২০২৪ সালের বাংলাদেশের লাভজনক ১৫ টি ব্যবসার আইডিয়া



প্রিয় পাঠক আমার এই আর্টিকেলে ২০২৪ সালের বাংলাদেশের লাভজনক ১৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনার অনেকে ব্যবসা করতে চান কিন্তু ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারনে। ব্যবসায় সাফল্য লাভ করতে পারেন না। আপনাদের জন্যই আমার এই আর্টিকেলটি।

২০২৪ সালের বাংলাদেশের লাভজনক ১৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

আশা করি আর্টিকেল পড়লে আপনারা খুব ভালো আইডিয়া নিতে পারবেন। এর মধ্যে যে কোন একটি ব্যবসা আপনার সফলতা এনে দিতে পারে। নিচে ২০২৪ সালের বাংলাদেশের লাভজনক ১৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ভূমিকাঃ

আপনি যদি নতুন বছরে ব্যবসা করার পরিকল্পনা করে থাকেন তবে আপনার জন্য সুসংবাদ রয়েছে। ব্যবসা করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। বা সবাই সাফল্য লাভ করতে পারে না। তাই ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে।

যে ব্যবসা করবেন সেই ব্যবসা সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারণা থাকতে হবে।তবে আপনি ব্যবসায় সফল হতে পারবেন। আপনি যদি ব্যবসা করতে আগ্রহী হন তাহলে আমার এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

আমার এই আর্টিকেলে ২০২৪ সালের বাংলাদেশের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়া হয়েছে।


২০২৪ সালের বাংলাদেশের লাভজনক ১৫টি ব্যবসার আইডিয়াঃ

যে কোন ব্যবসা শুরু করার আগে সে ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। আপনি যদি নতুন ব্যবসায়িক হয়ে থাকেন । তাহলে আজকে আপনার জন্য আমার এই ২০২৪ সালে বাংলাদেশের লাভের ১৫টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করছি।

 প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যদি পড়েন তাহলে আপনি ভালো একটি ব্যবসায়িক আইডিয়া নিতে পারবেন।

ফ্যাশন হাউজঃ

ফ্যাশন হাউস ব্যবসা একটা লাভজনক ব্যবসা। ফ্যাশন হাউসের ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে কিছু পরিকল্পনা করতে হবে। বাংলাদেশ পোশাকের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পোশাক রপ্তানি কারক দেশ। সেই হিসেবে ফ্যাশন হাউজ শুরু করা আপনার জন্য একটি ভালো পরিকল্পনা হতে পারে।

আপনি যদি পাঞ্জাবি, সালোয়ার কামিজ, সুন্দর সুন্দর পোশাক ডিজাইন করতে পারেন। তাহলে আপনাকে আর পেছনে ফিরে তাকিয়ে থাকতে হবে না। এটা শুরু করার জন্য আপনার প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই । আপনাকে প্রাথমিকভাবে একটি জায়গা ভাড়া নিতে হবে তাও না।

শুধু ফেসবুক পেজ তৈরি করুন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। ফেসবুকে গ্রাহক পাওয়ার জন্য আপনি ফেসবুকে পেজে বুস্ট দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার বিনিয়োগ করা হতে পারে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা হলেই যথেষ্ট আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

আনুমানিক প্রফিট থাকবে প্রতি মাসে প্রায় আপনার ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ২০২৪ সালের লাভজনক ব্যবসার মধ্যে ফ্যাশন হাউজ ব্যবসা হচ্ছে অন্যতম।আপনি ইচ্ছে করলে এ ব্যবসা করতে পারেন।

কসমেটিক্স এর ব্যবসাঃ

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জন্য লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে কসমেটিক্স ব্যবসা। এ ব্যবসা চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এ ব্যবসার মূল গ্রাহক হচ্ছে মেয়েরা। আমাদের দেশের মেয়েরা বর্তমানে প্রচুর কসমেটিক্স ব্যবহার করে থাকে।

কসমেটিক্সের ব্যবসা আপনি করতে পারেন। তবে প্রতি মাসে আপনার প্রায় ৩৫% থেকে ৪০% এরও বেশি লাভ করা সম্ভব। কসমেটিকসের ব্যবসা করতে পারেন অনলাইনে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ।এভাবে ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনি ভালো ইনভেস্ট করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

তাছাড়া যে কোন কসমেটিক্সের দোকানের সাথে আপনি চুক্তি হিসেবে তাদের পণ্য বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন। যার জন্য কোন বিনিয়োগের প্রয়োজন। এভাবে কসমেটিকসের ব্যবসায় আপনি ৫০ হাজার টাকা প্রতি মাসে লাভ করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি ব্যবসাঃ

বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশ ইউটিউব খুবই জনপ্রিয়। আমরা অধিকাংশ মানুষই ইউটিউবে ভিডিও দেখে থাকি। তবে একটি গবেষণা দেখা গেছে যে, আমরা বিভিন্ন যে সামাজিক মাধ্যম গুলো আছে তার মধ্যে ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করি।

 ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার ব্যবসায় বর্তমানে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। ইউটিউব চ্যানেল খোলা খুবই সহজ কিন্তু ভিডিও তৈরি করা এবং সঠিক নিশ নির্বাচন করা একটু কঠিন। আপনি যদি ইউটিউব ব্যবসা থেকে ক্যারিয়ার করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই সঠিক নিশ নির্বাচন করতে হবে।

আপনার নিয়মিত ভিডিও আপলোড করা উচিত এবং যখন আপনার ভিডিওতে চার ঘন্টা ওয়াচ টাইম হবে এবং এক হাজার সাবস্ক্রাইবার। তখন আপনি আপনার চ্যানেলের এডসেন্স মনিটাইজ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। যখন আপনার চ্যানেল মনিটাইজ হয়ে যাবে তখন আপনি আপনার চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

ই-কমার্স ব্যবসাঃ

ই-কমার্স ব্যবসা একটি জনপ্রিয় ও লাভজনক ব্যবসা। আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ব্যক্তিগতভাবে এটি করতে পারেন । আর আপনি যদি এটি করতে না পারেন তাহলে আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারেন।

আপনি যা বিক্রি করতে চান তা নির্বাচন করুন এবং এটি সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার করুন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অসাধারণ বিক্রয় সাফল্য পাবেন। আপনি আপনার ই-কমার্স সাইটে বা অন্য কিছুতে বেশ কিছু আইটেম বিক্রি করতে পা্রেন। আপনি যদি সঠিক উপায়ে কাজ করতে পারেন।তাহলে খুব কম বিনিয়োগে প্রচুর মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।

ব্লগিং করেঃ

বর্তমানে ব্লগিং হচ্ছে একটি জনপ্রিয় ব্যবসা। যে লিখতে পছন্দ করে সে ব্লগিং শুরু করতে পারে। আপনি যে কোন বিষয়ে একটা ব্লগ সাইট শুরু করতে পারেন এবংগুগল এডসেন্স বা অন্যান্য বিজ্ঞাপন চ্যানেলে মাধ্যমে এটি মনিটাইজ করতে পারেন।

শুধুমাত্র আপনার প্রয়োজন ট্রাফিক বা আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর। ব্লগিংয়ের উপার্জন নির্ভর করে প্রতি ক্লিকের খরচ এবং কিওয়ার্ড সার্চ ভলিউমের উপরে।যদি আপনি দ্রুত এবং সহজে উপার্জন করতে চান তবে ব্লগ শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই কীওয়ার্ড নিয়ে গবেষণা করতে হবে।

আপনি যদি লিখায় ভালো হন।তাহলে আপনার প্রিয় বিষয়ে ব্লগিং শুরু করুন এবং ব্লগ মনিটাইজ করে অর্থ উপার্জন করুন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ

বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না যে এফিলিয়েট মার্কেটাররা মাসে কত টাকা উপার্জন করে। আমি অনেক মার্কেটারকে চিনি যারা শুধু এফিলেট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রতি মাসে ১০ হাজারেরও বেশি ডলার আয় করছে।

 কমিশন অর্জনের জন্য অন্যান্য পণ্যের প্রচার করছে। বাংলাদেশ এফিলেট মার্কেট সাধারণত আমাজন পণ্যের প্রচার করে। কেউ যদি আপনার অ্যাফিলিয়েটের একটা লিংক থেকে অন্য পন্য কিনে নেয় আপনি তার জন্য একটি কমিশন পাবেন। এভাবে আপনি প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।

ফল চাষের ব্যবসাঃ

ফল চাষ ব্যবসা লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসা করে মানুষ প্রচুর টাকা আয় করছে। আপনি বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ করতে পারেন কারন দৈনন্দিন জীবনে যতই দিন যাচ্ছে মানুষ ফল খাচ্ছে। আপনি এই ফল নিজেও চাষ করতে পারেন অথবা বাজার থেকে এনে আপনি বিক্রি করে প্রচুর টাকা লাভবান হতে পারেন।

পোল্ট্রি ফার্মের ব্যবসাঃ

পোল্ট্রি ব্যবসায় একটি পুরাতন ব্যবসা। বাংলাদেশে কৃষি প্রধান দেশের জন্য একটি ভালো ব্যবসায়িক ধারণা হচ্ছে পোল্ট্রি ব্যবসা। আপনাকে সঠিক জায়গা সঠিক ধরনের মুরগি তাদের খাবার এবং সঠিক যত্ন নিতে হবে।

তবে এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে সঠিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। অন্য যেকোনো দেশের মতো বাংলাদেশেও মুরগির ভালো চাহিদা রয়েছে ।খুবই লাভজনক ব্যবসা এই পোল্ট্রি ব্যবসা।

মাছের ব্যবসাঃ

মাছের ব্যবসা একটা লাভজনক ব্যবসা। আপনি যদি মাছের ব্যবসা করতে পারেন সঠিকভাবে এবং সঠিক প্রশিক্ষণ নিয়ে তাহলে আপনি এ ব্যবসা অনেক টাকা লাভবান হতে পারবেন। এজন্য মাছ সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারণা থাকতে হবে।

কোন প্রজাতির মাছ চাষ করা ভালো এবং মাছের জন্য সঠিক খাদ্য পরিবেশন করতে হবে । সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। তবে আপনি মাসের ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন।

ফাস্ট ফুড এর ব্যবসাঃ

বর্তমানে শহরে আনাচে-কানাচে ফাস্টফুডের রমরমা ব্যবসা হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল কলেজের পাশে ছোট ছোট হাটবাজারে এখন আমরা ফাস্টফুডের দোকান দেখতে পাই। এ ব্যবসা করে অনেক টাকা লাভবান হওয়া যায় ।

ফাস্টফুড হচ্ছে একটি মুখরোচক খাবার যা সবাইকে খেতে পছন্দ করে। সবচেয়ে বেশি প্রিয় তরুণদের কাছে এই খাবারটি। এ ব্যবসায় সঠিক বিনিয়োগ করে যদি করতে পারেন। তাহলে অনেক টাকা লাভবান করতে পারবেন।

খাবার ডেলিভারির ব্যবসাঃ

খাবার ডেলিভারি ব্যবসা মূলত একটি শহর ভিত্তিক ব্যবসা। বর্তমানে এই অনলাইনে যুগে বেশিরভাগ মানুষই কাজে কর্মে খুবই ব্যস্ত থাকে। আর ব্যস্ত থাকার কারণে বিভিন্ন অফিস আদালতে খাবারের জন্য তারা অনলাইনে বিভিন্ন খাবারের অর্ডার করে থাকে।

আপনি যদি ভালো মানের খাবার তৈরি করে খাবার গুলো ডেলিভারি করতে পারেন। তাহলে এখান থেকে আপনি প্রচুর পরিমানে অর্থ লাভ করতে পারবেন।

স্টেশনারি ব্যবসাঃ

আপনার আরেকটা লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে স্টেশনারি ব্যবসা । এই ব্যবসা করে অনেকেই লাভবান । আপনি যদি এই ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে এই ব্যবসা করার জন্য কোন স্কুল কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে আপনার একটি স্টেশনারি দোকান দিতে পারেন।

কারণ এই আইটেমগুলো মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষায় ব্যবহৃত হয়। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে যদি আপনি একটি দোকান দিতে পারেন। তাহলে স্টেশনা্রি আইটেমের ব্যবসা করে আপনি প্রচুর টাকা লাভবান করতে পারবেন।

গিফট শপের ব্যবসাঃ

গিফট খুবই জনপ্রিয় একটি পণ্য । বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা গিফট দিয়ে থাকি। গিফট দেয়ার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে গিফটের দোকানে যেয়ে গিফট কেনা লাগে। তাই গিফটের ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে সুন্দর সুন্দর গিফট নিয়ে একটু ভালো দোকান দিতে হবে। অনলাইনে ও করতে পারেন এই ব্যবসা।

কাপড়ের ব্যবসাঃ

বর্তমান সময় কাপড়ের ব্যবসা একটা জনপ্রিয় ব্যবসা । আপনি এই ব্যবসা ঘরে বসে করতে পারেন। এটা অনলাইন প্লাটফর্ম বা নিজের কাপড়ের দোকানের মাধ্যমেও করতে পারেন। কাপড়ের ব্যবসায় প্রচুর টাকা লাভ করা সম্ভব।

বিশেষ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে কাপড় দোকানের বেচাকেনা ভালো হয় । তাছাড়া ঈদ পুজো আরো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাপড়ের ব্যবসা ভালো হয়ে থাকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসাঃ

এ ব্যবসা আইডিয়া ডিজিটাল মার্কেটিং হিসেবে প্রদান করে সংঘটিত হতে পারে। আপনি ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন্স, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সংগ্রহ ব্যবহার করে ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা প্রদান করতে পারেন। এটি অনলাইন অথবা ক্লায়েন্টদের অফলাইনের মাধ্যমে করা যেতে পারে।

মন্তব্যঃ

পরিশেষে বলতে পারি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে। আপনারা ২০২৪ সালের বাংলাদেশের লাভজনক ১৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি এই ব্যবসায়িক আইডিয়া থেকে যেকোনো একটি আইডিয়া যদি আপনাদের ব্যবসায়িক কাজে উপকারে আসে।

তাহলে এই আর্টিকেলটি লিখা আমার সার্থক হবে। আমার আর্টিকেলটি পড়ার পরে যদি আপনাদের একটুও ভালো লেগে থাকে । তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিতে পারেন।

ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url