ্ছেন।

যেমনঃ মনে করেন, আপনি ১৮ বছর মেয়াদী একটি বীমা করেছেন বছরে ১০০০০০ টাকা করে এর 
বিনিময়ে বীমা কোম্পানি থেকে আপনি কি কি সুযোগ পাচ্ছেন সেটা নিচে দেওয়া হলঃ

যেসকল জটিল রোগের এককালীন চিকিৎসা খরচ পাবেন তার মধ্যে প্রথম হচ্ছে ,
  • স্ট্রোক ।
  • ক্যান্সার ।
  • হার্ট অ্যাটাক ।
  • ব্রেন টিউমার।
  • কিডনি অকজো হয়ে যাওয়া।
  • বাক শক্তি হারানো।
  • শ্রবণ শক্তি হারানো ।
  • কোমায় চলে যাওয়া।
  • যক্ষা হওয়া।
  • মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া।
  • হার্টের রিং বসা।
  • মারাত্মক অগ্নি দগ্ধ হওয়া।

উপরের এই রোগ গুলোর যেকোন একটি হলেই সর্বোচ্চ ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা আপনি চিকিৎসা খরচ পাবেন।
আরো পড়ুনঃবিমার সুবিধা

বীমা (ইন্সুরেন্স) কাকে বলে 


 এবার আমরা জানবো, বীমা (ইন্সুরেন্স) কাকে বলে? বীমার ইংরেজি অর্থ হলো ইন্সুরেন্স । বীমা সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই জানি কিন্তু বীমা সম্পর্কে আমরা সচেতন না। আসলে বীমা করলে কি কি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।

 সে সম্পর্কে আমরা জানি না। যার জন্য বিমা প্রতি আমাদের এত অনীহা বা অবহেলা। বীমা হলো এক ধরনের গ্রাহকের সাথে কোম্পানির অর্থ লেনদেনে চুক্তি।বীমা এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি নিজে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন এবং ভবিষ্যৎ স্বপ্ন পূরণের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে।

বীমা( ইন্সুরেন্স) কেন করব।


আমরা  বীমা (ইন্সুরেন্স) কেন করব? এমন প্রশ্ন যদি আসে তাহলে আমরা বলতে পারি যে, বিমা আমরা এর জন্যই করব ।আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এতটাই ব্যস্ত থাকি যে, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি , পরিবারের প্রতি , আত্মীয়-স্বজনের প্রতি আমরা সেভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি না ।
 
 কারণ নিজেরা অনেক ব্যস্ত থাকি আর এই ব্যস্ততা জীবনে যে কোন সময় যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে আমার এ জীবনে ।

 তাই ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য আমাদেরকে বীমা করা উচিত। আপনি কি একটুও ভেবে দেখেছেন, আপনি যদি বড় কোন ধরনের রোগে আক্রান্ত হন এবং তার চিকিৎসা খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হতে পারে অথবা আপনি যদি এটাও ভেবে দেখেন। 

আপনি যদি না থাকেন তাহলে আপনার সন্তান ,আপনার পরিবার কার দিকে চেয়ে থাকবে ।
তাই নিজের পরিবার ও সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য বীমা করা উচিত। আমরা অনেকে ব্যাংকে টাকা জমা করে রাখি বিভিন্ন মেয়াদে। মেয়াদ পূর্তি হলে ব্যাংক আমাদেরকে লভ্যাংশ সহ টাকা ফেরত দিবে। 

কিন্তু আমরা যদি একটি বীমা কোম্পানিতে টাকা জমায় বিভিন্ন মেয়াদে তাহলে বীমা কোম্পানিও আমাকে জমা টাকা লভ্যাংশ সহ ফেরত দেবে।

 সেই সাথে বীমাতে মেয়াদ চলাকালীন অবস্থায় যদি কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা বা জটিল কোন রোগে আক্রান্ত হই। তাহলে বীমা কোম্পানি কাভারেজ বহন করবে কিন্তু ব্যাংক সেটা বহন করবে না।

 বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বীমার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে চলেছে ।তাই নিজেকে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য বিমার বিকল্প নেই। আসুন বীমা করি নিশ্চিন্তে জীবন উপভোগ করি।

ব্যাংক ও বিমার মধ্যে পার্থক্যঃ

ব্যাংক ও বীমার মধ্যে পার্থক্য নিচে আলোচনা করা হলো।

  • ব্যাংক আপনাকে আর্থিক নিশ্চয়তা প্রদান করবে। অপরদিকে বীমা ও আপনাকে আর্থিক নিশ্চয়তা প্রদান করবে।
  • ব্যাংক আপনাকে আপনার জমাকৃত অর্থের লভ্যাংশ প্রদান করবে। অপরদিকে বিমাও আপনাকে আপনার জমাকৃত অর্থের লভ্যাংশ প্রদান করবে।
  • ব্যাংক ঋণ প্রদান করবে। অপরদিকে বীমাওআপনাকে ঋণ দিবে।
  • ব্যাংক আপনার ঝুঁকি বহন করবে না কিন্তু বীমা আপনার ঝুঁকি বহন করবে।
  • ব্যাংক আপনার অসুস্থতায় আর্থিক সহায়তা করবে না কিন্তু বীমা আপনার অসুস্থতায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে।
  • ব্যাংক আপনার মৃত্যু ঝুঁকি বহন করবে না কিন্তু বীমা আপনার মৃত্যু ঝুকি বহন করবে।

এছাড়া আরো পাবেন যে সকল সুযোগ সুবিধা তা হলোঃ


  • সাধারণ দুর্ঘটনার জন্য চিকিৎসা খরচ বরাদ্দ থাকবে।
  • কোন দুর্ঘটনা বা রোগের কারণে যদি আপনার বৃদ্ধা অথবা তর্জনীয় আঙ্গুল নষ্ট হয় সে ক্ষেত্রে তার চিকৎসা খরচও পাবেন ২,৫০,০০০ টাকা।
  • কোন দুর্ঘটনা বা কোন রোগের কারণে যদি কোন একটি অঙ্গ নষ্ট হয় সে অঙ্গেরও চিকিৎসা খরচ পাবেন ১০,০০০০০ টাকা ।
  • কোন দুর্ঘটনা ও রোগের কারণে যদি দুইটি অংক নষ্ট হয় তাহলে সেক্ষেত্র আপনারা চিকিৎসা খরচ পাবেন ২০,০০০০০ টাকা ।
  • যদি আপনি অকেজো হয়ে যান তাহলে অ্যাকাউন্ট আপনার জন্য মওকুফ হয়ে যাবে এবং( মেয়াদ পর্যন্ত আপনার নামে কোম্পানি চালাবে)।
  • আপনি অকেজো হয়ে যাওয়ার পরে কোম্পানি আপনার জন্য প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা ভাতা চালু করবে । এই ভাতার টাকা প্রতি মাসে আপনি পাবেন ।
  • আপনার যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হয় তাহলে আপনি ১০,০০০০০ টাকা এবং আপনার জমা টাকার লাভ সহকারে আপনার নমনী ফেরত পাবে ।
  • কোন দুর্ঘটনায় কারণে যদি আপনার মৃত্যু হয় সে ক্ষেত্রে আপনার নমিনি পাবে( তিনগুণ) অর্থাৎ৩০,০০০০০ টাকা সাথে আপনার জমাকৃত টাকা লাভ সহকারে ফেরত পাবেন ।
  • ১৮ বছর মেয়াদ চলাকালীন অবস্থায় আপনি 
  • প্রথম, ৬ বছর পরে ফেরত পাবেন ২,৫০,০০০ টাকা ।
  • দ্বিতীয় , ১২ বছর পর ফেরত পাবেন ২,৫০,০০০ টাকা ।
  • মেয়াদ শেষে আপনি মোট ফেরত পাবেন ২৬,০০০০০ টাকা+২,৫০,০০০ টাকা+২,৫০,০০০টাকা সর্বমোট=৩১,০০০০০ টাকা ।

মন্তব্য


অবশেষে বলতে চাই আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে অবশ্যই আপনারা বুঝতে পেরেছেন। যে বিমার গুরুত্ব কতটা প্রয়োজন । বীমা করলে আপনি সবদিক থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকবেন ।তাই লেখাটি পড়ার পরে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে । আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url