স্বাস্থ্য ভালো রাখার কয়েকটি সহজ উপায় ও স্বাস্থ্য কি?
প্রিয় বন্ধুরা, স্বাস্থ্য ভালো রাখার কয়েকটি সহজ উপায় ও স্বাস্থ্য কি ? এ নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। বর্তমান সময়ে আমরা এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, আমরা আমাদের নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি কোন নজর দিতে পারি না। কিন্তু যখন আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন মনে হয় যে আসলে আমাদের স্বাস্থ্যের পথে একটু যত্ন নেয়া উচিত ছিল।
তাই এই শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজেকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় ভালো রাখা যায়।সে বিষয় নিয়েই আলোচনা করছি আসুন নিচে পড়ে দেখি স্বাস্থ্য ভালো রাখার কয়েকটি সহজ উপায়।
স্বাস্থ্য কি?
স্বাস্থ্যই সম্পদ।স্বাস্থ্য বলতে আমরা বুঝি যে, শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সুস্থ এবং যার শরীর ও মন সুস্থ তাকে বোঝায়। একটি পরিপূর্ণ জীবনের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা খুবই প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য ভালো রাখার কয়েকটি সহজ উপায়ঃ
- জীবনধারায় পরিবর্তন ও খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
- অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে।
- পুষ্টীকর খাবার খেতে হবে।
- অলস হয়ে শুয়ে-বসে থাকা যাবে না।
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।
- মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে।
- নিয়মিত ভালো ঘুম দরকার।
- ধূমপান করা যাবে না।
- ইতিবাচক মনোভাব।
শারীরিক সুস্থতা কাকে বলে
শারীরিক সুস্থতা কাকে বলে বলতে আমরা বুঝি কোন মানুষ যখন প্রতিদিনের কাজকর্ম, খেলাধুলা, শারীরিক ব্যায়াম সঠিকভাবে করতে পারে একমাএ শারীরিক সুস্থতার কারনে। এছাড়া পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়ম তান্ত্রিক চলাচলে শরীর সুস্থ থাকে।
মানসিক সুস্থতা কাকে বলে
আমাদেরকে সুস্থ থাকতে শরীর ও মন দুটোই সুস্থ থাকা খুব জরুরি। কারন শরীর ও মন একটি আরেকটির পরিপূরক। আমাদের শরীর অসুস্থ হলে যতটা সচেতন হয় মন অসুস্থ হলে ততটা সচেতন না। আমরা মানসিকভাবে বিভিন্ন সমস্যা পড়ি যা আমাদের জিবনকে দুরবিসহ করে তুলে। তাই মানসিক সুস্থতার জন্য মনের যত্ন নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ রুপর্চ্চায় এলোভেরার ব্যবহার
স্বাস্থ্য ভালো রাখার কয়েকটি সহজ উপায় নিচে বিস্তারিত আলোচনা করাঃ
পুষ্টীকর খাবার খেতে হবেঃ
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। প্রতিদিন খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি থাকতে হবে।খেতে হবে দুধ, ডিম, মাছ এগুলো নিয়মিত খেতে হবে যে আমাদের দেহের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে। শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।
মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবেঃ
মানুষের সব জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।মানসিক চাপে নেই এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুরূহ ব্যাপার । তবে স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য মানুষের চাপ মুক্ত থাকতে হবে। মানসিক চাপ কমাতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে , শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে হবে, হাসিখুশি থাকতে হবে, দুশ্চিন্তা করা যাবে না।
নিয়মিত ভালো ঘুম দরকারঃ
স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। আমরা যদি নিয়মিত ভালো ঘুম হয় তবে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত ঘুম খুবই প্রয়োজন।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবেঃ
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত আমাদেরকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। কারণ আমাদের শরীরের মধ্যে কোন ধরনের সমস্যা লুকিয়ে আছে কিনা তা আমরা সহজে বুঝতে পারি না। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে আমরা আমাদের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে পারব এবং সুস্থ থাকব।
হাসিখুশি থাকাঃ
মন ভালো রাখতে হাসিখুশি থাকাটা বেশ জরুরি। সবসময় হাসিখুশি থাকলে মন ভালো থাকে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন রাখে। তাই দিনের বেশিরভাগ সময় হাসিখুশি থাকা জরুরী এতে মন ভালো থাকে।
গান শুনাঃ
মন ভালো করার জন্য গান শুনতে হবে কারণ গান শুনলে মন ভালো হয়। তবে যে ধরনের গান শুনলে মন ভালো হবে সে ধরনের গান শুনতে হবে তাহলেই মন ভালো থাকবে।
পরিস্কার পরিছন্নতাঃ
মন ভালো করার জন্য নিজেকে পরিস্কার পরিছন্ন রাখতে হবে এবং নিজের যত্ন নিতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার নিজেকে মানসিক দিক দিয়ে সুস্থ রাখে।
শরীর চর্চাঃ
শরীরচর্চা মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত শরীরচ্চা করলে শরীর ও মন ভালো থাকে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।
ভ্রমনঃ
মন ভালো করার জন্য ভ্রমন করতে হবে নিজের পছন্দ মতো জায়গায় তাহলে দেখবেন মন ভালো হয়ে যাবে।
ইতিবাচক মনোভাবঃ
আমাদেরকে সুস্থ সবল থাকার জন্য সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে ইতিবাচক চিন্তাই একমাত্র আমাদেরকে ভালো রাখতে পারে তাই যে কোন সমস্যাই হোক না কেন আমাদেরকে অবশ্যই ইতিবাচক থাকতে হবে তবে আমরা ভালো থাকবো সুস্থ থাকবো।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url