সুখি হওয়ার মূলমন্ত্র এবং বিষন্ন মন ভালো করার উপায়

 কিভাবে বুঝবো ছেলেটি আমাকে ভালবাসে ও প্রেমে পড়ার অনুভূতি কেমন

প্রিয় পাঠক, আমরা কে না চাই সুখী হতে ? আমাদের জীবনে চলার পথে সুখ খুঁজতে খুঁজতে আমরা হতাশার মধ্যে পড়ে যাই। সুখ-দুঃখ নিয়ে আমাদের জীবন। তাই বন্ধুরা জেনে নেইসুখি হওয়ার মূলমন্ত্র এবং বিষন্ন মন ভালো করার উপায় সম্পর্কে নীচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।


সুখি হওয়ার মূলমন্ত্র


সবাই তো সুখী হতে চায় কেউ হয় কেউ হয় না। তাই বলে কি জীবন থেমে থাকে, যাই হোক জীবনকে সুখ স্বাচ্ছন্দ্যময় ও হতাশ মুক্ত করে তোলার জন্য আমাদেরকে যা করতে হবে তাহলে নিয়ম তান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থা পরিচালনা করা। নিচে সুখী হওয়ার মূল মন্ত্র আলোচনা করা হলো।

ভূমিকা

সুখি হওয়ার মূলমন্ত্র হল মনের প্রশান্তি। আমরা প্রত্যেকেই সুখী হতে চাই । বর্তমানে আমরা সুখ বলতে বুঝি টাকা যার যত টাকা আছে সে তত সুখী আসলে কি তাই মনে হয় না । অনেকেরই তো কোটি কোটি টাকা আছে কিন্তু মনে সুখ নেই । তাই মনের সুখ হচ্ছে প্রকৃত সুখ।আসুন জেনেনি সুখি হওয়ার মূলমন্ত্র এবং বিষন্ন মন ভালো করার উপায়।

সুখী মানুষ কাকে বলে


সুখী মানুষ কাকে বলে? এ বিষয়টা নিয়ে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় সুখ হল মনের ভেতরের ব্যাপার। এটা বাইরে থেকে বোঝা যায় না যে আসলে কে সুখী আর কে অসুখী কারণ পুরোটা বিষয় হচ্ছে মনের ব্যাপার। আমার মতে সুখী মানুষ তারাই যারা তাদের জীবনে মনের দিক থেকে এবং জীবনধারা নিয়ে সন্তুষ্ট অনুভব করে তারাই সুখী মানুষ।

সুখি হওয়ার মূলমন্ত্র এবং বিষন্ন মন ভালো করার উপায়

সুখী হওয়ার মূলমন্ত্র কি ? আসুন এই বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করা যাক ।এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষই চায় সুখী হতে ভালো থাকতে কিন্তু সবাই্কি সুখে থাকতে পারে, ভালো থাকতে পা্রে, পারে না।

 তারপরও আমরা সুখের পিছনে ছুটি অনবরত জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত। সুখ হচ্ছে মনের ব্যাপার, মনের দিক দিয়ে যারা ভালো থাকে এবং যাদের মন মানসিকতা ভালো প্রকৃতপক্ষে তারাই সুখী মানুষ।

 পৃথিবীতে সুখী হতে কে না চায় ? কিন্তু যতই সুখী হতে চাওয়া হোক না কেন সুখী হওয়াটা এত সহজ ব্যাপার না। মানুষের জীবনে দুঃখ, অশান্তি ,অবসাদ, আনন্দ এগুলো সবারই থাকে আর এগুলোর মধ্যেই চাইলেই সুখী হওয়া যায় যদি সে চেষ্টা করে।

আসুন আমরা জেনেনি, সুখী হওয়ার মূলমন্ত্র এবং বিষন্ন মন ভালো করার উপায় সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

ইতিবাচক মনোভাব
আমাদের জীবনে চলার পথে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুটো দিকেই আছে। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ মানুষই নেতিবাচক দিকটা নিয়েই বেশি চিন্তা করে থাকি।যার ফলে অধিকাংশ মানুষই অসুখী ।

 আমরা যদি নেতিবাচক টাকে ওইভাবে গুরুত্ব না দিয়ে ইতিবাচক দিক নিয়ে চিন্তা ভাবনা করি তবে আমরা মানসিক ও দৈনন্দিন জীবনে সুখী হতে পারব । তাই ইতিবাচক দিকটি হচ্ছে সুখী হওয়ার মূল মন্ত্র।

নিজেকে নিয়ে চিন্তা করা

আমরা অনেকে আছি যারা নিজেকে নিয়ে অনেক চিন্তা করি। কিন্তু বেশিরভাগই নেগেটিভ চিন্তা করি যার জন্য আমরা সুখী হতে পারি না। 

নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে সবসময় পজেটিভ কারণ পজিটিভ চিন্তা আমাকে নতুন পথের সন্ধান দেবে, সমস্যার সমাধান দিবে, নতুন ভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখাবে । তাই নিজেকে নিয়ে সবসময় পজেটিভ চিন্তা করতে হবে তবেই সুখী হতে পারব।

ধ্যান করা

ধ্যান মানুষকে সুখী করতে পারে। প্রতিদিন অন্তত দশ মিনিট মেডিটেশন বা ধ্যান করতে হবে। এতে করে মন ভালো থাকবে এবং নিজেকে আরো বেশি উপলব্ধি করা যাবে।

পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে হবে

নিজেকে সুখী রাখতে হলে পরিবারকে সময় দিতে হবে । পরিবারের সাথে আনন্দ করতে হবে। নিজেকে একাকীত্ব করে রাখা যাবে না । এছাড়া ভালো বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে হবে এতে মন ভালো থাকবে। তাই সুখে থাকার জন্য পরিবার ও ভালো বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে হবে।

দৈনন্দিন কাজের প্রতি গুরুত্ব আমরা জীবনে প্রয়োজনে ও সুখে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি। যারা কাজের প্রতি গুরুত্ব দেয় এবং নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখে তারাই একমাত্র জীবনে সুখী হতে পারে। তাই সুখে থাকার জন্য দৈনন্দিন কাজে প্রতি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।

মানসিক পরিবর্তন করতে হবে

আমাদের জীবনকে সুখ স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলার জন্য মানসিক পরিবর্তনটা খুবই জরুরী। আমাদের মানসিক দিক দিয়ে সব সময় সচল থাকতে হবে । ইতিবাচক দিক নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে এবং যেকোনো ধরনের কঠিন সমস্যা হলে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। সর্বোপরি মানসিক দিক দিয়ে শক্তিশালী হতে হবে।

স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল

কথায় আছে স্বাস্থ্যই সম্পদ। তাই নিজেকে সুস্থ, সুন্দর ও সুখী রাখার জন্য নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হতে হবে । স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন আমাদেরকে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম করলে শরীর ভালো থাকে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে । ঘুম দেহ ও মন মেরামতের অন্যতম হাতিয়ার।

অল্পতে সন্তুষ্ট থাকা

আমরা সর্বদা বড় কিছু অর্জন করতে চাই আর এগুলি হচ্ছে আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা। এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা যখন আমরা পূরণ করতে পারি না। তখনই আমাদের মনের মধ্যে হতাশা কাজ করে।

 ডিপ্রেশন চলে আসে তখনই আমরা অশান্তিতে থাকি। কিন্তু আমাদের যা আছে তা নিয়ে যদি আমরা সন্তুষ্ট থাকি তবে আমরা শান্তিতে এবং সুখে থাকতে পারবো। তাই নিজের যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে তবে আমরা সুখে থাকতে পারবো।

অন্যের সাথে তুলনা না করা

নিজেকে কখনো অন্যের সাথে তুলনা করা যাবে না। কারণ নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করা ব্যক্তিরা সবসময়ই অসুখী থাকে ।তাই অন্যের কি আছে সেটা নিয়ে আমার ভাবলে চলবে না। আমার যা আছে তা নিয়ে আমাকে সুখে থাকতে হবে। তাই নিজেকে সুখে রাখতে হলে অন্যের সাথে তুলনা করা বাদ দিতে হবে তবে সুখে থাকা যাবে।

অপরকে সাহায্য করা

অপরের বিপদে সাহায্য করাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় মহৎ গুণ । যাদের মন বড় তারা এমনিতেই সুখী মানুষ। কারণ তারা অপরকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে ।কাউকে কোন সহযোগিতা করলে নিজে মনের মধ্যে শান্তি অনুভব করা যায়। তাই অন্যের বিপদে নিজেকে সাহায্য করতে হবে তবে সুখে থাকতে পারবো।

সততার সাথে থাকা

আমাদের জীবনে আমরা যে কাজই করি না কেন সততার সাথে করতে হবে । কারণ সততার সাথে কোন কাজ যদি আমরা করে থাকি। তাহলে আমাদের কাজের উন্নতি ঘটে এবং মানসিক দিক দিয়ে আমরা সুখ শান্তিতে থাকি। তাই সুখ শান্তির জন্য সততার কোন বিকল্প না।

বিষন্ন মন ভালো করার উপায়

আমাদের জীবনে চলার পথে আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয় । আমরা যখনই সমস্যার মধ্যে পড়ি তখনই আমরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে যায় । হতাশা এমনই একটি ব্যাধি যা থেকে রেহাই পাওয়া অনেকটা কঠিন হয়ে যায় । 

কারণ আমরা যখন যে সমস্যায় পড়ি সেটা নিয়ে এতই চিন্তা করি যে আস্তে আস্তে আমরা আরো সমস্যার মধ্যেই ডুবে যাই ।

 তাই যত সমস্যা থাক না কেন জীবনে সেটা নিয়ে বেশি চিন্তা করা যাবে না এবং ইতিবাচক দিক নিয়ে চিন্তা করে তার সমস্যার সমাধান করতে হবে । আসুন জেনে নিই বিষন্ন মন ভালো করার উপায় সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।


স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন

স্বাস্থ্যই সকল সুখের সম্পদ। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মন এমনিতে ভালো ভালো থাকে। আমাদের স্বাস্থ্যের প্রতি নিজেদের যত্নশীল হতে হবে এবং নিয়ম তান্ত্রিক চলাফেরা করতে হবে । তবে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং মনও ভালো থাকবে।

হাসিখুশি থাকা

আমাদের মনকে ভালো রাখার জন্য হাসি খুশির কোন বিকল্প নেই । কারণ আমরা যত বেশি হাসিখুশি থাকবো তত বেশি আমাদের মন ভালো থাকবে। শরীর সুস্থ রাখতে ও মনকে ভালো রাখতে প্রাণ খুলে হাসতে হবে । এটি আমাদের উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই হাসিখুশি থাকতে হবে।

গান শোনা


নিজের মনকে ভালো রাখার আরেকটি উত্তম মাধ্যম হচ্ছে গান শোনা। গান শুনলে আমাদের মন ভালো হয় । তাই যখনই মন খারাপ থাকবে তখন আমরা আমাদের পছন্দ অনুযায়ী গান শুনবো। তাহলে আমাদের বিষন্নতা কেটে যাবে।

খেলাধুলা করা

বিষন্ন মন ভালো করার আরেকটু উপায় হল খেলাধুলা করা। আমাদেরকে খেলাধুলা করতে হবে এটা আমাদের শরীরও ভালো থাকবে মনও ভালো থাকবে এবং বিষন্নতা আমাদেরকে ছুঁতে পারবে না। তাই খেলাধুলা করতে হবে।

কাজে ব্যস্ত থাকা

আমরা যখন অলস ভাবে জীবন যাপন করি তখন আমাদের জীবনে সমস্যার শেষ নেই। তাই অলসতা কাটিয়ে উঠতে এবং মনকে ভালো রাখার জন্য আমাদেরকে কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। যে কোন কাজে আমাদের মনের বিষন্নতা দূর করতে পারে।

মন খুলে কথা বলা


আমাদের মন যখন খুব খারাপ থাকে কোন কারনে তখন আমরা অনেক হতাশা হয়ে যায় । আমাদের মন যখন খারাপ থাকবে । তখন আমাদের প্রিয়জনের সাথে আমাদের মনের কথাগুলো বললে । আমরা অনেকটা হালকা হয়ে যাব এবং মনের দিক দিয়ে শান্তি পাবো । বিষন্ন মন ভালো করার জন্য মন খুলে কথা বলতে হবে।

আত্মবিশ্বাসী হওয়া


নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসই হতে হবে। অল্পতেই নিজেকে ভেঙে পড়া যাবে না । জীবনে চলার পথে সমস্যা থাকবেই সে সাথে সমাধানও আছে শুধু নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রেখে চললেই দেখবেন সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে । তাই বিষন্ন মন ভালো করার আরেকটি উপায় হচ্ছে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়ানো।

কি খেলে মন ভালো থাকে

  • কলা

কলা শুধু শরীরের জন্য উপকার না এটা মনের জন্য অনেক উপকারী । কলা মনেরও যত্ন নেয় তাই নিয়মিত কলা খেলে মন ভালো থাকে।

  • চকলেট

চকলেট খেতে কেনা পছন্দ করে । আমাদের মন যখন খুবই খারাপ থাকবে তখন আমরা চকলেট খাব। এতে আমাদের মন ভালো হয়ে যাবে।

  • মাছ

প্রতিদিনই আমাদের মাছ খাওয়া উচিত। নিজেকে সুস্থ সবল রাখতে মাছ খেতে হবে। জাপানিরা এতো ফিট থাকে কেন কারণ তারা আমরা যেভাবে ভাত খাই তারা সেরকম ভাবে মাছ খায় তাই তারা এত ফিট এবং তাদের মন এত প্রফুল্ল । তাই নিয়মিত মাছ খেলে মন ভালো থাকে।

  • বাদাম

মন ভালো রাখতে প্রতিদিনই বাদাম খাওয়া উচিত । বাদাম মনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনে এবং বাদাম মন খারাপের বিরুদ্ধে কাজ করে ।তাই বাদাম খেলে মন ভালো হয়ে যায়।

মন্তব্য

অবশেষে বলতে চাই আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে অবশ্যই আপনারা বুঝতে পেরেছেন।সুখী মানুষ কাকে বলে?সুখি হওয়ার মূলমন্ত্র এবং বিষন্ন মন ভালো করার উপায়।

 লেখাটি পড়ার পরে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে ।তাহলে আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন।এই আর্টিকেলটি পরে হয়তো উপকৃত হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url